বিএনপিতে জাতীয় নির্বাচনের প্রস্তুতি

- আপডেট সময় : ২৩১ বার পড়া হয়েছে
ত্রয়োদশ জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে দলীয় প্রার্থী চূড়ান্তের কাজ এগিয়ে নিচ্ছে বিএনপি। ইতিমধ্যে সম্ভাব্য প্রার্থীদের কাছে দলীয় বার্তা পৌঁছানো শুরু হয়েছে। যদিও আনুষ্ঠানিক প্রার্থী ঘোষণা করা হবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর। নির্বাচনের প্রস্তুতি এগিয়ে নিতে অর্ধেকেরও বেশি আসনে তফসিল ঘোষণার আগেই প্রার্থীদের চূড়ান্ত করার লক্ষ্য নিয়েছে বিএনপি। ইতিমধ্যে দেশের বিভিন্ন আসনের প্রার্থীদের গ্রিন সিগন্যাল দেয়া হয়েছে। রাজধানীতে কয়েকটি আসনে প্রার্থীও প্রায় চূড়ান্ত। ঢাকা জেলা ও মহানগরে ২০টি আসনের মধ্যে এবার নতুন মুখ আসবে বেশি।
বিএনপি’র একটি নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, দলের মনোনয়নপ্রত্যাশীদের বাইরেও যুগপৎ আন্দোলনের সমমনা দল এবং জোটের বেশ কয়েকজন নেতাকেও গ্রিন সিগন্যাল দিয়েছে বিএনপি’র হাইকমান্ড। সমমনা দলের একজন নেতাকে ঢাকা থেকে নির্বাচন করার জন্য পরামর্শ দিয়েছে বিএনপি। কিন্তু এই নেতা নিজ নির্বাচনী এলাকা থেকে নির্বাচন করতে চান। ঢাকায় প্রার্থী দেয়ার ক্ষেত্রেও এবার অনেক পরিবর্তন এসেছে। যারা বিএনপি’র হাইকমান্ড থেকে গ্রিন সিগন্যাল পেয়েছেন, তাদের মধ্যে বেশ কয়েকজন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে এসব আসন থেকে নির্বাচন করেননি। এই বিষয়টিকে কেন্দ্র করে যাতে নিজেদের মধ্যে কোনো দ্বন্দ্ব বা গ্রুপিং না হয়-সেজন্য আনুষ্ঠানিকভাবে প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করা হচ্ছে না বলেও সূত্রটি জানায়।
ঢাকা-১৭ আসনে বিএনপি’র সমর্থন পেতে যাচ্ছেন বাংলাদেশ জাতীয় পার্টির (বিজেপি) চেয়ারম্যান আন্দালিব রহমান পার্থ। ঢাকা-১৩ আসনেও বিএনপি’র সমর্থন পাচ্ছেন সমমনা দল জাতীয়তাবাদী গণতান্ত্রিক আন্দোলনের (এনডিএম) চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, ঢাকা-১৬ আসনে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপি’র আহ্বায়ক আমিনুল হক দলীয় প্রার্থী হচ্ছেন এটা প্রায় নিশ্চিত, ঢাকা-৪ আসনে দলীয় মনোনয়ন পেতে যাচ্ছেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপি’র সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন, ঢাকা-১৪ আসনে দলীয় প্রার্থী হচ্ছেন সাবেক যুবদল নেতা শফিকুল ইসলাম মিল্টন। এ ছাড়া ঢাকায় গুলশান কিংবা অন্য একটি আসন থেকে নাগরিক ঐক্যের আহ্বায়ক মাহমুদুর রহমান মান্নাকে নির্বাচন করার পরামর্শ দেয়া হচ্ছে। কিন্তু তিনি নিজ নির্বাচনী এলাকা বগুড়ায় নির্বাচন করতে চান বলে জানিয়েছেন। ওদিকে ঢাকা-৫ আসন থেকে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান নিজে নির্বাচন করতে পারেন বলে আলোচনা রয়েছে। এসব আসনে এখন দলের একাধিক সম্ভাব্য প্রার্থী তৎপর রয়েছেন। তারা বিভিন্ন প্রচার-প্রচারণাও চালাচ্ছেন।
গত সোমবার বিএনপি’র স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আগামী ফেব্রুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন ধরে দলকে পুরোপুরি নির্বাচনমুখী করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নির্বাচনী ইশতেহার প্রণয়নের কাজ সম্পন্ন করতে চায় দলটি। ৩১ দফার আলোকেই নির্বাচনের ইশতেহার প্রণয়ন করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। আগামী নির্বাচনে প্রতিটি আসনে দলীয় একক প্রার্থী দিতে চায় দলটি।
এদিকে জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ঘোষণাকে কেন্দ্র করে রাজধানী ঢাকায় বিএনপির সম্ভাব্য প্রার্থী হওয়ার আলোচনায় রয়েছেন। তারা বিভিন্ন কৌশলে তাদের প্রচার প্রচারণা শুরু করেছেন। রাজধানীর কোথাও কোথাও তাদের ছবি সম্মিলিত পোষ্টার ফেষ্টুন দেখা যাচ্ছে। যদিও বিএনপির হাই কমান্ড থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক মনোনয়ন ঘোষণা হয়নি। তবে দলের নীতিনির্ধারক মহলের সুনির্দিষ্ট দিকনির্দেশনার অপেক্ষায় থেকে ঢাকার প্রতিটি আসনে কর্মতৎপরতা চালাচ্ছেন।
ঢাকার মোট ২০ আসনে বিএনপির মনোনয়ন প্রত্যাশীরা তাদের নির্বাচনী এলাকার পাড়া মহল্লায় প্রচার প্রচারণা শুরু করেছে। এরই অংশ হিসেবে এমপি হতে ঢাকা-১ থেকে শুরু করে ঢাকা-২০ পর্যন্ত ২০ আসনে ব্যাপক তৎপরতা চালাচ্ছেন বিএনপির মনোনয়নপ্রত্যাশীরা। এর মধ্যে কোনো কোনো আসনে একাধিক প্রার্থী দৌড়ঝাঁপ দিচ্ছেন। আবার একই পরিবারের সদস্যরা একটি আসনে মনোনয়ন চাইছেন। দু-একটিতে একক প্রার্থী শক্তিশালীও আছেন। বিভিন্ন কৌশলে হাইকমান্ডের দৃষ্টি আকর্ষণ করে মনোনয়ন বাগিয়ে নেওয়ার চেষ্টা চলছে। তবে মনোয়নের আলোচনায় রয়েছেন মেহনাজ মান্নান, আমানউল্লাহ আমান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, তানভীর আহমেদ রবিন, ইশরাক হোসেন, নবী উল্লাহ নবী, মির্জা আব্বাস, হামিদুর রহমান হামিদ ও আফরোজা আব্বাস। হাবিবুন নবী সোহেল, হাবিবুর রশীদ হাবীব, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নাছির উদ্দীন আহমেদ অসীম, আমিনুল হক, এস এ সিদ্দিক সাজু, কামাল জামান মোল্লা, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, মো. হানিফ ও সুলতানা আহমেদ, হাবিবুন নবী সোহেল, হাবিবুর রশীদ হাবীব, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, নাছির উদ্দীন আহমেদ অসীম, এস এ সিদ্দিক সাজু, কামাল জামান মোল্লা, এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, সুলতানা আহমেদ।
ঢাকা-১ আসনটি ঢাকা জেলার দোহার উপজেলা ও নবাবগঞ্জ উপজেলা নিয়ে গঠিত। এ আসনে মাঠে রয়েছেন ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খন্দকার আবু আশফাক ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি প্রয়াত আব্দুল মান্নানের মেয়ে ব্যারিস্টার মেহনাজ মান্নান।
ঢাকা-২ আসনটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৫৫, ৫৬ ও ৫৭ নম্বর ওয়ার্ড, ঢাকা মেট্রোপলিটন কামরাঙ্গীরচর ও হাজারীবাগ থানা, সাভার উপজেলার আমিনবাজার ইউনিয়ন, তেঁতুলঝোড়া ইউনিয়ন ও ভাকুর্তা ইউনিয়ন, কেরানীগঞ্জ উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন (হযরতপুর, কলাতিয়া, তারানগর, শাক্তা, রোহিতপুর, বাস্তা, কালিন্দী, এবং আগানগর ইউনিয়ন) নিয়ে গঠিত। এ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা সদস্য আমানউল্লাহ আমান, তার ছেলে ঢাকা জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক ইরফান ইবনে আমান এবং কেন্দ্রীয় যুবদলের সিনিয়র সহ-সভাপতি রেজাউল করিম পল ধানের শীষ পাওয়ার জন্য দৌড়ঝাঁপ করছেন।
ঢাকা-৩ আসনটি ঢাকা জেলার কেরানীগঞ্জ উপজেলার জিনজিরা, আগানগর, তেঘরিয়া, কোন্ডা ও শুভাঢ্যা এই ৫টি ইউনিয়ন নিয়ে গঠিত। এ আসনে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও তার পুত্রবধূ ঢাকা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায় চৌধুরী ধানের শীষ পেতে চান।
ঢাকা-৪ আসনটি ঢাকা জেলার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৭, ৫১, ৫২, ৫৩, ৫৪ নং ওয়ার্ড এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন শ্যামপুর থানা নিয়ে গঠিত। এ আসনে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিন আলোচনায় আছেন।
ঢাকা-৫ আসনটি ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৪৮, ৪৯, ৫০, ৬০, ৬১, ৬২, ৬৩, ৬৪, ৬৫, ৬৬, ৬৭, ৬৮, ৬৯ ও ৭০ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। এ আসনে ঢাকা মহানগর বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক নবী উল্লাহ নবী ও কেন্দ্রীয় বাণিজ্য বিষয়ক সম্পাদক সালাউদ্দিন আহমেদ ধানের শীষ পেতে চান।
ঢাকা-৬ আসন ঢাকা জেলার ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ৩৪, ৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১, ৪২, ৪৩, ৪৪, ৪৫ ও ৪৬ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। যার অন্তর্ভুক্ত থানা হচ্ছে: ওয়ারী, গেন্ডারিয়া, সূত্রাপুর, কোতয়ালির একাংশ ও বংশালের একাংশ। এর পূর্বে গেন্ডারিয়া, পশ্চিমে সিদ্দিকবাজার, উত্তরে ফুলবাড়িয়া ও দক্ষিণে নাজিরাবাজার। সাবেক মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন ও ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী আবুল বাশার এ আসনের মনোনয়নপ্রত্যাশী।
ঢাকা-৭ আসনটি ঢাকা মহানগরের বংশালের একাংশ, কোতোয়ালির একাংশ, চকবাজার, লালবাগ, হাজারীবাগ ও ধানমন্ডির একাংশ নিয়ে গঠিত৷ এ আসনের পূর্বে নাজিরাবাজার, পশ্চিমে হাজারীবাগ, উত্তরে পলাশী ও দক্ষিণে কামরাঙ্গীরচর। এ আসনে বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হামিদুর রহমান হামিদ, সহ যুববিষয়ক সম্পাদক মীর নেওয়াজ আলী, সাবেক বিএনপি নেতা প্রয়াত নাসির উদ্দিন আহমেদ পিন্টুর স্ত্রী নাসিমা আক্তার কল্পনা ও যুবদলের কেন্দ্রীয় সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ইসহাক সরকার মনোনয়নপ্রত্যাশী।
ঢাকা-৮ আসন মতিঝিল, শাহবাগ, রমনা, পল্টন ও শাহজাহানপুর থানা নিয়ে গঠিত। এ আসনকে ঢাকার প্রাণকেন্দ্র বলা যায়। কারণ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গভবন, সচিবালয়সহ বেশকিছু গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা এই আসনেই অবস্থিত। ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ০৮, ০৯, ১০, ১১, ১২, ১৩, ১৯, ২০, ২১ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।
ঢাকা-৯ আসনটি ঢাকা মেট্রোপলিটন খিলগাঁও ও সবুজবাগ থানাধীন নাসিরাবাদ ইউনিয়ন, দক্ষিণগাঁও ইউনিয়ন ও মান্ডা সিটি করপোরেশন এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ০১, ০২, ০৩, ০৪, ০৫, ০৬ ও ০৭ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত।
ঢাকা-৮ ও ৯ দুই আসনেই প্রার্থী হওয়ার আলোচনায় রয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, তার স্ত্রী ও মহিলা দলের সভাপতি আফরোজা আব্বাস। এছাড়া এ দুই আসনের প্রার্থী হিসেবে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব হাবিবুন নবী সোহেল ও দলের নির্বাহী কমিটির সদস্য হাবিবুর রশীদ হাবীবের নামও শোনা যাচ্ছে।
ঢাকা-১০ আসনটি ঢাকা শহরের ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ১৪, ১৫, ১৬, ১৭, ১৮ ও ২২ নং ওয়ার্ড তথা কলাবাগান, হাজারীবাগ, ধানমন্ডি, নিউমার্কেট থানা নিয়ে গঠিত। এ আসনে বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক নাছির উদ্দীন আহমেদ অসীম, নির্বাহী কমিটির সদস্য শেখ রবিউল ইসলাম রবি এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী জুবাইদা রহমানের বোন বিন্দু নির্বাচন করতে পারেন বলেও জানা গেছে।
ঢাকা-১১ আসন ঢাকা মেট্রোপলিটন এর বাড্ডা থানা, ভাটারা থানা, রামপুরা থানা, হাতিরঝিল থানার একাংশ এবং ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২১, ২২ , ২৩,৩৭, ৩৮, ৩৯, ৪০, ৪১,ও ৪২ নম্বর ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। এ আসনে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক সভাপতি কেন্দ্রীয় ক্ষুদ্রঋণ বিষয়ক সম্পাদক এম এ কাইউম এবং তার স্ত্রী সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে আলোচনায়।
ঢাকা-১২ আসনটি ঢাকা শহরের ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৪, ২৫, ২৬, ২৭, ৩৫ ও ৩৬ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। এ আসনে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক কেন্দ্রীয় যুবদলের সাবেক সভাপতি নির্বাহী কমিটির সদস্য সাইফুল আলম নীরব, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির জ্যেষ্ঠ সদস্য আনোয়ারুজ্জামান আনোয়ার, কেন্দ্রীয় সহ অর্থবিষয়ক সম্পাদক থেকে পদত্যাগ করা মো. সাহাবুদ্দিন আহমেদ মনোনয়নপ্রত্যাশী।
ঢাকা-১৩ আসন ঢাকা শহরের ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২৮, ২৯, ৩০, ৩১, ৩২, ৩৩ ও ৩৪ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। এ আসনে বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আব্দুস সালাম, আতাউর রহমান ঢালী এবং সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল মনোনয়নের প্রত্যাশায় আছেন।
ঢাকা-১৪ আসন ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার কাউন্দিয়া ইউনিয়ন এবং ঢাকা উত্তর সিটিেে করারেশনের ০৭, ০৮, ০৯, ১০, ১১ ও ১২ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। এ আসনে দারুস সালাম থানা বিএনপির আহ্বায়ক এস এ সিদ্দিক সাজু, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহাদী আমিন ও যুবদলের ঢাকা মহানগর উত্তরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জগলুল পাশা পাপেল মনোনয়ন পেতে তৎপরতা চালাচ্ছেন।
ঢাকা-১৫ আসনটি ঢাকা শহরের ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ০৪, ১৩, ১৪ ও ১৬ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। এ আসনে যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সফিকুল ইসলাম মিল্টন ও যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সহ-সভাপতি মামুন হাসান মনোনয়ন পেতে আশাবাদী।
ঢাকা ১৬ আসন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ২, ৩, ৫ ও ৬ নং ওয়ার্ড নিয়ে গঠিত। এ আসনে ঢাকা উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক এ আসনে প্রার্থী হচ্ছেন বলে জানা গেছে। ফ্যাসিবাদী শাসনামলে তার ত্যাগ ও দৃঢ়তার কথা বিবেচনায় এ আসনটিতে তিনিই যে মনোনয়ন পেতে পারেন তা অনেকটাই নিশ্চিত।
ঢাকা-১৭ আসনটি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ১৫, ১৮, ১৯ ও ২০ ওয়ার্ড এবং ঢাকা ক্যান্টনমেন্ট থানার ক্যান্টনমেন্ট এলাকা নিয়ে গঠিত। মূলত গুলশান, বনানী, নিকেতন, মহাখালী, বারিধারা, শাহজাদপুর এবং ঢাকা সেনানিবাসের একাংশ নিয়ে এই আসনটি। এ আসনে ‘জিয়া পরিবার’ থেকে কেউ প্রার্থী হবেন বলে আলোচনা চাউর হয়েছে। সেইসঙ্গে বিএনপি নেতা কামাল জামাল মোল্লা ও মেজর (অব.) কামরুল ইসলাম এর নামও আলোচনায় আছে।
ঢাকা-১৮ আসন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের ওয়ার্ড নং ১, ১৭, ৪৩, ৪৪, ৪৫, ৪৬, ৪৭, ৪৮, ৪৯, ৫০, ৫১, ৫২, ৫৩ ও ৫৪ নিয়ে গঠিত। এ আসনে ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক এস এম জাহাঙ্গীর হোসেন, কফিলউদ্দিন আহমেদ ও ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মোস্তফা জামান মাঠে রয়েছেন।
ঢাকা-১৯ আসন ঢাকা জেলার সাভার উপজেলার শিমুলিয়া, ধামসোনা, পাথালিয়া, ইয়ারপুর, আশুলিয়া, বিরুলিয়া, বনগাঁও ইউনিয়ন এবং সাভার ইউনিয়ন ও সাভার পৌরসভা নিয়ে গঠিত। এ আসনে ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি ডা. দেওয়ান সালাউদ্দিন বাবু, ব্যবসায়ী হানিফ পরিবহনের মালিক মো. হানিফ এবং কফিলউদ্দিন প্রচারণায় আছেন।
ঢাকা-২০ আসন ঢাকা জেলার ধামরাই উপজেলা নিয়ে গঠিত। এ আসনে মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক সুলতানা আহমেদ, যুবদলের তমিজ উদ্দিন ও তরুণ নেতা ইয়াসিন ফেরদৌস মোরাদ প্রচারণা শুরু করছেন।
আগামী নির্বাচনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মূল্যায়নের বিষয়ে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচনে প্রার্থী হতে যোগ্যতার প্রয়োজন। তারপর বিগত আন্দোলন-সংগ্রামে তাদের অবদান ছিল কি না, স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে তাদের কতটা অবদান ছিল, দলের পেছনে কতটা সময় দিয়েছেন এ বিষয়গুলো বিবেচনায় যারা ফিট হবেন, তাদের প্রার্থী করা হবে।