ঢাকা ০৯:১২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৪ মার্চ ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আগামী ২৮শে মার্চ বেইজিংয়ে শির সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসছেন ড. ইউনূস Logo শ্রীপুরে আছিয়ার দাফন সম্পন্ন, ধর্ষণে অভিযুক্তের বাড়িতে জনতার আগুন Logo তিস্তা নদীর সমন্বিত ব্যবস্থাপনা ও পুনরুদ্ধার শীর্ষক মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo ডামুড্যায় জাতীয় পরিচয়পত্র সেবা ইসির অধীনে রাখতে মানববন্ধন Logo সব সাংবাদিক আমার কাছে সমান, কোন অন্যায় কে প্রশ্রয় দেয়া হবে না : চকরিয়ার নবাগত ওসি Logo ময়মনসিংহে মিশুক চালকের মরদেহ উদ্ধার Logo নাটোরে আদিবাসীদের আন্তর্জাতিক নারী দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo না ফেরার দেশে মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশু Logo ত্রিশালে নির্বাচন অফিসের মানববন্ধন  অবস্থান কর্মসূচি   Logo এনআইডি সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখতে নরসিংদীতে মানববন্ধন

ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে বন্যা পরিস্থিতির অবণতির আশঙ্কা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০২:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪ ৪১০ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সাগরে সৃষ্টি লঘুচাপ এবং মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দেশের অধিকাংশ এলাকায় ভারী বর্ষণ হচ্ছে। বিশেষ করে সিলেট-সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যা পরিস্থিতির অবণতি আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ভারতের পাহাড়ি ঢলের তোড়ে ফেণীর মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙ্গে একাধিক উপজেলার নিম্নঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে চলমান এইচএসসি পরীক্ষা।

এ অবস্থায় বুধবার (৩ জুলাই) পর্যন্ত ভারী বর্ষণের বার্তা দিলো আবহাওয়া অধিদফতর। এতে আরও বেশ কিছু এলাকায় নতুন করে বন্যা আশঙ্কা রয়েছে।

ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে বন্যা হয়েছে। সেই পানি ভাটির দেশ বাংলাদেশে নেমে আসবে। সঙ্গে ভারী বর্ষণের ফলে দেশের বেশিরভাগ নদ-নদীর পানি আবারও বাড়তে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে পাঁচ নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। আরও বেশ কিছু নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে ওঠার শঙ্কা প্রকাশ করেছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণকেন্দ্র। এতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণকেন্দ্র জানায়, দেশের ৫টি নদীর ৬ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপরে অবস্থান করছে। এর মধ্যে তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার, সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে ৩০, সুনামগঞ্জ পয়েন্টে ৩, যদুকাটা নদীর লরেরগড় পয়েন্টে ৯৬, সোমেশ্বরী নদীর কলমাকান্দা পয়েন্টে বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারা নদীর মারকুলি পয়েন্টে পানি আজ (সোমবার) ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। রবিবার (৩০ জুন) একমাত্র মারকুলি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপরে ছিল।

গত ২৪ ঘণ্টায় কেন্দ্রের স্টেশনগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে সুনামগঞ্জের লরেরগড় পয়েন্টে ২৩৭ মিলিমিটার। আর সর্বনিম্ন বৃষ্টি হয়েছে সিলেটের লাটুতে ৫০ মিলিমিটার। এছাড়া উজানে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে চেরাপুঞ্জিতে ৩১৩ মিলিমিটার, আর সর্বনিম্ন বৃষ্টি হয়েছে আগরতলায় ৪২ মিলিমিটার।

ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। তবে গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি স্থিতিশীল আছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এদিকে কুশিয়ারা ছাড়া দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে, এ সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদীগুলোর পানি সময় বিশেষে দ্রুত বাড়তে পারে।

আগামী ৪৮ ঘণ্টায় উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কয়েকটি পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করে সংশ্লিষ্ট নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। একইসঙ্গে আগামী ৭২ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে কয়েকটি পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। এছাড়া আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার কয়েকটি নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে।

 

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ভারী বর্ষণ ও ভারত থেকে নেমে আসা ঢলে বন্যা পরিস্থিতির অবণতির আশঙ্কা

আপডেট সময় : ১১:০২:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪

 

সাগরে সৃষ্টি লঘুচাপ এবং মৌসুমি বায়ুর প্রভাবে দেশের অধিকাংশ এলাকায় ভারী বর্ষণ হচ্ছে। বিশেষ করে সিলেট-সুনামগঞ্জে বৃষ্টিপাতের কারণে বন্যা পরিস্থিতির অবণতি আশঙ্কা করা হচ্ছে। এরই মধ্যে ভারতের পাহাড়ি ঢলের তোড়ে ফেণীর মুহুরী নদীর বাঁধ ভেঙ্গে একাধিক উপজেলার নিম্নঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। স্থগিত করা হয়েছে চলমান এইচএসসি পরীক্ষা।

এ অবস্থায় বুধবার (৩ জুলাই) পর্যন্ত ভারী বর্ষণের বার্তা দিলো আবহাওয়া অধিদফতর। এতে আরও বেশ কিছু এলাকায় নতুন করে বন্যা আশঙ্কা রয়েছে।

ভারতের উত্তরপূর্বাঞ্চলীয় রাজ্য আসামে বন্যা হয়েছে। সেই পানি ভাটির দেশ বাংলাদেশে নেমে আসবে। সঙ্গে ভারী বর্ষণের ফলে দেশের বেশিরভাগ নদ-নদীর পানি আবারও বাড়তে শুরু করেছে। ইতোমধ্যে পাঁচ নদীর পানি বিপদসীমার ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে। আরও বেশ কিছু নদীর পানি বিপদসীমার ওপরে ওঠার শঙ্কা প্রকাশ করেছে বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণকেন্দ্র। এতে বন্যা পরিস্থিতির অবনতি ঘটেছে।

বন্যা পূর্বাভাস ও সতর্কীকরণকেন্দ্র জানায়, দেশের ৫টি নদীর ৬ পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপরে অবস্থান করছে। এর মধ্যে তিস্তা নদীর কাউনিয়া পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ৫ সেন্টিমিটার, সুরমা নদীর কানাইঘাট পয়েন্টে ৩০, সুনামগঞ্জ পয়েন্টে ৩, যদুকাটা নদীর লরেরগড় পয়েন্টে ৯৬, সোমেশ্বরী নদীর কলমাকান্দা পয়েন্টে বিপদসীমার ১৪ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এছাড়া কুশিয়ারা নদীর মারকুলি পয়েন্টে পানি আজ (সোমবার) ১৩ সেন্টিমিটার ওপর দিয়ে বইছে। রবিবার (৩০ জুন) একমাত্র মারকুলি পয়েন্টে পানি বিপদসীমার ওপরে ছিল।

গত ২৪ ঘণ্টায় কেন্দ্রের স্টেশনগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে সুনামগঞ্জের লরেরগড় পয়েন্টে ২৩৭ মিলিমিটার। আর সর্বনিম্ন বৃষ্টি হয়েছে সিলেটের লাটুতে ৫০ মিলিমিটার। এছাড়া উজানে সর্বোচ্চ বৃষ্টি হয়েছে চেরাপুঞ্জিতে ৩১৩ মিলিমিটার, আর সর্বনিম্ন বৃষ্টি হয়েছে আগরতলায় ৪২ মিলিমিটার।

ব্রহ্মপুত্র-যমুনা নদ-নদীর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে, যা আগামী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। তবে গঙ্গা-পদ্মা নদীর পানি স্থিতিশীল আছে, যা আগামী ২৪ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে। এদিকে কুশিয়ারা ছাড়া দেশের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের প্রধান নদীগুলোর পানি বৃদ্ধি পাচ্ছে।

আবহাওয়া সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চল ও তৎসংলগ্ন উজানে আগামী ৪৮ ঘণ্টায় ভারী থেকে অতি ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস রয়েছে। ফলে, এ সময়ে দেশের উত্তরাঞ্চল, উত্তর-পূর্বাঞ্চলের নদীগুলোর পানি সময় বিশেষে দ্রুত বাড়তে পারে।

আগামী ৪৮ ঘণ্টায় উত্তরাঞ্চলের তিস্তা, ধরলা ও দুধকুমার নদীর পানি বৃদ্ধি পেয়ে কয়েকটি পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করে সংশ্লিষ্ট নিম্নাঞ্চলে স্বল্পমেয়াদি বন্যা পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পারে। একইসঙ্গে আগামী ৭২ ঘণ্টায় ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বৃদ্ধি পেয়ে কয়েকটি পয়েন্টে বিপদসীমা অতিক্রম করতে পারে। এছাড়া আগামী ২৪ ঘণ্টায় উত্তর-পূর্বাঞ্চলের সিলেট, সুনামগঞ্জ ও নেত্রকোনা জেলার কয়েকটি নিম্নাঞ্চলে বন্যা পরিস্থিতির কিছুটা অবনতি হতে পারে।