ঢাকা ০২:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

জনসমুদ্র কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৫:৪৫:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪ ১৬২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

নগরীরর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভ গণমিছিলের পথ এসে ঠেকেছে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। হাজারো মানুষের উপস্থিতি এবং স্লোগানে উত্তাল শহীদ মিনার এলাকা। এখানে মিলিত হয়েছেন, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ।

কোটা সংস্কারের দাবি ঘিরে শুরু হওয়া আন্দোলন এখন সরকার পতনের স্লোগানে উত্তাল। বিকেল পাঁচট নাগাদ বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিলের পর মিছিল এসে জড়ো হচ্ছে শহীদ মিনার এলাকায়।

শহীদ মিনার কেন্দ্র মানুষ স্রোত ছড়িয়ে গেছে, চারিদিকের সড়কে। কারো মাথায় বাংলাদেশের পতাকা, কারো মাথায় লালপট্টি বাঁধা। তাদের কণ্ঠে ধ্বনিত হচ্ছে প্রতিবাদী স্লোগান।

৫২ সাল পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ধরণের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শিকড় প্রোথিত হয় এই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। ৯০ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনেরও কেন্দ্রবিন্দু ছিলো শহীদ মিনার।

পরবর্তীতে যে কোন অধিকার আদায়েন্দাবি নিয়ে সাধারণ মানুষ হাজির হয়েছে এই শহীদ মিনারে।

শহীদ মিনার এলাকায় উপস্থিত শনিবার দুপুরের পর থেকেই দলে দলে শহীদ মিনারে জড়ো হতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। সময়ের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের মিছিল বাড়তে থাকে। হাজারো মানুষের ভিড়ে শহীদ মিনার চত্বর ও এর আশপাশের এলাকার পা ফেলার জায়গা নেই।

দেশজুড়ে ছাত্র-নাগরিকের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে খুনের প্রতিবাদ ও ৯ দফা দাবিতে শুক্রবার বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল এবং রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয়।

বেলা ৩টার দিকে সায়েন্স ল্যাব থেকে কয়েক হাজার মানুষ মিছিল নিয়ে শহীদ মিনার এলাকায় উপস্থিত হন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় নিহত, গণগ্রেপ্তার ও হয়রানির প্রতিবাদে ব্যান্ড সংগীতশিল্পীরা বিকেল ৩টায় ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবরে জড়ো হন। সেখান থেকে শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানাতে সংগীতশিল্পীরা শহীদ মিনারে রওনা দেন। মিছিল নিয়ে বিকেল পৌনে চারটা নাগাদ শহীদ মিনার এলাকায় পৌঁছান।

শহীদ মিনার থেকে পশ্চিমে জগন্নাথ হল, বঙ্গবন্ধু টাওয়ার, ঢাকা মেডিলেরর জরুরী বিভাগের দিকের রাস্তা, অন্যদিকে দোয়েল চত্বর ছাড়িয়ে গেছে জনতার ঢল। ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে জনস্রোত এসে জড়ো হয় শহীদ মিনারে।

জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়কের আজ সশরীরে শহীদ মিনার এলাকায় আসার কথা রয়েছে। ২৬ জুলাই ঢাকার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে ডিবি জোর করে তুলে মিন্টো রোডের কার্যালয়ে নিয়ে যায়।

নাহিদ ও আসিফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরদিন ২৭ জুলাই সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে সায়েন্স ল্যাব এলাকা থেকে জোর করে তুলে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ২৮ জুলাই ভোররাতে বাসা ভেঙে জোর করে নুসরাত তাবাসসুমকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

৬ সমন্বয়কে বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে ডিবির হেফাজত থেকে ছাড়া পান। ছাড়া পেয়ে তারা বলেছেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) হেফাজতে থাকাকালে গত ২৮ জুলাই রাতে এক ভিডিও বার্তায় আন্দোলন প্রত্যাহারের যে ঘোষণা তারা দিয়েছিলেন, সেটা স্বেচ্ছায় দেননি। ছাত্র-নাগরিক হত্যার বিচার ও আটক নিরপরাধ ব্যক্তিদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলনের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

জনসমুদ্র কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার

আপডেট সময় : ০৫:৪৫:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অগাস্ট ২০২৪

 

নগরীরর বিভিন্ন এলাকা থেকে বিক্ষোভ গণমিছিলের পথ এসে ঠেকেছে ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। হাজারো মানুষের উপস্থিতি এবং স্লোগানে উত্তাল শহীদ মিনার এলাকা। এখানে মিলিত হয়েছেন, শিক্ষার্থী ও সাধারণ মানুষ।

কোটা সংস্কারের দাবি ঘিরে শুরু হওয়া আন্দোলন এখন সরকার পতনের স্লোগানে উত্তাল। বিকেল পাঁচট নাগাদ বিভিন্ন এলাকা থেকে মিছিলের পর মিছিল এসে জড়ো হচ্ছে শহীদ মিনার এলাকায়।

শহীদ মিনার কেন্দ্র মানুষ স্রোত ছড়িয়ে গেছে, চারিদিকের সড়কে। কারো মাথায় বাংলাদেশের পতাকা, কারো মাথায় লালপট্টি বাঁধা। তাদের কণ্ঠে ধ্বনিত হচ্ছে প্রতিবাদী স্লোগান।

৫২ সাল পরবর্তী সময়ে বিভিন্ন ধরণের গণতান্ত্রিক আন্দোলনের শিকড় প্রোথিত হয় এই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। ৯০ স্বৈরাচার বিরোধী আন্দোলনেরও কেন্দ্রবিন্দু ছিলো শহীদ মিনার।

পরবর্তীতে যে কোন অধিকার আদায়েন্দাবি নিয়ে সাধারণ মানুষ হাজির হয়েছে এই শহীদ মিনারে।

শহীদ মিনার এলাকায় উপস্থিত শনিবার দুপুরের পর থেকেই দলে দলে শহীদ মিনারে জড়ো হতে শুরু করেন বিক্ষোভকারীরা। সময়ের সঙ্গে আন্দোলনকারীদের মিছিল বাড়তে থাকে। হাজারো মানুষের ভিড়ে শহীদ মিনার চত্বর ও এর আশপাশের এলাকার পা ফেলার জায়গা নেই।

দেশজুড়ে ছাত্র-নাগরিকের শান্তিপূর্ণ আন্দোলনে হামলা করে খুনের প্রতিবাদ ও ৯ দফা দাবিতে শুক্রবার বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। শনিবার সারা দেশে বিক্ষোভ মিছিল এবং রোববার থেকে সর্বাত্মক অসহযোগ আন্দোলনের ডাক দেয়।

বেলা ৩টার দিকে সায়েন্স ল্যাব থেকে কয়েক হাজার মানুষ মিছিল নিয়ে শহীদ মিনার এলাকায় উপস্থিত হন।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ঘিরে সহিংসতায় নিহত, গণগ্রেপ্তার ও হয়রানির প্রতিবাদে ব্যান্ড সংগীতশিল্পীরা বিকেল ৩টায় ধানমন্ডির রবীন্দ্রসরোবরে জড়ো হন। সেখান থেকে শিক্ষার্থীদের প্রতি সংহতি জানাতে সংগীতশিল্পীরা শহীদ মিনারে রওনা দেন। মিছিল নিয়ে বিকেল পৌনে চারটা নাগাদ শহীদ মিনার এলাকায় পৌঁছান।

শহীদ মিনার থেকে পশ্চিমে জগন্নাথ হল, বঙ্গবন্ধু টাওয়ার, ঢাকা মেডিলেরর জরুরী বিভাগের দিকের রাস্তা, অন্যদিকে দোয়েল চত্বর ছাড়িয়ে গেছে জনতার ঢল। ঢাকার বিভিন্ন স্থান থেকে জনস্রোত এসে জড়ো হয় শহীদ মিনারে।

জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ৬ সমন্বয়কের আজ সশরীরে শহীদ মিনার এলাকায় আসার কথা রয়েছে। ২৬ জুলাই ঢাকার গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতাল থেকে তিন সমন্বয়ক নাহিদ ইসলাম, আসিফ মাহমুদ ও আবু বাকের মজুমদারকে ডিবি জোর করে তুলে মিন্টো রোডের কার্যালয়ে নিয়ে যায়।

নাহিদ ও আসিফ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। পরদিন ২৭ জুলাই সারজিস আলম ও হাসনাত আবদুল্লাহকে সায়েন্স ল্যাব এলাকা থেকে জোর করে তুলে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়। ২৮ জুলাই ভোররাতে বাসা ভেঙে জোর করে নুসরাত তাবাসসুমকে ডিবি কার্যালয়ে নিয়ে যাওয়া হয়।

৬ সমন্বয়কে বৃহস্পতিবার বেলা দেড়টার দিকে ডিবির হেফাজত থেকে ছাড়া পান। ছাড়া পেয়ে তারা বলেছেন, ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) হেফাজতে থাকাকালে গত ২৮ জুলাই রাতে এক ভিডিও বার্তায় আন্দোলন প্রত্যাহারের যে ঘোষণা তারা দিয়েছিলেন, সেটা স্বেচ্ছায় দেননি। ছাত্র-নাগরিক হত্যার বিচার ও আটক নিরপরাধ ব্যক্তিদের মুক্তির দাবিতে আন্দোলনের কর্মসূচি অব্যাহত থাকবে।