ঢাকা ১২:২৯ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৮ জুন ২০২৫

গোলাপগঞ্জে ব্যবসায়ীর উপর হামলার অভিযোগ

মো. বদরুল আলম, গোলাপগঞ্জ (সিলেট)
  • আপডেট সময় : ১২:৩৭:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫ ১৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গোলাপগঞ্জে ঢাকাদক্ষিণ কাঁচা বাজারের অস্থায়ী ব্যবসায়ী রায়গড় গ্রামের ফয়জুল ইসলামের উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রোববার সন্ধ্যার সময় ঢাকাদক্ষিণ কাঁচা বাজারে এ ঘটনাটি ঘটে। গত সোমবার সাংবাদিকদের লিখিত বক্তব্যে এমন অভিযোগ করেন, কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী ভুক্তভোগী ফয়জুল ইসলামের ছেলে তারেক আহমদ।
লিখিত বক্তব্যে তারেক আহমদ বলেন, আমার পিতা ফরজুল মিয়া ঢাকাদক্ষিন কাঁচা বাজারের একজন ব্যবসায়ী। আমার পিতা ফরজুল মিয়াকে ব্যবসায় সহযোগিতা করে আসছি আমার ছোট ভাই তায়েফ আহমদ ও আমি। আমার পিতা ফরজুল মিয়া দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত ঢাকাদক্ষিন কাঁচা বাজারে ব্যবসা করে আসছেন। ৫ আগস্টের পর থেকে অদ্যাবধি ঢাকাদক্ষিন কাঁচা বাজারে দুলাল আহমদ রুপন ও খন্দকার মতিউর রহমান মাহতাব উদ্দিন গ্রুপ চাঁদাবাজি সহ নানা অপকর্ম করে আসছে। তাদের এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে এলাকা ছাড়া হতে হয়। নতুবা নিয়মিত মুখ বুঝে এসব অপকর্ম মেনে নিয়ে প্রতিদিন চাঁদা দিতে হয়।
গত রোববার আমার পিতা ফরজুল মিয়ার দোকানে কাঁচামাল বিক্রি কম হয়। এ সময় আমার পিতা তাদেরকে চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে রুপন আহমদ ও খন্দকার মতিউর রহমান মাহতাব উদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এ সময় তারা দোকানের কাঁচামাল লাথি মেরে যত্রতত্র ফেলে দেয় এবং আমার পিতা ফরজুল মিয়াকে মাঠিতে ফেলে মারধর করতে থাকে। এ সময় আমি তারেক আহমদ ও ছোট ভাই তায়েফ আহমদ ঘটনাস্থলে ছিলাম।
আমরা আমার পিতাকে মারধর করতে বাঁধা প্রদান করিলে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদেরকেও মারধর শুরু করে। এ সময় আমরা প্রাণে বাঁচতে চেষ্টা করি। এরপরও আমাদেরকে মেরে শরীরে বিভিন্ন স্থানে লিলাফুলা জখম করে। এরপর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আমাদেরকে উদ্ধার করে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, খন্দকার মতিউর রহমান মাহতাব উদ্দিন গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকাদক্ষিন ইউনিয়ন বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক ও দুলাল আহমদ রুপন ঢাকাদক্ষিন ইউনিয়ন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে থাকায় তার সাথে বখাটে ছাত্রদল নেতা আবু বক্কর, হারুন মিয়ার ছেলে সায়েল আহমদ, রায়গড় গ্রামের পুরান বাজার এলাকার মৃত ওয়ারিছ আলীর ছেলে যুবদল নেতা সাদিকুর রহমান খন্দকার (সাদেক), রায়গড় গ্রামের মৃত মুহিব আলীর ছেলে যুবদল নেতা কামরুজ্জামান জুনাক সহ ১০ থেকে ১৫ জন সন্ত্রাসী আগ্নেয়াস্ত্র সহ দেশীয় অস্ত্র সশস্ত্র নিয়ে রাত অনুমানিক ১০টায় ঢাকাদক্ষিন বাজারে মহড়া দেয়।
এ সময় আমরা খবর পাই আমাদের চাচা পশ্চিম রায়গড় এলাকার তাজুল ইসলাম ও আমাদের বাড়িতে আক্রমণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিষয়টি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে অবগত করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এরপর আমার চাচা সুয়া মিয়া উনার স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকাদক্ষিন বাজারে চিকিৎসা নিতে আসেন। চিকিৎসা শেষে বাড়ির ফেরার পথে দক্ষিণ রায়গড় শেখ সাহেবের বাড়ির নিচে একা পেয়ে রুপন ও মাহতাব গ্রুপের সদস্যরা অতর্কিত হামলা চালায়।
রুপন ও মাহতাব গ্রুপের সদস্য কামরুজ্জামান জুনাক, সাদেক ও বক্করের হামলায় আমার চাচা সুয়া মিয়া ও চাচী গুরুতর আহত হন। চাচী নাকের হাড় ভেঙ্গে গেলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হেফাজতে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। এখনও আমাদের কয়েকটি পরিবার আতংকিত অবস্থায় আছি। যে কোন সময় দুলাল আহমদ রুপন ও খন্দকার মতিউর রহমান মাহতাব উদ্দিন গ্রুপ আমাদের উপর আক্রমণ করতে পারে।
দুলাল আহমদ রুপন ও খন্দকার মতিউর রহমান মাহতাব উদ্দিন গ্রুপের সাথে রয়েছে বিভিন্ন অস্ত্র মামলার সাজাপ্রাপ্ত সাবেক আসামী, নারী নির্যাতন, ইয়াবা ও মাদকাসক্ত চিহ্নিত বেশ কয়েককন অপরাধী। এরা মাদক সেবনসহ যাবতীয় কুকর্ম প্রতিদিন সন্ধ্যায় ঢাকাদক্ষিন কাঁচা বাজারে টং ঘরে বসে করে থাকে।
এরা প্রভাবশালী হওয়ায় আমার পিতা ও আমাদের উপর আক্রমণ করে এরা থেমে থাকে নাই। গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি মিথ্যা হয়রানি মামলা করিয়াছে। আমি এই ঘৃর্ণিত ঘটনার জন্য তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি। পাশাপাশি আমার পরিবার ও চাচাদের পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় আছে।
আমি সুষ্ট বিচারে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সমাজের সর্বস্থরের মানুষ, সাংবাদিক, উধ্বর্তন কতৃপক্ষ ও প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

গোলাপগঞ্জে ব্যবসায়ীর উপর হামলার অভিযোগ

আপডেট সময় : ১২:৩৭:৩২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ জুন ২০২৫

গোলাপগঞ্জে ঢাকাদক্ষিণ কাঁচা বাজারের অস্থায়ী ব্যবসায়ী রায়গড় গ্রামের ফয়জুল ইসলামের উপর হামলার অভিযোগ পাওয়া গেছে। গত রোববার সন্ধ্যার সময় ঢাকাদক্ষিণ কাঁচা বাজারে এ ঘটনাটি ঘটে। গত সোমবার সাংবাদিকদের লিখিত বক্তব্যে এমন অভিযোগ করেন, কাঁচা বাজারের ব্যবসায়ী ভুক্তভোগী ফয়জুল ইসলামের ছেলে তারেক আহমদ।
লিখিত বক্তব্যে তারেক আহমদ বলেন, আমার পিতা ফরজুল মিয়া ঢাকাদক্ষিন কাঁচা বাজারের একজন ব্যবসায়ী। আমার পিতা ফরজুল মিয়াকে ব্যবসায় সহযোগিতা করে আসছি আমার ছোট ভাই তায়েফ আহমদ ও আমি। আমার পিতা ফরজুল মিয়া দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত ঢাকাদক্ষিন কাঁচা বাজারে ব্যবসা করে আসছেন। ৫ আগস্টের পর থেকে অদ্যাবধি ঢাকাদক্ষিন কাঁচা বাজারে দুলাল আহমদ রুপন ও খন্দকার মতিউর রহমান মাহতাব উদ্দিন গ্রুপ চাঁদাবাজি সহ নানা অপকর্ম করে আসছে। তাদের এসব অপকর্মের বিরুদ্ধে কেউ প্রতিবাদ করলে তাকে এলাকা ছাড়া হতে হয়। নতুবা নিয়মিত মুখ বুঝে এসব অপকর্ম মেনে নিয়ে প্রতিদিন চাঁদা দিতে হয়।
গত রোববার আমার পিতা ফরজুল মিয়ার দোকানে কাঁচামাল বিক্রি কম হয়। এ সময় আমার পিতা তাদেরকে চাঁদা দিতে অপারগতা প্রকাশ করলে রুপন আহমদ ও খন্দকার মতিউর রহমান মাহতাব উদ্দিন ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। এ সময় তারা দোকানের কাঁচামাল লাথি মেরে যত্রতত্র ফেলে দেয় এবং আমার পিতা ফরজুল মিয়াকে মাঠিতে ফেলে মারধর করতে থাকে। এ সময় আমি তারেক আহমদ ও ছোট ভাই তায়েফ আহমদ ঘটনাস্থলে ছিলাম।
আমরা আমার পিতাকে মারধর করতে বাঁধা প্রদান করিলে ক্ষিপ্ত হয়ে আমাদেরকেও মারধর শুরু করে। এ সময় আমরা প্রাণে বাঁচতে চেষ্টা করি। এরপরও আমাদেরকে মেরে শরীরে বিভিন্ন স্থানে লিলাফুলা জখম করে। এরপর বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর আমাদেরকে উদ্ধার করে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেয়।
লিখিত বক্তব্যে আরও বলেন, খন্দকার মতিউর রহমান মাহতাব উদ্দিন গোলাপগঞ্জ উপজেলার ঢাকাদক্ষিন ইউনিয়ন বিএনপির সহসাধারণ সম্পাদক ও দুলাল আহমদ রুপন ঢাকাদক্ষিন ইউনিয়ন বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদকের দায়িত্বে থাকায় তার সাথে বখাটে ছাত্রদল নেতা আবু বক্কর, হারুন মিয়ার ছেলে সায়েল আহমদ, রায়গড় গ্রামের পুরান বাজার এলাকার মৃত ওয়ারিছ আলীর ছেলে যুবদল নেতা সাদিকুর রহমান খন্দকার (সাদেক), রায়গড় গ্রামের মৃত মুহিব আলীর ছেলে যুবদল নেতা কামরুজ্জামান জুনাক সহ ১০ থেকে ১৫ জন সন্ত্রাসী আগ্নেয়াস্ত্র সহ দেশীয় অস্ত্র সশস্ত্র নিয়ে রাত অনুমানিক ১০টায় ঢাকাদক্ষিন বাজারে মহড়া দেয়।
এ সময় আমরা খবর পাই আমাদের চাচা পশ্চিম রায়গড় এলাকার তাজুল ইসলাম ও আমাদের বাড়িতে আক্রমণ করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিষয়টি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকে অবগত করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসে।
এরপর আমার চাচা সুয়া মিয়া উনার স্ত্রীকে নিয়ে ঢাকাদক্ষিন বাজারে চিকিৎসা নিতে আসেন। চিকিৎসা শেষে বাড়ির ফেরার পথে দক্ষিণ রায়গড় শেখ সাহেবের বাড়ির নিচে একা পেয়ে রুপন ও মাহতাব গ্রুপের সদস্যরা অতর্কিত হামলা চালায়।
রুপন ও মাহতাব গ্রুপের সদস্য কামরুজ্জামান জুনাক, সাদেক ও বক্করের হামলায় আমার চাচা সুয়া মিয়া ও চাচী গুরুতর আহত হন। চাচী নাকের হাড় ভেঙ্গে গেলে বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর হেফাজতে গোলাপগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা নেন। এখনও আমাদের কয়েকটি পরিবার আতংকিত অবস্থায় আছি। যে কোন সময় দুলাল আহমদ রুপন ও খন্দকার মতিউর রহমান মাহতাব উদ্দিন গ্রুপ আমাদের উপর আক্রমণ করতে পারে।
দুলাল আহমদ রুপন ও খন্দকার মতিউর রহমান মাহতাব উদ্দিন গ্রুপের সাথে রয়েছে বিভিন্ন অস্ত্র মামলার সাজাপ্রাপ্ত সাবেক আসামী, নারী নির্যাতন, ইয়াবা ও মাদকাসক্ত চিহ্নিত বেশ কয়েককন অপরাধী। এরা মাদক সেবনসহ যাবতীয় কুকর্ম প্রতিদিন সন্ধ্যায় ঢাকাদক্ষিন কাঁচা বাজারে টং ঘরে বসে করে থাকে।
এরা প্রভাবশালী হওয়ায় আমার পিতা ও আমাদের উপর আক্রমণ করে এরা থেমে থাকে নাই। গোলাপগঞ্জ মডেল থানায় একটি মিথ্যা হয়রানি মামলা করিয়াছে। আমি এই ঘৃর্ণিত ঘটনার জন্য তীব্র নিন্দা জ্ঞাপন করছি। পাশাপাশি আমার পরিবার ও চাচাদের পরিবারের সদস্যরা নিরাপত্তাহীনতায় আছে।
আমি সুষ্ট বিচারে জন্য প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিতে সমাজের সর্বস্থরের মানুষ, সাংবাদিক, উধ্বর্তন কতৃপক্ষ ও প্রশাসনের সুদৃষ্টি কামনা করছি।