ঢাকা ১২:১৪ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ত্রিশালে জমি সংক্রান্ত বিরোধে দুই শতাধিক পেঁপে গাছ নিধনের অভিযোগ Logo দাগনভূঞায় সেতু আছে, সড়ক নেই। জনভোগান্তি চরমে Logo বাগেরহাটে জমি দখলের চেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ সংবাদ সম্মেলনে Logo নিয়ামতপুরে বিএনপির উঠান বৈঠক Logo দিনাজপুরে পুষ্টির সচেতনতামূলক বৃদ্ধিকরন নিয়ে কর্মশালা Logo শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘ ১৫ বছর পর চালু হলো ৩ কেবিন  Logo পাথরঘাটায় প্রবাসী স্ত্রীকে মারধর করে টাকা-স্বর্ণালংকার লুট, ১৮ লাখ চাঁদা দাবি  Logo নরসিংদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ পরিবারের মাঝে চেক বিতরণ Logo মামলার বাদীকে ভয়ভীতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Logo নাটোরে জুঁই হত্যাকারীদের গ্রেফতারে আল্টিমেটাম, দিল বৈষম্যছাত্র বিরোধী আন্দোলন

ঢাকার বিভিন্ন স্থানে পুলিশ-আন্দোলনকারী সংঘর্ষ

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০১:৪১:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪ ২২৩ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

দেশজুড়ে চলছে কমপ্লিট শাটডাউন। সারাদেশের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত ভেঙ্গে পড়েছে। দূরপাল্লার কোন যানবাহন চলছে না। সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষো করছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা।

ঢাকা, চট্টগ্রাম, টাঙ্গাইল, নাটোর, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচী চলছে।

ঢাকার বাড্ডা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রামপুরা পুলিশ ফাঁড়িতে আগুেিনর ঘটনা ঘটে। ঢাকায় গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। অন্যান্য যানবাহনও তেমন একটা চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে না। সীমিত আকারে রিকশা চলাচল করছে ঢাকায়।

মিরপুর ১০ নম্বরে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের হটিয়ে দখলে নেওয়ার পর ছাত্রদের ওপর হামলা করেছে পুলিশ।

পুলিশ টিয়ার শেল ও গুলি ছুড়ে ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এলাকায় রাস্তায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কমপক্ষে ৫টি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়েছে।

মিরপুর-১০ নম্বরে পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলকারীদের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১১টার দিকে শহীদ পুলিশ স্মৃতি কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও আশপাশের শিক্ষার্থীরা মিরপুর-১০ গোল চত্বরে এসে অবস্থান নেন।

এসময় কোটাবিরোধী আন্দোলনের ওপর ভর করে স্বাধীনতা বিরোধীদের নৈরাজ্য সৃষ্টির’ প্রতিবাদে একটি সমাবেশ ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠান করছিলেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরে আন্দোলনকারীদের হামলায় সেই সভা পন্ড হয়ে যায়।


আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের সদস্যরা মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দিকে অবস্থান দেন। সেদিকে অবস্থান পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য। তাদের সঙ্গে সাঁজোয়া যানও দেখা গেছে।

এ ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে আশেপাশের বিভিন্ন গলিতে অবস্থান নেন। এরপর থেকেই তাদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে।

রাজধানীর বিভান্ন স্থানে এই মুহূর্তে পুলিশ ও ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষ চলছে।

যাত্রাবাড়ীতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবস্থান নিয়েছে আন্দোলনকারীরা। বুধবার (১৭ জুলাই) রাতে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের যে টোলপ্লাজায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়, তার পাশেই অবস্থান করছেন তারা। তাদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের ওয়ারী বিভাগের এডিসি মো. আলাউদ্দীন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, কোটা আন্দোলন এখন আর শিক্ষার্থীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এখানে যে সংঘর্ষটা হচ্ছে, তাতে সম্পূর্ণভাবে অংশ নিয়েছেন জামাত-শিবিরের কর্মীরা। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আনার চেষ্টা করছি।

মহাসড়কটিতে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। এরফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।

ঘটনার অদূরেই যাত্রাবাড়ী মোড়ে অবস্থান নিয়ে মিছিল ও বিক্ষোভ করছেন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ, যুবলীগের কর্মীরা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঢাকার বিভিন্ন স্থানে পুলিশ-আন্দোলনকারী সংঘর্ষ

আপডেট সময় : ০১:৪১:৪৪ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ জুলাই ২০২৪

 

দেশজুড়ে চলছে কমপ্লিট শাটডাউন। সারাদেশের সঙ্গে ঢাকার যোগাযোগ ব্যবস্থা কার্যত ভেঙ্গে পড়েছে। দূরপাল্লার কোন যানবাহন চলছে না। সড়ক-মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষো করছে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীরা।

ঢাকা, চট্টগ্রাম, টাঙ্গাইল, নাটোর, রাজশাহীসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচী চলছে।

ঢাকার বাড্ডা এলাকায় সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। রামপুরা পুলিশ ফাঁড়িতে আগুেিনর ঘটনা ঘটে। ঢাকায় গণপরিবহন চলাচল বন্ধ রয়েছে। অন্যান্য যানবাহনও তেমন একটা চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে না। সীমিত আকারে রিকশা চলাচল করছে ঢাকায়।

মিরপুর ১০ নম্বরে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনের নেতাকর্মীদের হটিয়ে দখলে নেওয়ার পর ছাত্রদের ওপর হামলা করেছে পুলিশ।

পুলিশ টিয়ার শেল ও গুলি ছুড়ে ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করে দেওয়ার চেষ্টা করছে। এলাকায় রাস্তায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়েছে। কমপক্ষে ৫টি মোটরসাইকেলে আগুন দেওয়া হয়েছে।

মিরপুর-১০ নম্বরে পুলিশ এবং আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের সঙ্গে আন্দোলকারীদের ত্রিমুখী সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, সকাল ১১টার দিকে শহীদ পুলিশ স্মৃতি কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও আশপাশের শিক্ষার্থীরা মিরপুর-১০ গোল চত্বরে এসে অবস্থান নেন।

এসময় কোটাবিরোধী আন্দোলনের ওপর ভর করে স্বাধীনতা বিরোধীদের নৈরাজ্য সৃষ্টির’ প্রতিবাদে একটি সমাবেশ ও বিক্ষোভ অনুষ্ঠান করছিলেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরে আন্দোলনকারীদের হামলায় সেই সভা পন্ড হয়ে যায়।


আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের সদস্যরা মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামের দিকে অবস্থান দেন। সেদিকে অবস্থান পুলিশসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল সংখ্যক সদস্য। তাদের সঙ্গে সাঁজোয়া যানও দেখা গেছে।

এ ঘটনার কিছুক্ষণ পরেই পুলিশ সাউন্ড গ্রেনেড ছুড়ে আন্দোলনকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। আন্দোলনকারীরা ছত্রভঙ্গ হয়ে আশেপাশের বিভিন্ন গলিতে অবস্থান নেন। এরপর থেকেই তাদের মধ্যে দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া চলছে।

রাজধানীর বিভান্ন স্থানে এই মুহূর্তে পুলিশ ও ছাত্রলীগ-আওয়ামী লীগের ত্রিমুখী সংঘর্ষ চলছে।

যাত্রাবাড়ীতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক অবস্থান নিয়েছে আন্দোলনকারীরা। বুধবার (১৭ জুলাই) রাতে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের যে টোলপ্লাজায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়, তার পাশেই অবস্থান করছেন তারা। তাদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটছে।

ঢাকা মহানগর পুলিশের ওয়ারী বিভাগের এডিসি মো. আলাউদ্দীন সংবাদমাধ্যমকে বলেন, কোটা আন্দোলন এখন আর শিক্ষার্থীদের মধ্যে সীমাবদ্ধ নেই। এখানে যে সংঘর্ষটা হচ্ছে, তাতে সম্পূর্ণভাবে অংশ নিয়েছেন জামাত-শিবিরের কর্মীরা। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের আনার চেষ্টা করছি।

মহাসড়কটিতে যান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ হয়ে গেছে। এরফলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। উত্তেজনাকর পরিস্থিতিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা।

ঘটনার অদূরেই যাত্রাবাড়ী মোড়ে অবস্থান নিয়ে মিছিল ও বিক্ষোভ করছেন আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগ, যুবলীগের কর্মীরা।