গাইবান্ধা-৩ আসনে বিএনপির প্রার্থী অধ্যাপক ডা. ময়নুল হাসান সাদিক
- আপডেট সময় : ৩২ বার পড়া হয়েছে
গাইবান্ধা-৩ (পলাশবাড়ী–সাদুল্লাপুর) আসনে ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি) কেন্দ্রীয়ভাবে অধ্যাপক ডা. ময়নুল হাসান সাদিককে প্রার্থী হিসেবে ঘোষণা করেছেন। গতকাল সোমবার বিএনপির উচ্চপর্যায়ের বৈঠকে তাঁর প্রার্থিতা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা দেওয়া হয়। ঘোষণার পরপরই জেলা ও উপজেলা জুড়ে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীদের মধ্যে উচ্ছ্বাস ও নতুন আশার সঞ্চার ঘটে। অধ্যাপক ডা. ময়নুল হাসান সাদিক চিকিৎসা পেশায় একজন সফল চিকিৎসক, দক্ষ প্রশাসক এবং অভিজ্ঞ শিক্ষাবিদ হিসেবে পরিচিত। তিনি শহীদ জিয়াউর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সাবেক অধ্যাপক ও পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন এবং কর্মজীবনে সততা, নিষ্ঠা ও মানবিকতার দৃষ্টান্ত স্থাপন করেন। চিকিৎসা ক্ষেত্রে তাঁর নেতৃত্বে হাসপাতালটিতে সেবার মান উন্নয়ন, আধুনিক সরঞ্জাম সংযোজন এবং রোগী কল্যাণে নানা পদক্ষেপ প্রশংসিত হয়। সহকর্মী ও সাধারণ মানুষ তাঁকে একজন দক্ষ সংগঠক ও মানবিক চিকিৎসক হিসেবে শ্রদ্ধা করেন। ডা. সাদিক এমবিবিএস ডিগ্রি অর্জনের পর উচ্চতর ডিগ্রি এমডি (মেডিসিন) সম্পন্ন করেন। তিনি চিকিৎসা শিক্ষা, গবেষণা ও সমাজসেবায় দীর্ঘদিন ধরে যুক্ত আছেন। পেশাগত জীবনে দায়িত্বশীল ভূমিকা ও সাধারণ মানুষের চিকিৎসা সেবায় নিবেদিতপ্রাণ মনোভাব তাঁকে জনপ্রিয় করে তুলেছে। ছাত্রজীবন থেকেই তিনি বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের আদর্শে বিশ্বাসী। দীর্ঘ রাজনৈতিক নিষ্ঠা, সাংগঠনিক দক্ষতা ও নেতৃত্বের কারণে ধীরে ধীরে তিনি গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সভাপতি পদে আসীন হন। ২০১৮ সালের একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গাইবান্ধা-৩ আসনে ২০-দলীয় জোটের প্রার্থী ছিলেন জাতীয় পার্টির ডা. টিআইএম ফজলে রাব্বী চৌধুরী। নির্বাচনের পূর্বেই তিনি মারা গেলে, নির্বাচন কমিশন ভোট স্থগিত করে।
পরে বিএনপি অধ্যাপক ডা. ময়নুল হাসান সাদিককে প্রার্থী ঘোষণা করেন। সেই নির্বাচনে তিনি জনগণের সঙ্গে নিবিড় যোগাযোগ, গণসংযোগ, পথসভা ও চিকিৎসা সেবা কার্যক্রমের মাধ্যমে ব্যাপক সাড়া ফেলেন।
অধ্যাপক ডা. ময়নুল হাসান সাদিক শুধু রাজনীতিক বা চিকিৎসক নন—তিনি একজন মানবিক সমাজসেবকও।
তিনি দীর্ঘদিন ধরে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা, ওষুধ বিতরণ, রক্তদান কর্মসূচি, শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান, স্বাস্থ্য সচেতনতা এবং দুর্গত এলাকায় চিকিৎসা সহায়তা দিয়ে আসছেন। তাঁর এই উদ্যোগগুলো তাঁকে জনগণের হৃদয়ে স্থায়ীভাবে জায়গা করে দিয়েছে। অধ্যাপক ডা. ময়নুল হাসান সাদিক রাজনীতিকে দেখেন জনগণের সেবার সুযোগ হিসেবে। তিনি বলেন- আমার লক্ষ্য গাইবান্ধা-৩ আসনের মানুষের আস্থা অর্জন করা। রাজনীতি আমার কাছে ক্ষমতার নয়, এটি সেবার দায়িত্ব। আমি জনগণের পাশে থেকে তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে চাই। তাঁর এই বিনয়ী ও প্রজ্ঞাপূর্ণ বক্তব্য স্থানীয় ভোটারদের মধ্যে আশা ও আস্থার নতুন বার্তা ছড়িয়ে দিয়েছে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, অধ্যাপক ডা. ময়নুল হাসান সাদিক এই আসনে পরিবর্তনের প্রতীক হিসেবে আবির্ভূত হয়েছেন। তাঁর নেতৃত্ব, সততা ও মানবিক মূল্যবোধ গাইবান্ধা-৩ এর রাজনীতিতে এক নতুন ধারা ও নতুন প্রত্যাশা সৃষ্টি করেছে। বিএনপির স্থানীয় নেতাকর্মীরাও বিশ্বাস করেন ডা. সাদিকের নেতৃত্বে দলটি আবারও সংগঠিতভাবে মাঠে ফিরবে।#


















