ঢাকা ০৭:০৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::

মনোহরগঞ্জে এক কি.মি. সড়কের জন্য আটকে আছে সংস্কার, জনদুর্ভোগ চরমে

মনোহরগঞ্জ (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ২২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার খিলা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড উপজেলা সদরে দিশাবন্দ গ্রামের বাইপাস সংলগ্ন বাতাসির পুল থেকে মনিহাস পর্যন্ত অর্ধেক কাঁচা অর্ধেক পাকা প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তাটি দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কারের অভাবে এখন একেবারে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তার অর্ধেক অংশ পাকা, বাকি অংশ কাঁচা থাকায় বছরের পর বছর ভোগান্তিতে রয়েছেন স্থানীয় হাজারো মানুষ। স্থানীয়দের দাবি, বর্ষা মৌসুমে কাদা ও জলাবদ্ধতায় রাস্তাটি পরিণত হয় ছোটখাটো খালে, ফলে গ্রামীণ জনজীবন হয়ে পড়ে দুর্বিষহ।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় গ্রামের ওই রাস্তার বেহাল দশায় জনসাধারণের চলাচল ছিল চরম দুর্ভোগপূর্ণ। এমন পরিস্থিতিতে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বাহারুল আলম বাবর নিজস্ব অর্থায়নে এগিয়ে আসেন। তিনি একাধিকবার নিজ খরচে রাস্তা মেরামত করেন। জনপ্রতিনিধিরা যেখানে নানা অজুহাতে নীরব থেকেছেন, সেখানে বাবর নিজের উদ্যোগে মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে রাস্তাটি সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করে তুলেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,দীর্ঘ কয়েক বছর আগে গ্রামীণ যোগাযোগ উন্নয়নের অংশ হিসেবে দিশাবন্দ গ্রামের সড়কটির কিছু অংশ পাকা করা হয়। কিন্তু এরপর থেকে আর কোনো সংস্কার কাজ হয়নি। দীর্ঘদিনের অবহেলায় রাস্তাটির কাঁচা অংশে এখন ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত তৈরি হয়েছে। বর্ষাকালে কাদা-পানিতে চলাচল একপ্রকার অসম্ভব হয়ে পড়ে। ফলে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষ জনকে পড়তে হচ্ছে চরম দুর্ভোগে। ফলে এলাকার উন্নয়ন চিত্রে এই রাস্তা এখন “উদাসীনতার প্রতীক” হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গ্রামের বাসিন্দা মন্তাজ মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ১৫ বছর ধরে একই রাস্তায় কষ্ট পাচ্ছি। নেতারা ভোটের সময় প্রতিশ্রুতি দেন, কিন্তু ভোট শেষ হলেই সব ভুলে যান।
আরেক বাসিন্দা গৃহিণী রাবেয়া বেগম বলেন, বৃষ্টি নামলেই রাস্তাটা কাদা পানিতে ভরে যায়। বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানো কষ্টকর হয়ে পড়ে।
উপজেলা প্রকৌশলী শাহ আলম আইনের কণ্ঠকে বলেন, রাস্তাটির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আমরা জানি। ১৮-১৯ বছর বাজেট বরাদ্দের পরে আর কোন বরাদ্দ হয়নি। জনগণের দুর্ভোগ নিরসনে আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বরাদ্দ পাওয়া গেলে অচিরেই কাজ শুরু করা হবে।
এলাকাবাসীর দাবি, উন্নয়ন-অগ্রগতির নানা আশ্বাস পেলেও রাস্তাটির দুরবস্থা কাটেনি। তাই তারা দ্রুত রাস্তা সংস্কার ও সম্পূর্ণ পাকা করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মনোহরগঞ্জে এক কি.মি. সড়কের জন্য আটকে আছে সংস্কার, জনদুর্ভোগ চরমে

আপডেট সময় :

কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার খিলা ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড উপজেলা সদরে দিশাবন্দ গ্রামের বাইপাস সংলগ্ন বাতাসির পুল থেকে মনিহাস পর্যন্ত অর্ধেক কাঁচা অর্ধেক পাকা প্রায় এক কিলোমিটার রাস্তাটি দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কারের অভাবে এখন একেবারে চলাচলের অনুপযোগী হয়ে পড়েছে। রাস্তার অর্ধেক অংশ পাকা, বাকি অংশ কাঁচা থাকায় বছরের পর বছর ভোগান্তিতে রয়েছেন স্থানীয় হাজারো মানুষ। স্থানীয়দের দাবি, বর্ষা মৌসুমে কাদা ও জলাবদ্ধতায় রাস্তাটি পরিণত হয় ছোটখাটো খালে, ফলে গ্রামীণ জনজীবন হয়ে পড়ে দুর্বিষহ।
সরজমিনে গিয়ে জানা যায়, দীর্ঘদিন সংস্কার না হওয়ায় গ্রামের ওই রাস্তার বেহাল দশায় জনসাধারণের চলাচল ছিল চরম দুর্ভোগপূর্ণ। এমন পরিস্থিতিতে উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক বাহারুল আলম বাবর নিজস্ব অর্থায়নে এগিয়ে আসেন। তিনি একাধিকবার নিজ খরচে রাস্তা মেরামত করেন। জনপ্রতিনিধিরা যেখানে নানা অজুহাতে নীরব থেকেছেন, সেখানে বাবর নিজের উদ্যোগে মানবিক দায়িত্ববোধ থেকে রাস্তাটি সংস্কার করে চলাচলের উপযোগী করে তুলেছেন।
স্থানীয় সূত্রে জানা যায়,দীর্ঘ কয়েক বছর আগে গ্রামীণ যোগাযোগ উন্নয়নের অংশ হিসেবে দিশাবন্দ গ্রামের সড়কটির কিছু অংশ পাকা করা হয়। কিন্তু এরপর থেকে আর কোনো সংস্কার কাজ হয়নি। দীর্ঘদিনের অবহেলায় রাস্তাটির কাঁচা অংশে এখন ছোট-বড় অসংখ্য গর্ত তৈরি হয়েছে। বর্ষাকালে কাদা-পানিতে চলাচল একপ্রকার অসম্ভব হয়ে পড়ে। ফলে স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে কৃষক ও শ্রমজীবী মানুষ জনকে পড়তে হচ্ছে চরম দুর্ভোগে। ফলে এলাকার উন্নয়ন চিত্রে এই রাস্তা এখন “উদাসীনতার প্রতীক” হয়ে দাঁড়িয়েছে।
গ্রামের বাসিন্দা মন্তাজ মিয়া ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ১৫ বছর ধরে একই রাস্তায় কষ্ট পাচ্ছি। নেতারা ভোটের সময় প্রতিশ্রুতি দেন, কিন্তু ভোট শেষ হলেই সব ভুলে যান।
আরেক বাসিন্দা গৃহিণী রাবেয়া বেগম বলেন, বৃষ্টি নামলেই রাস্তাটা কাদা পানিতে ভরে যায়। বাচ্চাদের স্কুলে পাঠানো কষ্টকর হয়ে পড়ে।
উপজেলা প্রকৌশলী শাহ আলম আইনের কণ্ঠকে বলেন, রাস্তাটির বর্তমান অবস্থা সম্পর্কে আমরা জানি। ১৮-১৯ বছর বাজেট বরাদ্দের পরে আর কোন বরাদ্দ হয়নি। জনগণের দুর্ভোগ নিরসনে আমরা আন্তরিকভাবে কাজ করে যাচ্ছি। বরাদ্দ পাওয়া গেলে অচিরেই কাজ শুরু করা হবে।
এলাকাবাসীর দাবি, উন্নয়ন-অগ্রগতির নানা আশ্বাস পেলেও রাস্তাটির দুরবস্থা কাটেনি। তাই তারা দ্রুত রাস্তা সংস্কার ও সম্পূর্ণ পাকা করার জন্য প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।