ঢাকা ০৬:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩১ জুলাই ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জুলাই পুনর্জাগরণ উপলক্ষে মুক্তাগাছায় পরিচ্ছন্নতা অভিযান Logo স্ত্রীর ধোঁকায় যুবকের আত্মহনন Logo শেরপুরের ঝিনাইগাতীতে মাসিক আইন-শৃঙ্খলা কমিটির সভা অনুষ্ঠিত Logo রাজবাড়ীতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা মামলায় দুই আসামির যাবজ্জীবন Logo মাছরাঙা টেলিভিশনের বান্দরবানে ১৪তম বর্ষপূর্তি উদযাপন Logo ভাণ্ডারিয়ায় শ্রেষ্ঠ শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট বিতরণ Logo নগরকান্দা উপজেলায় আইনশৃঙ্খলা কমিটির মাসিক সভা অনুষ্ঠিত Logo কমিউনিটিভিত্তিক মডেলে মাঠ ও পার্ক ব্যবস্থাপনা করবে ডিএনসিসি Logo দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক ২ জেলা প্রশাসকসহ ১৩ জনের বিরুদ্ধে দুদকের অনুসন্ধান Logo শিবগঞ্জে নদীগর্ভে প্রায় ৮০টি বাড়ি, ঝুকিতে শতাধিক পরিবার

চতুর্থ স্বামী ওবায়দুল্লাহ, অথচ যুব মহিলা লীগ নেত্রী মিম পরিচয় দিতেন দুলাভাই

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ৫০৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

চতুর্থ স্বামী ওবায়দুল্লাহ, অথচ যুব মহিলা লীগ নেত্রী মিম তাকে পরিচয় দিতেন দুলাভাই হিসাবে। দু’জন মিলে করতেন প্রতারণা! অবশেষে প্রতারণার করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেফতার হন পাবনা জেলা যুব মহিলা লীগের নেত্রী মিম খাতুন ওরফে আফসানা মিম (২৬) তার স্বামী ওবায়দুল্লাহকে (৩৬)।

এ বিষয়ে মনিরুজ্জামান বাবু নামে এক ব্যক্তি এসব তথ্য দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করেছেন। বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পেরেছেন, দুলাভাই হিসাবে পরিচয় দিলেও মূলত মিমের চতুর্থ স্বামী ওবায়দুল্লাহ। তারা দুজন মিলে পরিকল্পিতভাবে আমাকে প্রতারণার জালে ফেলে।

মনিরুজ্জামান বাবু জানান, পাওনা টাকা উদ্ধারে পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করলে বুধবার পাবনা শহরের মাসুম বাজার এলাকার বাসা থেকে মিম ও ওবায়দুল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার হওয়া মিম খাতুন পাবনা পৌর সদরের পুরোনো মাসুম বাজার এলাকার মিন্টু মোল্লার মেয়ে এবং পাবনা পৌর যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি। তার স্বামী ওবায়দুল্লাহ একই এলাকার বাসিন্দা।

মামলার বাদী মনিরুজ্জামান বাবু (৩২) পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার চাঁদভা হাটপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। পেশায় তিনি ঠিকাদার ও ব্যবসায়ী। গুলশান-২ এ তার এবিএস নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

মামলার অভিযোগে বাবু বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে মিমের সঙ্গে আমার পরিচয়। কিছুদিন পর ওবায়দুল্লাহ নামে এক ব্যক্তিকে দুলাভাই হিসেবে আমার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন মিম এবং বিভিন্ন সময়ে ব্যবসার কথা বলে ১৩ লাখ ১৭ হাজার টাকা নেন মিম ও ওবায়দুল্লাহ। বিশ্বাস করে দলিল ছাড়া লেনদেন হলেও, পরে দলিল করতে চাইলে তারা টালবাহানা শুরু করেন। পাওনা টাকা ফেরত দেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দেন। এরপর আমাকে বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতি ও হুমকি দেখান তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

চতুর্থ স্বামী ওবায়দুল্লাহ, অথচ যুব মহিলা লীগ নেত্রী মিম পরিচয় দিতেন দুলাভাই

আপডেট সময় :

 

চতুর্থ স্বামী ওবায়দুল্লাহ, অথচ যুব মহিলা লীগ নেত্রী মিম তাকে পরিচয় দিতেন দুলাভাই হিসাবে। দু’জন মিলে করতেন প্রতারণা! অবশেষে প্রতারণার করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে গ্রেফতার হন পাবনা জেলা যুব মহিলা লীগের নেত্রী মিম খাতুন ওরফে আফসানা মিম (২৬) তার স্বামী ওবায়দুল্লাহকে (৩৬)।

এ বিষয়ে মনিরুজ্জামান বাবু নামে এক ব্যক্তি এসব তথ্য দায়ের করা মামলায় উল্লেখ করেছেন। বিভিন্ন মাধ্যমে খোঁজ নিয়ে তিনি জানতে পেরেছেন, দুলাভাই হিসাবে পরিচয় দিলেও মূলত মিমের চতুর্থ স্বামী ওবায়দুল্লাহ। তারা দুজন মিলে পরিকল্পিতভাবে আমাকে প্রতারণার জালে ফেলে।

মনিরুজ্জামান বাবু জানান, পাওনা টাকা উদ্ধারে পুলিশের সহযোগিতা নিয়ে তাদের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় মামলা করলে বুধবার পাবনা শহরের মাসুম বাজার এলাকার বাসা থেকে মিম ও ওবায়দুল্লাহকে গ্রেফতার করা হয়।

গ্রেফতার হওয়া মিম খাতুন পাবনা পৌর সদরের পুরোনো মাসুম বাজার এলাকার মিন্টু মোল্লার মেয়ে এবং পাবনা পৌর যুব মহিলা লীগের সহসভাপতি। তার স্বামী ওবায়দুল্লাহ একই এলাকার বাসিন্দা।

মামলার বাদী মনিরুজ্জামান বাবু (৩২) পাবনার আটঘরিয়া উপজেলার চাঁদভা হাটপাড়া গ্রামের আব্দুস সাত্তারের ছেলে। পেশায় তিনি ঠিকাদার ও ব্যবসায়ী। গুলশান-২ এ তার এবিএস নামের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান রয়েছে।

মামলার অভিযোগে বাবু বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে মিমের সঙ্গে আমার পরিচয়। কিছুদিন পর ওবায়দুল্লাহ নামে এক ব্যক্তিকে দুলাভাই হিসেবে আমার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেন মিম এবং বিভিন্ন সময়ে ব্যবসার কথা বলে ১৩ লাখ ১৭ হাজার টাকা নেন মিম ও ওবায়দুল্লাহ। বিশ্বাস করে দলিল ছাড়া লেনদেন হলেও, পরে দলিল করতে চাইলে তারা টালবাহানা শুরু করেন। পাওনা টাকা ফেরত দেবেন না বলে হুঁশিয়ারি দেন। এরপর আমাকে বিভিন্ন রকমের ভয়ভীতি ও হুমকি দেখান তারা।