ঢাকা ০৬:১৪ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

কালোটাকা অর্থনীতির কাজে আসে না, ভোগ-বিলাসের কাজে ব্যয় হয়: এনবিআর চেয়ারম্যান

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:১৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪ ১৩৮ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

এনবিআর চেয়ারম্যান পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, কালোটাকা দেশের অর্থনীতির কাজে ব্যবহৃত বা কাজে আসে না, ভোগ-বিলাসের কাজে ব্যয় হয়। বেশি ভাগ কালোটাকার গন্তব্য দেশের বাইরে।

দেশের রাজস্ব আহরোণের শীর্ষ সংস্থা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম আরও উল্লেখ করেন, কথায় কথায় বলা হয়, কালোটাকাকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কালোটাকা যারা তৈরি করেন, তারা দেশের অভ্যন্তরের অর্থনীতিতে ব্যবহার করার জন্য করেন না। বাজেটে প্রস্তাব আনার পর একটা কথা আসছে যে কালোটাকা সাদা করার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তবে রাজস্ব বোর্ড এভাবে দেখছে না।

বাজেট পরিবর্তী অর্থমন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলন শুক্রবার (৭ জুন) হয়ে গেল ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়েই এসব কথা তুলে ধরেন এনবিআর চেয়ারম্যান।

এনবিআর চেয়ারম্যানের মতে, বিভিন্ন কারণেই অপ্রদর্শিত কিছু সম্পদ থাকতে পারে। অসতর্কতার জন্য, অজ্ঞতার কারণে অথবা অন্যের মাধ্যমে আয়কর রিটার্ন দেওয়ার কারণে অনেকের সম্পদের তথ্য অপ্রদর্শিত থেকে যায়। এ ধরনের অপ্রদর্শিত অর্থ দেখানো নিয়ে সমস্যায় পড়েন এমন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে আবেদনও এসেছে। এসব ব্যবসায়ী অপ্রদর্শিত সম্পদ দেখাতে চান, কিন্তু সম্পদের উৎসের জবাব দিতে পারছেন না।

চেয়ারম্যান বলেন, সম্পদ প্রদর্শনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু জায়গায় বৈধ আয় নিয়ে ব্যবসায়ীরা বেকায়দায় রয়েছেন, এমন তথ্যে প্রেক্ষিতে এনবিআর-এর তরফে প্রস্তাব দেয়া হয়। তিনি বলেন, জমি কেনা-বেচার ক্ষেত্রে কিছু টাকা আমাদের অজ্ঞাতেই কালো হয়ে যায় বা অপ্রদর্শিত থেকে যায়।

তার মতে অপ্রিয় হলেও সত্য যে, এখান থেকে এখনও মুক্ত হওয়া যায়নি। এ ধরনের কিছু অনিবার্য কারণে যারা সম্পদ দেখাতে পারেননি, সে সম্পদ দেখানোর সুযোগ দেওয়া হয়েছে। যা কিনা পৃথিবীর অনেক দেশেই এমন সুযোগ রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কালোটাকা অর্থনীতির কাজে আসে না, ভোগ-বিলাসের কাজে ব্যয় হয়: এনবিআর চেয়ারম্যান

আপডেট সময় : ০৯:১৬:৫৯ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৮ জুন ২০২৪

 

এনবিআর চেয়ারম্যান পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছেন, কালোটাকা দেশের অর্থনীতির কাজে ব্যবহৃত বা কাজে আসে না, ভোগ-বিলাসের কাজে ব্যয় হয়। বেশি ভাগ কালোটাকার গন্তব্য দেশের বাইরে।

দেশের রাজস্ব আহরোণের শীর্ষ সংস্থা জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের (এনবিআর) চেয়ারম্যান আবু হেনা মো. রহমাতুল মুনিম আরও উল্লেখ করেন, কথায় কথায় বলা হয়, কালোটাকাকে প্রশ্রয় দেওয়া হচ্ছে। কিন্তু কালোটাকা যারা তৈরি করেন, তারা দেশের অভ্যন্তরের অর্থনীতিতে ব্যবহার করার জন্য করেন না। বাজেটে প্রস্তাব আনার পর একটা কথা আসছে যে কালোটাকা সাদা করার জন্য এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে, তবে রাজস্ব বোর্ড এভাবে দেখছে না।

বাজেট পরিবর্তী অর্থমন্ত্রণালয়ের সংবাদ সম্মেলন শুক্রবার (৭ জুন) হয়ে গেল ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে। সেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়েই এসব কথা তুলে ধরেন এনবিআর চেয়ারম্যান।

এনবিআর চেয়ারম্যানের মতে, বিভিন্ন কারণেই অপ্রদর্শিত কিছু সম্পদ থাকতে পারে। অসতর্কতার জন্য, অজ্ঞতার কারণে অথবা অন্যের মাধ্যমে আয়কর রিটার্ন দেওয়ার কারণে অনেকের সম্পদের তথ্য অপ্রদর্শিত থেকে যায়। এ ধরনের অপ্রদর্শিত অর্থ দেখানো নিয়ে সমস্যায় পড়েন এমন ব্যবসায়ীর কাছ থেকে আবেদনও এসেছে। এসব ব্যবসায়ী অপ্রদর্শিত সম্পদ দেখাতে চান, কিন্তু সম্পদের উৎসের জবাব দিতে পারছেন না।

চেয়ারম্যান বলেন, সম্পদ প্রদর্শনের ক্ষেত্রে বেশ কিছু জায়গায় বৈধ আয় নিয়ে ব্যবসায়ীরা বেকায়দায় রয়েছেন, এমন তথ্যে প্রেক্ষিতে এনবিআর-এর তরফে প্রস্তাব দেয়া হয়। তিনি বলেন, জমি কেনা-বেচার ক্ষেত্রে কিছু টাকা আমাদের অজ্ঞাতেই কালো হয়ে যায় বা অপ্রদর্শিত থেকে যায়।

তার মতে অপ্রিয় হলেও সত্য যে, এখান থেকে এখনও মুক্ত হওয়া যায়নি। এ ধরনের কিছু অনিবার্য কারণে যারা সম্পদ দেখাতে পারেননি, সে সম্পদ দেখানোর সুযোগ দেওয়া হয়েছে। যা কিনা পৃথিবীর অনেক দেশেই এমন সুযোগ রয়েছে।