জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশের উপস্থিতিতে মধ্যরাতে ছাত্রলীগের হামলা
- আপডেট সময় : ০৯:২১:৪৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ জুলাই ২০২৪ ১৫৪ বার পড়া হয়েছে
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় পুলিশের উপস্থিতিতে কোটা সংস্কার আন্দোলকারীর ওপর মধ্যরাতে ছাত্রলীগ হামলা চা„লিয়েছে। তাতে ৮ সাংবাদিক এবং ৩ জন শিক্ষক আহত হয়েছেন।
সোমবার দিবাগত মধ্য রাতে শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের সামনে অবস্থান নিলে রাত ১২টায় বহিরাগত সন্ত্রাসীসহ দেশি-বিদেশি অস্ত্র নিয়ে দ্বিতীয় ধাপে হামলা চালায় ছাত্রলীগ। হামলার সময় শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বাসভবনের ভেতরে আশ্রয় নিলেও দেয়া হয়নি ছাড়। বাদ যায়নি শিক্ষক ও দায়িত্বপালনরত সাংবাদিকরাও।
পুলিশের উপস্থিতিতে এসব ঘটনা ঘটলেও নেয়া হয়নি কোনো ব্যবস্থা। এক পর্যায়ে আবাসিক হলগুলো থেকে কয়েকশ শিক্ষার্থী বেরিয়ে এসে ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের ধাওয়া দেয়।
এ সময় পুলিশ ক্ষিপ্ত হয়ে রাত আড়াইটা থেকে বৃষ্টির মতো রাবার বুলেট ও কাদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে। রাতব্যাপী এই হামলায় অসংখ্য শিক্ষার্থীর পাশাপাশি আট সাংবাদিক ও তিন শিক্ষক গুরুতর আহত হয়।
এসময় হামলাকারীদের অধিকাংশের মাথায় হেলমেট ও হাতে ধারালো অস্ত্র ছিল। তাদেরকে পেট্রোলবোমাও ছুঁড়তে দেখা যায়। রাত সোয়া ১২টার দিকে ঘটনাস্থলে পুলিশ আসলে ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা উপাচার্যের বাসভবনের প্রধান ফটক ছেড়ে রাস্তায় চলে যান।
সংঘর্ষের বিষয়ে ঢাকা জেলা পুলিশ সুপার মো. আসাদুজ্জামান সংবাদমাধ্যমকে বলেন, বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। আমাদের কয়েকজন পুলিশ সদস্যও আহত হয়েছে। আমরা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখার চেষ্টা করেছি। পরিস্থিতি যখন নিয়ন্ত্রণের বাহিরে চলে গেছে তখন আমরা অ্যাকশন নিয়েছি।
সংঘর্ষের সময় ঘটনাস্থলে কর্তব্যরত অন্তত ৮ সাংবাদিক আহত হয়েছেন। আন্দোলনকারীদের ওপর হামলার শুরু থেকেই সাংবাদিকদের ওপর আগ্রাসী আচরণ করতে থাকে হামলাকারীরা।
আহতরা হলেন, জুবায়ের আহমেদ (একুশে টিভি), মেহেদি মামুন (বণিক বার্তা), আব্দুর রহমান সার্জিল (দৈনিক বাংলা), ওয়াজহাতুল ওয়াস্তি (দৈনিক জনকণ্ঠ), এস এম তাওহীদ (বাংলা ট্রিবিউন), শুশফিকুর রিজওয়ান (সময়ের আলো), সাকিব আহমেদ (দ্য সাউথ এশিয়ান টাইমস), মোসাদ্দেকুর রহমান (দৈনিক যুগান্তর)।
এ ছাড়া শিক্ষার্থীদের মিছিলে হামলা চলাকালীন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করতে গেলে ইটের আঘাতে রসায়ন বিভাগের অধ্যাপক আওলাদ হোসেন আহত হন। রাতে শিক্ষার্থীদের উদ্ধার করতে গিয়ে পুলিশের ছোড়া গুলিতে গুরুতর আহত হন ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক লুৎফুল ইলাহী। এছাড়া দর্শন বিভাগের অধ্যাপক মোস্তফা নাজমুল মানছুর আহতের খবরও পাওয়া গেছে।