কক্সবাজারে অপহরণ আতঙ্ক, ৫ দিন পর অপহৃত অটোচালককে উদ্ধার করলো র্যাব
- আপডেট সময় : ০৭:৩০:২৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ মার্চ ২০২৪ ২০৯ বার পড়া হয়েছে
কক্সবাজারে অপহরণ আতঙ্ক বিরাজ করছে। টেকনাফ থেকে একাধিক ব্যক্তি অপহরণের কয়েকদিন পর উদ্ধার করা হয়েছে। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই কক্সবাজারের কলাতলী থেকে এক অটো চালককে অপরহরণ করা হয়। এ ঘটনার ৫ দিনের মাথায় রামুর রাজারকুলের উমখালীর গহিন পাহাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে অপহৃদ জাহেদ হোসাইনকে (২৫) হাত-পা বাধা অবস্থায় উদ্ধার করে কক্সবাজার র্যাব-১৫। অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন শামীম এতথ্য জানান।
অটো চালক জাহেদ হোসাইনের বাড়ি উখিয়া উপজেলার রত্নাপালং ইউনিয়নের গায়ালা মারা এলাকায়। তার বাবার ছিদ্দিক আহমদ।
জানা গেছে, গত বৃহস্পতিবার (২১ মার্চ) রাত ৮টা নাগাদ কক্সবাজার শহরের কলাতলী থেকে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে দুজন সিএনজিচালিত অটোরিকশা ভাড়া নিয়ে যান লিংকরোড এলাকায়। সেখানে পৌঁছে চালক জাহেদ হোসাইনকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয় গহিন পাহাড়ে। সেখানে তার হাত-পা বেঁধে স্বজনদের ফোনে একাধিকবার কল করে মুক্তিপণ হিসাবে চাওয়া হয় পাঁচ লাখ টাকা।
অপহৃত চালকের বড় ভাই সৈয়দ হোসেন জানান, বৃহস্পতিবার রাত ৮টার দিকে এক নারী ও এক পুরুষ যাত্রী সেজে কলাতলী থেকে রামুর কলঘর বাজার যাওয়ার জন্য জাহেদের অটোরিকশা ভাড়া করেন। লিংকরোড এলাকায় পৌঁছানোর পর জাহেদকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে অপহরণ করা হয়। পরে জাহেদের ফোন থেকেই একাধিকবার কল করে পাঁচ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে তারা।
সবশেষ অপহরণকারীরা জানান, ২৫ মার্চ রাতের মধ্যে টাকা না দিলে জাহেদকে কেটে টুকরো টুকরো করে লাশ পাঠিয়ে দেওয়া হবে। এ পরিস্থিতিতে তারা (স্বজনরা) র্যাবের শরণাপন্ন হন।
র্যাব কর্মকর্তা শামীম জানান, অপহরণকারীদের অবস্থানস্থল চিহ্নিত করে কয়েকশ গ্রামবাসীকে সঙ্গে নিয়ে অপহরণকারীদের আস্তানা ঘিরে ফেলা হয়। অভিযানের বিষয়টি আঁচ করতে পেরে অপহৃত জাহেদকে রেখেই সটকে পড়ে অপহরণকারী চক্রের বেশিরভাগ সদস্য। এসময় দুর্গম পাহাড়ি ঢাল থেকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় জাহেদকে উদ্ধার এবং অপহরণ চক্রের এক সদস্যকে আটক করা হয়।
গ্রেফতার শাহাব উদ্দিন ওরফে ইকবাল (২৮) কক্সবাজারের রামু থানার উমখালী এলাকার বাসিন্দা মৃত আব্দুল হাকিমের ছেলে। অভিযানের নেতৃত্বে থাকা কক্সবাজার র্যাব-১৫ এর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আনোয়ার হোসেন শামীম বলেন, কক্সবাজার থেকে অপহরণ-মুক্তিপণের এ চক্রকে নির্মূলে র্যাবের তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।