ঢাকা ০৮:৪৬ অপরাহ্ন, শনিবার, ০২ অগাস্ট ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আসিফ খান: এ প্রজন্মের উদীয়মান কণ্ঠশিল্পীর সঙ্গীতযাত্রা Logo ঠাকুরগাঁওয়ে জুলাই বর্ষপূর্তি উদযাপন উপলক্ষে জুলাইয়ের মায়েদের গল্প শোনা ও সংবর্ধনা প্রদান Logo টাঙ্গাইলে ব্যবসায়ীর কাছে চাঁদা দাবির ঘটনায় ৪ বিএনপি নেতাসহ গ্রেপ্তার ৫ Logo সরিষাবাড়ী সাতপোয়া আল-বূশরা সামাজিক গোরস্তানের উন্নয়ন কাজের উদ্বোধন Logo শ্রমিকবান্ধব দেশগঠনে দাঁড়িপাল্লার পক্ষে গণ জোয়ার সৃষ্টি করতে হবে Logo তিতাসে জুলাই বিপ্লবের বিজয় মিছিল উপলক্ষে বিএনপির প্রস্ততি সভা Logo গোবিন্দগঞ্জে এক যুবকের মরদে’হ উদ্ধার Logo মালখানগর রথবাড়ি তালতলা রাস্তার বেহাল দশা, জনগণের চরম ভোগান্তি Logo কোম্পানীগঞ্জে বাসাপ’র বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি Logo হোমনা-মেঘনা নিয়ে গঠিত কুমিল্লা-২ আসন বহাল রাখার দাবিতে বিএনপির সাংবাদ সম্মেলন

ঝিনাইদহে দোকান দখল করে ব্যবসা, উপেক্ষিত আদালত ও সেনা ক্যাম্পের নির্দেশ

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ১৭৭ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ঝিনাইদহ শহরের শেরে বাংলা সড়কে দোকান হস্তান্তর নিয়ে ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে আদালত ও সেনাবাহিনীর আদেশ অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, ভবনের বর্তমান মালিক একেএম মাসুদুল আলম লিপনের কাছে দোকানঘর হস্তান্তর করতে দীর্ঘদিন ধরে তালবাহানা করছেন ভাড়াটিয়া কাজী দাউদ হোসেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, একেএম নুরুল আলম তার মালিকানাধীন জমিতে একটি ভবন নির্মাণ করেন এবং তাতে তিনটি দোকানঘর স্থাপন করে তা ভাড়া দেন কাজী দাউদ হোসেনকে। সেখানে তিনি ‘জাকির হার্ডওয়ার’ নামে ব্যবসা চালু করেন। ২০০১ সালে একেএম নুরুল আলমের মৃত্যু হলে তার ছেলে একেএম মাসুদুল আলম লিপন ওয়ারিশ সূত্রে ভবনটির মালিক হন।
পরবর্তীতে মালিক লিপন দোকানঘর হস্তান্তরের জন্য দাউদ হোসেনকে একাধিকবার অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি নানা অজুহাতে বিষয়টি এড়িয়ে যান। অভিযোগে আরও বলা হয়, দাউদ হোসেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর নাম ব্যবহার করে মালিককে ভয়ভীতি দেখান।
উপায় না দেখে মাসুদুল আলম ২০২৪ সালের ৪ এপ্রিল আদালতের মাধ্যমে একটি উকিল নোটিশ পাঠান, যা দাউদ হোসেন উপেক্ষা করেন। পরে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ৫ আগস্ট তিনি স্থানীয় সেনা ক্যাম্প এবং জেলা দোকান মালিক সমিতিকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানান।
সেনা ক্যাম্পের দায়িত্বরত কর্মকর্তা, দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং জাকির হার্ডওয়ারের মালিক দাউদ হোসেনকে আলোচনার জন্য ডাকা হয়। আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত হয়, আগামী ১২ জুনের মধ্যে দোকানটি মালিক মাসুদুল আলমের কাছে হস্তান্তর করতে হবে।
তবে মালিকের দাবি, নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও দাউদ হোসেন দোকান হস্তান্তর করেননি। এ প্রসঙ্গে একেএম মাসুদুল আলম লিপন বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে কাজী দাউদ ও তার লোকজন দোকান হস্তান্তরে তালবাহানা করছে। এমনকি সেনা ক্যাম্পের নির্ধারিত সময়সীমাও উপেক্ষা করেছে। আমি শুধু আমার বৈধ মালিকানা ফিরিয়ে পেতে চাই।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার দাউদ হোসেনের মোবাইল নম্বরে কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে তার ছেলে আজিজুল ইসলাম জানান, “এটা আমাদের বহু বছরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। চাইলেই তো হঠাৎ করে ছেড়ে দেওয়া যায় না।”
জেলা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান খান মিঠু বলেন, “সেনা ক্যাম্পের কর্মকর্তারা কাগজপত্র যাচাই করে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। সেই সিদ্ধান্ত কাজী দাউদ ভাইয়ের মেনে নেওয়া উচিত। না হলে সেটি সেনাবাহিনীর সিদ্ধান্ত অমান্য করার শামিল হবে।”

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঝিনাইদহে দোকান দখল করে ব্যবসা, উপেক্ষিত আদালত ও সেনা ক্যাম্পের নির্দেশ

আপডেট সময় :

 

ঝিনাইদহ শহরের শেরে বাংলা সড়কে দোকান হস্তান্তর নিয়ে ভাড়াটিয়ার বিরুদ্ধে আদালত ও সেনাবাহিনীর আদেশ অমান্য করার অভিযোগ উঠেছে। অভিযোগে বলা হয়েছে, ভবনের বর্তমান মালিক একেএম মাসুদুল আলম লিপনের কাছে দোকানঘর হস্তান্তর করতে দীর্ঘদিন ধরে তালবাহানা করছেন ভাড়াটিয়া কাজী দাউদ হোসেন।
অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, একেএম নুরুল আলম তার মালিকানাধীন জমিতে একটি ভবন নির্মাণ করেন এবং তাতে তিনটি দোকানঘর স্থাপন করে তা ভাড়া দেন কাজী দাউদ হোসেনকে। সেখানে তিনি ‘জাকির হার্ডওয়ার’ নামে ব্যবসা চালু করেন। ২০০১ সালে একেএম নুরুল আলমের মৃত্যু হলে তার ছেলে একেএম মাসুদুল আলম লিপন ওয়ারিশ সূত্রে ভবনটির মালিক হন।
পরবর্তীতে মালিক লিপন দোকানঘর হস্তান্তরের জন্য দাউদ হোসেনকে একাধিকবার অনুরোধ করেন। কিন্তু তিনি নানা অজুহাতে বিষয়টি এড়িয়ে যান। অভিযোগে আরও বলা হয়, দাউদ হোসেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাইদুল করিম মিন্টুর নাম ব্যবহার করে মালিককে ভয়ভীতি দেখান।
উপায় না দেখে মাসুদুল আলম ২০২৪ সালের ৪ এপ্রিল আদালতের মাধ্যমে একটি উকিল নোটিশ পাঠান, যা দাউদ হোসেন উপেক্ষা করেন। পরে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে ৫ আগস্ট তিনি স্থানীয় সেনা ক্যাম্প এবং জেলা দোকান মালিক সমিতিকে লিখিতভাবে বিষয়টি জানান।
সেনা ক্যাম্পের দায়িত্বরত কর্মকর্তা, দোকান মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দ এবং জাকির হার্ডওয়ারের মালিক দাউদ হোসেনকে আলোচনার জন্য ডাকা হয়। আলোচনা শেষে সিদ্ধান্ত হয়, আগামী ১২ জুনের মধ্যে দোকানটি মালিক মাসুদুল আলমের কাছে হস্তান্তর করতে হবে।
তবে মালিকের দাবি, নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও দাউদ হোসেন দোকান হস্তান্তর করেননি। এ প্রসঙ্গে একেএম মাসুদুল আলম লিপন বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে কাজী দাউদ ও তার লোকজন দোকান হস্তান্তরে তালবাহানা করছে। এমনকি সেনা ক্যাম্পের নির্ধারিত সময়সীমাও উপেক্ষা করেছে। আমি শুধু আমার বৈধ মালিকানা ফিরিয়ে পেতে চাই।”
অভিযোগের বিষয়ে জানতে একাধিকবার দাউদ হোসেনের মোবাইল নম্বরে কল করলেও তিনি সাড়া দেননি। তবে তার ছেলে আজিজুল ইসলাম জানান, “এটা আমাদের বহু বছরের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান। চাইলেই তো হঠাৎ করে ছেড়ে দেওয়া যায় না।”
জেলা দোকান মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান খান মিঠু বলেন, “সেনা ক্যাম্পের কর্মকর্তারা কাগজপত্র যাচাই করে সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। সেই সিদ্ধান্ত কাজী দাউদ ভাইয়ের মেনে নেওয়া উচিত। না হলে সেটি সেনাবাহিনীর সিদ্ধান্ত অমান্য করার শামিল হবে।”