ঢাকা ০৩:১৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৫

রামুতে পল্লী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ

কক্সবাজার প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১২৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

কক্সবাজারের রামু উপজেলার ঈদগড়ে এক সময়ের ওষুধ বিক্রেতা জালাল উদ্দীনের বিরুদ্ধে এখন রোগী দেখা ও অপারেশন করার মতো চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়ভাবে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি কোনো অনুমোদিত মেডিকেল প্রশিক্ষণ বা নিবন্ধন ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা দিয়ে আসছেন।
ভুল চিকিৎসার কারণে রোগী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঈদগড়ের বাসিন্দা আবু বক্কর ছিদ্দিক দাবি করেন—হাতের আঘাত সারাতে জালালের কাছে চিকিৎসা নেন তিনি। প্রায় তিন মাস চিকিৎসা নেওয়ার পর তার তিনটি আঙুল অবশ হয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ভুক্তভোগীর বক্তব্য সংগ্রহের পর সংবাদকর্মীরা জালালের ফার্মেসিতে গেলে প্রথমে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন। পরে ভুক্তভোগীর সাক্ষাৎকার ও ছবি দেখানো হলে জালাল স্বীকার করেন যে আবু বক্কর তার দোকানে এসেছিলেন, তবে তিনি দাবি করেন — রোগীর চিকিৎসা নেওয়ার বিষয়টি ‘সঠিক নয়’। সাংবাদিকদের সামনে তিনি বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিকে ফোন করেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড প্রতিনিধি এবং ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান—বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। ঈদগড় ডাক্তার সমিতি থেকে জানানো হয়, জালাল কোনো ডাক্তার বা ফার্মেসি সমিতির নিবন্ধিত সদস্য নন।
স্থানীয়দের অভিযোগ—লাইসেন্স ও যোগ্যতা ছাড়াই চিকিৎসা, প্রেসক্রিপশন দেওয়া ও অপারেশন করার মতো ঝুঁকিপূর্ণ কর্মকাণ্ড চললেও তদারকি না থাকায় সাধারণ মানুষ ঝুঁকিতে পড়ছে।
জনসাধারণ প্রশাসনের কাছে অবৈধ চিকিৎসা কার্যক্রমের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রামুতে পল্লী চিকিৎসকের বিরুদ্ধে ভুল চিকিৎসার অভিযোগ

আপডেট সময় :

কক্সবাজারের রামু উপজেলার ঈদগড়ে এক সময়ের ওষুধ বিক্রেতা জালাল উদ্দীনের বিরুদ্ধে এখন রোগী দেখা ও অপারেশন করার মতো চিকিৎসা কার্যক্রম পরিচালনার অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয়ভাবে পাওয়া তথ্য অনুযায়ী, তিনি কোনো অনুমোদিত মেডিকেল প্রশিক্ষণ বা নিবন্ধন ছাড়াই দীর্ঘদিন ধরে চিকিৎসা দিয়ে আসছেন।
ভুল চিকিৎসার কারণে রোগী ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ারও অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঈদগড়ের বাসিন্দা আবু বক্কর ছিদ্দিক দাবি করেন—হাতের আঘাত সারাতে জালালের কাছে চিকিৎসা নেন তিনি। প্রায় তিন মাস চিকিৎসা নেওয়ার পর তার তিনটি আঙুল অবশ হয়ে যায় বলে অভিযোগ করেন তিনি।
ভুক্তভোগীর বক্তব্য সংগ্রহের পর সংবাদকর্মীরা জালালের ফার্মেসিতে গেলে প্রথমে তিনি অভিযোগ অস্বীকার করেন। পরে ভুক্তভোগীর সাক্ষাৎকার ও ছবি দেখানো হলে জালাল স্বীকার করেন যে আবু বক্কর তার দোকানে এসেছিলেন, তবে তিনি দাবি করেন — রোগীর চিকিৎসা নেওয়ার বিষয়টি ‘সঠিক নয়’। সাংবাদিকদের সামনে তিনি বিভিন্ন প্রভাবশালী ব্যক্তিকে ফোন করেও পরিস্থিতি সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেন বলে অভিযোগ পাওয়া যায়।
এ বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড প্রতিনিধি এবং ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের সঙ্গে কথা হলে তারা জানান—বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে। ঈদগড় ডাক্তার সমিতি থেকে জানানো হয়, জালাল কোনো ডাক্তার বা ফার্মেসি সমিতির নিবন্ধিত সদস্য নন।
স্থানীয়দের অভিযোগ—লাইসেন্স ও যোগ্যতা ছাড়াই চিকিৎসা, প্রেসক্রিপশন দেওয়া ও অপারেশন করার মতো ঝুঁকিপূর্ণ কর্মকাণ্ড চললেও তদারকি না থাকায় সাধারণ মানুষ ঝুঁকিতে পড়ছে।
জনসাধারণ প্রশাসনের কাছে অবৈধ চিকিৎসা কার্যক্রমের বিরুদ্ধে দ্রুত তদন্ত ও প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন।