ঢাকা ০১:৫৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫

ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও দিনের পর দিন নিরাপত্তায় দায়িত্বহীনতা!

গণমুক্তি রিপোর্ট
  • আপডেট সময় : ৪৩৯ বার পড়া হয়েছে

অগ্নিকান্ডে আহতদের দেখতে হাসপাতালে যান জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ : সংগ্রহ

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ-এর মন্তব্য

দেশের অধিকাংশ ভবনেই অগ্নিপ্রতিরোধক ব্যবস্থা নেই। অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি জানার পরও ভবনগুলোতে দিনের পর দিন কোন রকমের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয় না। এই অগ্নিকাণ্ডে অবশ্যই অবহেলা ছিল। এতো বড় একটি বাণিজ্যিক ভবনে ফায়ার এক্সিট থাকবে না?

এটা না থাকার কারণে আটকে পড়া মানুষ চেষ্টা করেও বের হতে পারেননি। এমন ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি দেখতে চায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়াম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।

শুক্রবার বিকালে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে একথা বলেন তিনি। বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি আমাদের ভীষণভাবে ব্যথিত করেছে। প্রায়ই অগ্নিকাণ্ডে মানুষ তাদের মূল্যবান জীবন হারাচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতিও উদ্বেগজনক।

বেইলি রোডে আগুনে ৪৬ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু ও হতাহত হওয়ার ঘটনায় গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন কমিশন চেয়ারম্যান। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তার নেতৃত্বে কমিশনের প্রতিনিধি দল শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করেন। কমিশনের সচিব সেবাষ্টিন রেমা, উপপরিচালক সুষ্মিতা পাইক তার সঙ্গে ছিলেন।

কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, এ ধরনের বড় দুর্ঘটনাগুলো ঘটার পর কিছুদিন পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকে। আলোচনা-সমালোচনা হয় এবং তা থেমে যায়। দায়িত্বশীল ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ নজরদারি করছে না বলেই পুনরাবৃত্তি ঘটছে।

ঢাকায় কিছুদিন পরপর অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। অতীতে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো তদন্ত করে সুপারিশের পাশাপাশি গত বছরের ৪ জুন সংশ্লিষ্টদের
সঙ্গে মতবিনিময় করে কমিশন।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে বেশ কিছু সুপারিশ সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে পাঠালেও সেগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন না হওয়ায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঝুঁকিপূর্ণ জেনেও দিনের পর দিন নিরাপত্তায় দায়িত্বহীনতা!

আপডেট সময় :

 

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে মানবাধিকার কমিশন চেয়ারম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ-এর মন্তব্য

দেশের অধিকাংশ ভবনেই অগ্নিপ্রতিরোধক ব্যবস্থা নেই। অগ্নিকাণ্ডের ঝুঁকি জানার পরও ভবনগুলোতে দিনের পর দিন কোন রকমের নিরাপত্তাব্যবস্থা নেওয়া হয় না। এই অগ্নিকাণ্ডে অবশ্যই অবহেলা ছিল। এতো বড় একটি বাণিজ্যিক ভবনে ফায়ার এক্সিট থাকবে না?

এটা না থাকার কারণে আটকে পড়া মানুষ চেষ্টা করেও বের হতে পারেননি। এমন ঘটনার আর পুনরাবৃত্তি দেখতে চায় জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের চেয়াম্যান ড. কামাল উদ্দিন আহমেদ।

শুক্রবার বিকালে বেইলি রোডে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাস্থল পরিদর্শনে একথা বলেন তিনি। বলেন, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনাটি আমাদের ভীষণভাবে ব্যথিত করেছে। প্রায়ই অগ্নিকাণ্ডে মানুষ তাদের মূল্যবান জীবন হারাচ্ছে। ক্ষয়ক্ষতিও উদ্বেগজনক।

বেইলি রোডে আগুনে ৪৬ জনের মর্মান্তিক মৃত্যু ও হতাহত হওয়ার ঘটনায় গভীর শোক ও সমবেদনা জানিয়েছেন কমিশন চেয়ারম্যান। ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে তার নেতৃত্বে কমিশনের প্রতিনিধি দল শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউট পরিদর্শন করেন। কমিশনের সচিব সেবাষ্টিন রেমা, উপপরিচালক সুষ্মিতা পাইক তার সঙ্গে ছিলেন।

কমিশনের চেয়ারম্যান বলেন, এ ধরনের বড় দুর্ঘটনাগুলো ঘটার পর কিছুদিন পরিস্থিতি উত্তপ্ত থাকে। আলোচনা-সমালোচনা হয় এবং তা থেমে যায়। দায়িত্বশীল ও কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হচ্ছে না। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ যথাযথ নজরদারি করছে না বলেই পুনরাবৃত্তি ঘটছে।

ঢাকায় কিছুদিন পরপর অগ্নিকাণ্ডে হতাহতের ঘটনা আশঙ্কাজনকভাবে বেড়েছে। অতীতে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো তদন্ত করে সুপারিশের পাশাপাশি গত বছরের ৪ জুন সংশ্লিষ্টদের
সঙ্গে মতবিনিময় করে কমিশন।

অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পুনরাবৃত্তি রোধে বেশ কিছু সুপারিশ সরকারের সংশ্লিষ্ট দফতরগুলোতে পাঠালেও সেগুলোর যথাযথ বাস্তবায়ন না হওয়ায় অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হচ্ছে।