ধুনট-শেরপুর আসনে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মাঝে ঐক্যের বার্তা, বিভেদের অভিযোগ অস্বীকার করলেন বিএনপি নেতারা
- আপডেট সময় : ২৬ বার পড়া হয়েছে
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে বগুড়ার ধুনট-শেরপুর আসনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে বিরোধ ও বিভেদের অভিযোগ উঠলেও স্থানীয় নেতারা বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। তাদের দাবি, বিএনপি একটি বৃহৎ ও সুসংগঠিত দল, যেখানে মতভিন্নতা থাকতে পারে, তবে তা দলীয় ঐক্য নষ্ট করবে না।
ধুনট উপজেলা বিএনপির সভাপতি তৌহিদুল আলম মামুন বলেন, “আমি নিজেও মনোনয়ন প্রত্যাশী। তবে আমাদের মধ্যে কোনো বিভেদ নেই। ধুনট বিএনপি এখন খুবই সুসংগঠিত অবস্থায় আছে। শেরপুর বিএনপির বিষয়ে আমি মন্তব্য করতে চাই না।”
শেরপুর উপজেলা বিএনপির সভাপতি ভিপি শহিদুল ইসলাম বাবলু বলেন, “মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে কোনো বিভাজন নেই। সাম্প্রতিক এক বৈঠকে ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান স্পষ্টভাবে বলেছেন—যাকে দল মনোনয়ন দেবে, তার পক্ষেই সবাইকে কাজ করতে হবে। শেরপুর বিএনপি এক আছে, সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করবে। দলের অস্তিত্ব রক্ষা করাই এখন প্রধান লক্ষ্য।”
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য কে. এম. মাহবুবুর রহমান হারেজ বলেন, “প্রার্থী চূড়ান্ত না হওয়া পর্যন্ত কিছু মতবিরোধ বা কথাবার্তা হতে পারে, এটি স্বাভাবিক। তবে মনোনয়ন ঘোষণার পর সবাই একসঙ্গে মাঠে নামবে। দলের স্বার্থই সবার আগে।”
শেরপুর পৌর বিএনপির সভাপতি স্বাধীন কুমার কুণ্ডু বলেন, “বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন মন্তব্য করতে পারে। কিন্তু দল যাকে মনোনয়ন দেবে, হয়তো তিনি আমার পছন্দের না-ও হতে পারেন, তবুও দলের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত। আমরা সবাই একসাথে কাজ করব।”
শেরপুর উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক আশরাফুদ্দৌলা মামুন বলেন, “বিএনপি একটি বৃহৎ দল। এখানে মনোনয়নপ্রত্যাশীদের মধ্যে প্রতিযোগিতা থাকতেই পারে। তবে যাকে মনোনয়ন দেওয়া হবে, তাকে নিয়েই সবাই ঐক্যবদ্ধভাবে নির্বাচনে অংশ নেবে।”
শেরপুর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক শাহ মো. কাউছার আলী কলিন্স বলেন, “গোলাম মো. সিরাজ সাহেব খালেদা জিয়া ও তারেক রহমানের অত্যন্ত বিশ্বস্ত নেতা। তিনি বগুড়া সদর আসনে এমপি ছিলেন এবং দলের দুর্দিনে মামলা-খরচসহ অনেক সহযোগিতা করেছেন। শেরপুর-ধুনটে তার কোনো বিকল্প নেই।”
অন্যদিকে ধুনট উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক আলফিজুর রহমান স্বপন বলেন, “জানে আলম খোকার ২০০৮ সালের পরাজয়ের কারণ ছিল গোসাইবাড়ি ও বান্ডারবাড়ি সারিয়াকান্দি অঞ্চল যুক্ত হওয়া। এখন দলের যে কেউ মনোনয়ন পাক, আমরা সবাই একসাথে কাজ করব।”
স্থানীয় পর্যায়ের এসব বক্তব্যে স্পষ্ট, শেরপুর-ধুনট আসনে দলীয় অভ্যন্তরে কিছু মতবিরোধ থাকলেও নেতৃবৃন্দ প্রকাশ্যে ঐক্যের বার্তাই দিচ্ছেন। তারা বিশ্বাস করেন, নেতৃত্বের সঠিক সমন্বয় হলে আসন্ন নির্বাচনে বিএনপি আবারও শক্ত অবস্থানে ফিরতে পারবে।




















