কেশবপুরে সরিষার বাম্পার ফলনের সম্ভাবনা
- আপডেট সময় : ১১ বার পড়া হয়েছে
যশোরের কেশবপুর উপজেলায় হেমন্তের সকালে হালকা কুয়াশার চাদরে মোড়ানো সোনালি রোদের উষ্ণতায় মৌমাছিরা মধু আহরণে গুঞ্জন তুলেছে সরিষা খেতে। বিস্তৃত ফসলে মাঠজুড়ে হলুদের সমারোহ। নৈস্বর্গিক রূপের আবহাওয়ায় দিগন্ত ছুঁয়েছে। সরিষা ফুলের গন্ধে বিভোর সারা মাঠ। কেশবপুরের ১১টি ইউনিয়নের বিস্তৃত মাঠজুড়ে বারি সরিষা চাষের উৎসবে মেতেছেন কৃষকরা। সরিষার ভালো ফলনের সম্ভাবনায় কৃষকের মুখে হাসি ফুটেছে।
উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, এ বছর সরকারিভাবে ৪ হাজার কৃষকের মধ্যে বিনামূল্যে বীজ ও সার বিতরণ করা হয়েছে। গত বছর এ উপজেলায় ১ হাজার ৫৭০ হেক্টর জমিতে সরিষার আবাদ হয়েছিল। চলতি বছর সরিষার আবাদ হয়েছে ২ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে। সে হিসেবে এ বছর সরিষা চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছিল হাজার ৫৭০ হেক্টর জমি। গত বছরের চেয়ে এ বছর বেড়ে ৫০৫ হেক্টর বেশি জমিতে সরিষার আবাদ করেছেন কৃষকরা। কৃষকের মাঠে আগাম জাতের বারি সরিষা চাষে ভালো ফলনের সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। কেশবপুরের কৃষকরা বোরো আবাদের আগে একই জমিতে আগাম বারি-১৪, বারি-৯, বারি বীনা-৯, বারি-১৮, বারি-১৭ ও টরি-৭ জাতের সরিষা চাষ করে আসছেন দীর্ঘদিন ধরে। আর সরিষার বাম্পার ফলন ঘরে তোলার সঙ্গে সঙ্গে কৃষি অধিদপ্তর কর্তৃক প্রদত্ত বার্ষিক লক্ষ্য মাত্রা অর্জিত করতে সক্ষম হয়। পাশাপাশি অধিক ফলনশীল বারি-১৪ ও বারি-৯ জাতের এই সরিষা চাষ করে কৃষকরা বোরো আবাদের খরচ উঠিয়ে নেয়।
উপজেলার মজিদপুর ইউনিয়নে দায়িত্বপ্রাপ্ত উপ-সহকারী কৃষি কর্মকর্তা নাজমুল আলম বলেন, এ বছর নতুন করে টরি-৭, বারি-৯, বারি বীনা-৯, বারি-১৭ ও বারি-১৮ জাতের উচ্চ ফলনশীল সরিষা চাষ শুরু করেছে। এসব জাতের সরিষা ৭০-৮৫ দিনের মধ্যে কৃষকরা ঘরে তুলতে পারে। যার ফলে কৃষকরা সরিষা চাষের পরে খুব সহজে বোরো আবাদ করতে পারেন। যে কারণে উপজেলাব্যাপী কৃষকরা সরিষা চাষে ঝুঁকছেন বেশি। পাঁজিয়া গ্রামের নিয়ামুল ইসলাম,কামরুল , বিধান দাস, সাতবাড়িয়া গ্রামের আব্দুর রহমান, আজিজুর রহমান, সহ অনেক কৃষকরা এ প্রতিনিধি কে জানান,গত বছরের তুলনায় এবছরে বৃষ্টির পানি কম থাকলেও সারিষা ফলন ভালো। বিঘাপ্রতি জমিতে ৭/৮ হাজার টাকা খরচ করে প্রায় ৬/৭ মণ সারিষা পাবে বলে তারা ধারণা করেছে।বাজারে সারিষার দামও ভালো পাওয়া যাবে।এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার আব্দুল্লাহ মামুন জানান,এবার কেশবপুর উপজেলায় ২ হাজার ৭৫ হেক্টর জমিতে বিভিন্ন জাতের সরিষা চাষ করেছে কৃষকরা। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় সারিষার ভালো ফলনের দেখা দিয়েছে। কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ না হলে কৃষকরা তাদের মাঠের সরিষা সুন্দরভাবে কেটে ঘরে তুলতে পারবে।

















