ঢাকা ০৯:৪৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo নাটোরে ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে  জেলা যুবদলের বর্ণাঢ্য র‍্যালি Logo কুড়িগ্রামে যুবদলের ৪৭ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী পালন Logo বর্ণাঢ্য আয়োজনে বাগেরহাটে যুবদলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে র‌্যালী Logo মনোহরগঞ্জে পরিবেশ দূষণে প্রস্তুত হচ্ছে অবৈধ ইটভাটা Logo বেনাপোলে নিখোঁজের দুই দিন পর ডোবায় মিলল যুবকের মরদেহ Logo রামুতে ৯২০০ পিস বার্মিজ ইয়াবাসহ একজন আটক Logo জয়পুরহাটে সফল পোল্ট্রি উদ্যোক্তা টুকু-কর্মসংস্থান শতাধিক Logo বগুড়ায় বাপা জেলা শাখার নবনির্বাচিত কমিটির অভিষেক Logo এনসিপির সঙ্গে নির্বাচন কমিশন স্বেচ্ছাচারী ও পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে: সারজিস Logo কুড়িগ্রামে চোরাকারবারিদের হামলায় চার বিজিবি সদস্য আহত

জয়পুরহাটে সফল পোল্ট্রি উদ্যোক্তা টুকু-কর্মসংস্থান শতাধিক

এম.এ.জলিল রানা, জয়পুরহাট
  • আপডেট সময় : ৪০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

জেলার আক্কেলপুর উপজেলার জামালগঞ্জের একজন সফল পোল্ট্রি খামারি উদ্যোক্তা ইসমাঈল হোসেন টুকু। ২০০০ সালে ৩টি সেডে মাত্র ৫ হাজার সোনালি মুরগির বাচ্চা নিয়ে খামারের যাত্রা শুরু করেন তিনি। এরপর থেকে তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে তার ৩ তলা ও ছয়তলা বিশিষ্ট ৮টি খামার আছে। যেখানে এখন উৎপাদন হচ্ছে ১ লাখেরও বেশি মুরগি।
সফল এ খামারি ইসমাইল হোসেন টুকু বলেন, ‘আমি শুরু থেকেই সোনালি মুরগি দিয়ে খামারের যাত্রা শুরু করি। এখনো সোনালি মুরগিতেই আছি। ৮টি খামারে সব মিলিয়ে ১২০ জন শ্রমিক কর্মচারী কাজ করছেন। খামারে এখন সোনালি মুরগির বাচ্চা আছে প্রায় ৩০ হাজার, পুলেট ২০ এবং লেয়ার ডিমের বাচ্চা ৫০ হাজার। এছাড়াও রয়েছে এসএসবি পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি কমপ্লেক্স, রাফিদ এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, রিফাদ এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।’
একই উপজেলার রুকিন্দিপুর গ্রামের খামারি আইয়ুব আলী বলেন, ‘আমি অন্য ব্যবসা করতাম। টুকু ভাইয়ের কাছ থেকে ৫০০ পিস সোনালি মুরগির বাচ্চা নিয়ে খামার শুরু করি। এখন আমার ৩টি খামার আছে। সেখানে ১৫-২০ হাজার মুরগি পালন করি। আমার খামার এগিয়ে নিতে টুকু ভাই অনেক সহযোগিতা করেছেন। এখন আমিও একজন সফল খামারি। আমার খামারে এখন ৮ জন শ্রমিক-কর্মচারী নিয়মিত কাজ করছেন।’
জেলার সদর উপজেলার শাহাপুর গ্রামের খামারি নুরনবী বলেন, ‘আমি এক সময় বেকার ছিলাম। টুকু ভাইয়ের কাছ থেকে বাচ্চা বাকিতে নিয়ে শুরু করি খামার। মুরগি বিক্রি করে টাকা পরিশোধ করতাম। এভাবেই খামারের সংখ্যা বাড়াই। আমিও টুকু ভাইয়ের খামার দেখেই উদ্বুদ্ধ হয়েছি আল্লাহর রহমতে এখন আমিও একজন সফল খামারিতে পরিণত হয়েছি।’
টুকুর খামারের কর্মচারী রাজু আহমেদ ও গোলাম মোর্শেদ বলেন, ‘আমরা ভাইয়ের খামারে ৮ বছর ধরে কাজ করছি। এখান থেকে যা পাই, তাই দিয়েই সংসার ভালোই চলছে।’
আক্কেলপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘জয়পুরহাট তথা আক্কেলপুর উপজেলার মধ্যে ইসমাইল হোসেন টুকু একজন সফল খামারি। তার দেখাদেখি এবং তার কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেকেই মুরগি পালন করে এখন সফল খামারি হয়েছেন। তার খামারসহ অন্যান্য খামারগুলোও আমরা নিয়মিত তদারকি করছি। সব সময় তাদের সার্বিক পরামর্শ দিয়ে পাশে আছি এবং আশা করছি ভবিষ্যতেও আমাদের এ প্রচেষ্টা অব্যহত।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জয়পুরহাটে সফল পোল্ট্রি উদ্যোক্তা টুকু-কর্মসংস্থান শতাধিক

আপডেট সময় :

জেলার আক্কেলপুর উপজেলার জামালগঞ্জের একজন সফল পোল্ট্রি খামারি উদ্যোক্তা ইসমাঈল হোসেন টুকু। ২০০০ সালে ৩টি সেডে মাত্র ৫ হাজার সোনালি মুরগির বাচ্চা নিয়ে খামারের যাত্রা শুরু করেন তিনি। এরপর থেকে তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। বর্তমানে তার ৩ তলা ও ছয়তলা বিশিষ্ট ৮টি খামার আছে। যেখানে এখন উৎপাদন হচ্ছে ১ লাখেরও বেশি মুরগি।
সফল এ খামারি ইসমাইল হোসেন টুকু বলেন, ‘আমি শুরু থেকেই সোনালি মুরগি দিয়ে খামারের যাত্রা শুরু করি। এখনো সোনালি মুরগিতেই আছি। ৮টি খামারে সব মিলিয়ে ১২০ জন শ্রমিক কর্মচারী কাজ করছেন। খামারে এখন সোনালি মুরগির বাচ্চা আছে প্রায় ৩০ হাজার, পুলেট ২০ এবং লেয়ার ডিমের বাচ্চা ৫০ হাজার। এছাড়াও রয়েছে এসএসবি পোল্ট্রি অ্যান্ড হ্যাচারি কমপ্লেক্স, রাফিদ এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজ, রিফাদ এগ্রো ইন্ডাস্ট্রিজসহ কয়েকটি প্রতিষ্ঠান।’
একই উপজেলার রুকিন্দিপুর গ্রামের খামারি আইয়ুব আলী বলেন, ‘আমি অন্য ব্যবসা করতাম। টুকু ভাইয়ের কাছ থেকে ৫০০ পিস সোনালি মুরগির বাচ্চা নিয়ে খামার শুরু করি। এখন আমার ৩টি খামার আছে। সেখানে ১৫-২০ হাজার মুরগি পালন করি। আমার খামার এগিয়ে নিতে টুকু ভাই অনেক সহযোগিতা করেছেন। এখন আমিও একজন সফল খামারি। আমার খামারে এখন ৮ জন শ্রমিক-কর্মচারী নিয়মিত কাজ করছেন।’
জেলার সদর উপজেলার শাহাপুর গ্রামের খামারি নুরনবী বলেন, ‘আমি এক সময় বেকার ছিলাম। টুকু ভাইয়ের কাছ থেকে বাচ্চা বাকিতে নিয়ে শুরু করি খামার। মুরগি বিক্রি করে টাকা পরিশোধ করতাম। এভাবেই খামারের সংখ্যা বাড়াই। আমিও টুকু ভাইয়ের খামার দেখেই উদ্বুদ্ধ হয়েছি আল্লাহর রহমতে এখন আমিও একজন সফল খামারিতে পরিণত হয়েছি।’
টুকুর খামারের কর্মচারী রাজু আহমেদ ও গোলাম মোর্শেদ বলেন, ‘আমরা ভাইয়ের খামারে ৮ বছর ধরে কাজ করছি। এখান থেকে যা পাই, তাই দিয়েই সংসার ভালোই চলছে।’
আক্কেলপুর উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডা: আমিরুল ইসলাম বলেন, ‘জয়পুরহাট তথা আক্কেলপুর উপজেলার মধ্যে ইসমাইল হোসেন টুকু একজন সফল খামারি। তার দেখাদেখি এবং তার কাছ থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে অনেকেই মুরগি পালন করে এখন সফল খামারি হয়েছেন। তার খামারসহ অন্যান্য খামারগুলোও আমরা নিয়মিত তদারকি করছি। সব সময় তাদের সার্বিক পরামর্শ দিয়ে পাশে আছি এবং আশা করছি ভবিষ্যতেও আমাদের এ প্রচেষ্টা অব্যহত।