ঢাকা ০৫:০০ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১০ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মুন্সিগঞ্জে অবৈধ ফুটপাত উচ্ছেদে প্রশাসনের অ্যাকশন Logo এসএসসি ও সমমান পরিক্ষা শুরু মুন্সিগঞ্জে অংশনিচ্ছে মোট ১৬হাজার ২শ ৩০পরিক্ষার্থী Logo রামু প্রেস ক্লাবের জরুরী সভায় অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার  Logo এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ময়মনসিংহে কমেছে পরীক্ষার্থীর হার Logo দিনাজপুরে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo শ্যামনগরে ভূয়া এনজিও প্রতিষ্ঠান তালাবদ্ধ, তিন কর্মকর্তা আটক Logo রাজবাড়ীতে সাবেক পৌরসভা মেয়রের জামিন না মঞ্জুর, কারাগারে প্রেরন Logo ৮ মাস ধরে অবরুদ্ধ একটি স্কুল ও সরকারি ডাকঘর  Logo পাইকগাছায় ছাত্রদের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন Logo মানিকগঞ্জে এলজিইডির ৮ কোটি টাকার প্রকল্পের কাজ চলছে ভেকু দিয়ে

কোটার পক্ষ-বিপক্ষ আন্দোলনে উত্তাল ইবি

ইবি প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০২:০৩:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪ ৪২৬ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থা বাতিল ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝাল চত্বর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পরে মিছিলটি প্রধান ফটক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে ছাত্র সমাবেশ করে। পরে শিক্ষার্থীরা ৪ দফা দাবি পেশ করেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘চাকরিতে কোটা, মানি না, মানবো না’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, কোটার ঠাঁই নাই’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথা কবর দে’, ‘কোটা পদ্ধতি নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’ সহ নানা স্লোগান দেন।

তাদের দাবিগুলো হলো- ১. ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধা-ভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা।

২. ১৮ এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসা। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।

৩. সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শুন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া।

৪. দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধা-ভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়্।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, বৈষম্য থেকে মুক্তির জন্য দেশ স্বাধীন হয়েছে সেই বৈষম্য যেন আর না থাকে তাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা আজ জেগে উঠেছে। বর্তমান সময়ে অনেক শিক্ষার্থী চাকরি না পাওয়ার হতাশায় আত্মহত্যা করছে। অথচ কোটা ব্যাবস্থা বহাল রেখে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে অন্যায় করা হচ্ছে। কোটা থাকার কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে অন্যদিকে কোটাধারীরা সুবিধা পাচ্ছে। তাই আমরা বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থার সংস্কার চাই।

এদিকে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার দাবিতে মানববন্ধন করেছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম ইবি শাখা। এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন মুজিব ম্যুরালে এ মানববন্ধন করে তারা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সভাপতি মেজবাহুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সাব্বির খান, সহ-সভাপতি আবদিম মুনিব ও মাহমুদুল হাসান সহ অন্যান্যরা।

সভাপতির বক্তব্যে মেজবাহুল ইসলাম বলেন, একটি পক্ষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিপক্ষেই আন্দোলন করছে। মুক্তিযোদ্ধা পরিবার এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান প্রজন্মদের তারা অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখতে চায়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন হবে সকল কোটার বিরুদ্ধে। তারা শুধুই মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে পারে না।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কোটার পক্ষ-বিপক্ষ আন্দোলনে উত্তাল ইবি

আপডেট সময় : ০২:০৩:৫৭ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ জুলাই ২০২৪

 

বৈষম্যমূলক কোটা ব্যবস্থা বাতিল ও ২০১৮ সালের পরিপত্র পুনর্বহালের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও ছাত্র সমাবেশ করেছে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

মঙ্গলবার (২ জুলাই) বিশ্ববিদ্যালয়ের ঝাল চত্বর থেকে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ব্যানারে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। পরে মিছিলটি প্রধান ফটক প্রদক্ষিণ শেষে একই স্থানে এসে ছাত্র সমাবেশ করে। পরে শিক্ষার্থীরা ৪ দফা দাবি পেশ করেন।

এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘চাকরিতে কোটা, মানি না, মানবো না’, ‘মুক্তিযুদ্ধের বাংলায়, কোটার ঠাঁই নাই’, ‘সারা বাংলায় খবর দে, কোটা প্রথা কবর দে’, ‘কোটা পদ্ধতি নিপাত যাক, মেধাবীরা মুক্তি পাক’ সহ নানা স্লোগান দেন।

তাদের দাবিগুলো হলো- ১. ২০১৮ সালে ঘোষিত সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিল ও মেধা-ভিত্তিক নিয়োগের পরিপত্র বহাল রাখা।

২. ১৮ এর পরিপত্র বহাল সাপেক্ষে কমিশন গঠন করে দ্রুত সময়ের মধ্যে সরকারি চাকরিতে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাদ দেওয়া এবং কোটাকে ন্যূনতম পর্যায়ে নিয়ে আসা। সেক্ষেত্রে সংবিধান অনুযায়ী কেবল অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর কথা বিবেচনা করা যেতে পারে।

৩. সরকারি চাকরির নিয়োগ পরীক্ষায় কোটা সুবিধা একাধিকবার ব্যবহার করা যাবে না এবং কোটায় যোগ্য প্রার্থী না পাওয়া গেলে শুন্য পদগুলোতে মেধা অনুযায়ী নিয়োগ দেওয়া।

৪. দুর্নীতিমুক্ত, নিরপেক্ষ ও মেধা-ভিত্তিক আমলাতন্ত্র নিশ্চিত করতে কার্যকর ব্যবস্থা নেওয়্।

সমাবেশে শিক্ষার্থীরা বলেন, বৈষম্য থেকে মুক্তির জন্য দেশ স্বাধীন হয়েছে সেই বৈষম্য যেন আর না থাকে তাই সাধারণ শিক্ষার্থীরা আজ জেগে উঠেছে। বর্তমান সময়ে অনেক শিক্ষার্থী চাকরি না পাওয়ার হতাশায় আত্মহত্যা করছে। অথচ কোটা ব্যাবস্থা বহাল রেখে সাধারণ শিক্ষার্থীদের সাথে অন্যায় করা হচ্ছে। কোটা থাকার কারণে সাধারণ শিক্ষার্থীরা পিছিয়ে পড়ছে অন্যদিকে কোটাধারীরা সুবিধা পাচ্ছে। তাই আমরা বিদ্যমান কোটা ব্যবস্থার সংস্কার চাই।

এদিকে মুক্তিযোদ্ধা কোটা বহাল রাখার দাবিতে মানববন্ধন করেছে মুক্তিযোদ্ধার সন্তান ও প্রজন্ম ইবি শাখা। এদিন বেলা সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটক সংলগ্ন মুজিব ম্যুরালে এ মানববন্ধন করে তারা।

এসময় উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির সভাপতি মেজবাহুল ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক সাব্বির খান, সহ-সভাপতি আবদিম মুনিব ও মাহমুদুল হাসান সহ অন্যান্যরা।

সভাপতির বক্তব্যে মেজবাহুল ইসলাম বলেন, একটি পক্ষ উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে শুধুমাত্র মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিপক্ষেই আন্দোলন করছে। মুক্তিযোদ্ধা পরিবার এবং মুক্তিযোদ্ধার সন্তান প্রজন্মদের তারা অধিকার থেকে বঞ্চিত রাখতে চায়। সাধারণ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন হবে সকল কোটার বিরুদ্ধে। তারা শুধুই মুক্তিযোদ্ধা কোটার বিরুদ্ধে আন্দোলন করতে পারে না।