ঢাকা ০৪:৪৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo মনোহরগঞ্জে ছাত্রদল কর্মীর বাবাকে জাতীয়তাবাদী প্রবাসী ফোরামের অটোরিকশা উপহার Logo পত্নীতলায় তিন দিনব্যাপী কৃষি মেলা’র উদ্বোধন Logo রেকর্ড সংখ্যক কর্মী, সমর্থকদের উপস্থিতিতে মধুখালী উপজেলা বিএনপি’র কাউন্সিল Logo ভাণ্ডারিয়ায় চোরাই মোটরসাইকেলসহ চোর গ্রেপ্তার Logo কালিয়াকৈরে বিএনপির নেতার বহিষ্কারের আদেশ প্রত্যাহার ও মুক্তির দাবিতে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদ সভা Logo পীরগঞ্জে ৩ দিন ব্যাপী ফল মেলা উদ্বোধন Logo যৌথ বাহিনীর অভিযানে নাবিক ভর্তির নামে প্রতারক চক্রের ৩ সদস্য আটক Logo ফেনীর স্বাস্থ্য বিভাগের নিয়োগে চাকুরির প্রলোভন দেখিয়ে বৈষম্য বিরোধী স্বঘোষিত নেতার ১০ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবী Logo বান্দরবানে জেলা প্রশাসকের বিশেষ অনুদান থেকে চেক বিতরণ Logo ওসমানীনগরে গোলাম রব্বানি সুহেলের অস্ত্রের গরম!

খুলনায় গণমিছিল ঘিরে সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহত

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১০:৫৬:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪ ২২৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা গণমিছিল ঘিরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে সুমন ঘরামি নামে পুলিশের এক সদস্য (কনস্টেবল) নিহত হন। আহত হয়েছে আরও ২০ পুলিশ সদস্যসহ শতাধিক মানুষ।

খুলনা সিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হামিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার পর চার পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে একজন মৃত ছিল। তার মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

চিকিৎসাধীন অপর তিন জন হচ্ছে, মাজহারুল ইসলাম, সোহানুর রহমান সোহাগ ও সৌমেন।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের জানান, সংঘর্ষে সুমন ঘরামি নামে এক কনস্টেবল নিহত এবং পুলিশের ২০ জন সদস্য আহত হয়েছেন। সুমনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আহত ২০ জনকেও পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। একজনকে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।


তিনি আরও বলেন, পুলিশ কিছু ফাঁকা রাবার বুলেট ছুড়ে আওয়াজ তুলে আন্দোলনকারীদের ভয় দেখাতে চেয়েছে। সরাসরি কারও গায়ে মারা হয়নি। কিন্তু পুলিশ সদস্য ফিরে আসার সময় আন্দোলনকারীরা একজনকে পিটিয়ে নিহত ও অন্যদের আহত করে।

জানা গেছে, খুলনার জিরো পয়েন্ট ও গল্লামারী মোড় এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শুক্রবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের তিন দফায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে অসংখ্য টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকল ছোড়ে। এ সময় বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা পুলিশের একটি পিকআপে আগুন ধরিয়ে দেয়।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত গুলিবিদ্ধ (রাবার বুলেট ও ছররা গুলি) অবস্থায় সাত জনসহ ১৬ জনকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চার জনের অবস্থা গুরুতর। আরও আহত হাসপাতালে আসছে। শতাধিক মানুষ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টার থেকে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা নিয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

খুলনায় গণমিছিল ঘিরে সংঘর্ষে পুলিশ সদস্য নিহত

আপডেট সময় : ১০:৫৬:৫২ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪

 

খুলনায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ডাকা গণমিছিল ঘিরে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে পুলিশের দফায় দফায় সংঘর্ষ হয়। এতে সুমন ঘরামি নামে পুলিশের এক সদস্য (কনস্টেবল) নিহত হন। আহত হয়েছে আরও ২০ পুলিশ সদস্যসহ শতাধিক মানুষ।

খুলনা সিটি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের প্রশাসনিক কর্মকর্তা হামিদুল ইসলাম সাংবাদিকদের জানান, শুক্রবার সন্ধ্যার পর চার পুলিশ সদস্যকে হাসপাতালে আনা হয়। তাদের মধ্যে একজন মৃত ছিল। তার মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে।

চিকিৎসাধীন অপর তিন জন হচ্ছে, মাজহারুল ইসলাম, সোহানুর রহমান সোহাগ ও সৌমেন।

খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার মো. মোজাম্মেল হক সাংবাদিকদের জানান, সংঘর্ষে সুমন ঘরামি নামে এক কনস্টেবল নিহত এবং পুলিশের ২০ জন সদস্য আহত হয়েছেন। সুমনকে পিটিয়ে হত্যা করা হয়েছে। আহত ২০ জনকেও পিটিয়ে গুরুতর জখম করা হয়েছে। একজনকে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন রাখা হয়েছে।


তিনি আরও বলেন, পুলিশ কিছু ফাঁকা রাবার বুলেট ছুড়ে আওয়াজ তুলে আন্দোলনকারীদের ভয় দেখাতে চেয়েছে। সরাসরি কারও গায়ে মারা হয়নি। কিন্তু পুলিশ সদস্য ফিরে আসার সময় আন্দোলনকারীরা একজনকে পিটিয়ে নিহত ও অন্যদের আহত করে।

জানা গেছে, খুলনার জিরো পয়েন্ট ও গল্লামারী মোড় এবং খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় শুক্রবার বিকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে পুলিশের তিন দফায় সংঘর্ষ হয়। এ সময় পুলিশ শিক্ষার্থীদের লক্ষ্য করে অসংখ্য টিয়ার শেল, রাবার বুলেট ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে। শিক্ষার্থীরাও পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকল ছোড়ে। এ সময় বিক্ষুব্ধ আন্দোলনকারীরা পুলিশের একটি পিকআপে আগুন ধরিয়ে দেয়।

শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা পর্যন্ত গুলিবিদ্ধ (রাবার বুলেট ও ছররা গুলি) অবস্থায় সাত জনসহ ১৬ জনকে খুলনা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। চার জনের অবস্থা গুরুতর। আরও আহত হাসপাতালে আসছে। শতাধিক মানুষ খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিক্যাল সেন্টার থেকে প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা নিয়েছে।