ঢাকা ০৮:১১ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪

ট্রাম্পের মন্তব্য আমাদের অনেককে বিব্রত করেছে: ধর্ম উপদেষ্টা

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:২৫:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪ ৫৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ট্রাম্প (ডোনাল্ড ট্রাম্প) যে মন্তব্য করেছেন,  তা  আমাদের অনেককে বিব্রত করেছে। কারণ, আমরা এখানে (বাংলাদেশে) যাঁরা আছি, তাঁরা মনে করি, সকল ধর্মাবলম্বীদের রাজনৈতিক অধিকার, ধর্মীয় অধিকার, সামাজিক-সাংস্কৃতিক অধিকার স্বীকৃত। ফলে অন্য ধর্মাবলম্বীদের হয়রানি করা হচ্ছে, এমন ধরনের যে অভিযোগ আমরা শুনি, আমরা এ কথাগুলোর সঙ্গে একমত নই।

ঢাকার সাভারের বিরুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ড্যাফোডিল ইসলামিক সেন্টার আয়োজিত আজ রোববার দুই দিনব্যাপী ‘সুন্নাহ ফাউন্ডেশন কনফারেন্স বাংলাদেশ-২০২৪’–এর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান পার্টির নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে বাংলাদেশ হিন্দু, খ্রিষ্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বরোচিত সহিংসতা ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছেন।

খালিদ হোসেন বলেন, ‘ভোটের ময়দানে অনেকে অনেক কথা বলেন, হয়তো মি. ট্রাম্প ভোট পাওয়ার জন্য এসব কথা বলেছেন। তবে আমরা বিশ্বাস করি ও আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ যে এ দেশে অন্যান্য ধর্মাবলম্বী যাঁরা আছেন, তাঁরা নিরাপদে আছেন। তাঁদের ধর্ম, ব্যবসা, রাজনৈতিক অধিকার আমরা নিশ্চিত করেছি। এটা আমাদের অঙ্গীকার। কেউ যদি কারও কোনো উপাসনালয় অপবিত্র করতে চায়, আমরা মনে করি তারা কোনো ধর্মের লোক নয়, তারা অপরাধী। অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার দায়িত্ব সরকারের।’

খালিদ হোসেন আরও বলেন, ‘আমরা সব সময় বলে আসছি, এ দেশের যাঁরা নাগরিক, নানা ধর্মাবলম্বী আছেন, প্রত্যেকের নাগরিক অধিকার, ধর্মীয় অধিকার, ব্যবসায়িক অধিকার আছে। এটা সাংবিধানিক অধিকার। তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। সাম্প্রতিক সময়ে তাঁদের পূজা–পার্বন উৎসবগুলো গেল, তাঁদের আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়েছি। তাঁদের কিছু দাবিদাওয়া আছে। এগুলো সরকারের বিবেচনায় আছে।’

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা মনে করি সহনশীলতা না থাকলে আমরা সুন্দর, বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে পারব না। বিভেদ কমিয়ে পারস্পরিক সম্মান, সহিষ্ণুতা, সম্প্রীতির আবহ যদি আমরা তৈরি করতে পারি, তাহলে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারব।’

সরকারি টাকায় ফ্রিতে হজে যাওয়ার প্রবণতা রোধে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘সরকারি অর্থে ফ্রি যাওয়ার একটা প্রবণতা আগে ছিল। যাদের হজ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমরা এদের নিতে চাচ্ছি না। যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী হজ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংযুক্ত, তাঁরা তো যাবেন অবশ্যই। কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন, তাঁরা সরকারি টাকায়, বিনা পয়সায় হজ করতেন। আমরা মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এটা নিরুৎসাহিত করেছি। আমরা এদের নেব না। আমরা সরকারি পর্যায়ে গত বছর চার হাজার হাজি নিয়েছি। এটা অব্যাহত থাকবে।’

দুই দিনব্যাপী ‘সুন্নাহ ফাউন্ডেশন কনফারেন্স বাংলাদেশ-২০২৪’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের অর্গানাইজিং কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনজুরে এলাহীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে ফিলিস্তিনের দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন জিয়াদ হামাদ, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ শামছুল আলম, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য এম লুৎফর রহমান প্রমুখ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ট্রাম্পের মন্তব্য আমাদের অনেককে বিব্রত করেছে: ধর্ম উপদেষ্টা

আপডেট সময় : ০৯:২৫:১০ অপরাহ্ন, রবিবার, ৩ নভেম্বর ২০২৪

 

ট্রাম্প (ডোনাল্ড ট্রাম্প) যে মন্তব্য করেছেন,  তা  আমাদের অনেককে বিব্রত করেছে। কারণ, আমরা এখানে (বাংলাদেশে) যাঁরা আছি, তাঁরা মনে করি, সকল ধর্মাবলম্বীদের রাজনৈতিক অধিকার, ধর্মীয় অধিকার, সামাজিক-সাংস্কৃতিক অধিকার স্বীকৃত। ফলে অন্য ধর্মাবলম্বীদের হয়রানি করা হচ্ছে, এমন ধরনের যে অভিযোগ আমরা শুনি, আমরা এ কথাগুলোর সঙ্গে একমত নই।

ঢাকার সাভারের বিরুলিয়ায় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ড্যাফোডিল ইসলামিক সেন্টার আয়োজিত আজ রোববার দুই দিনব্যাপী ‘সুন্নাহ ফাউন্ডেশন কনফারেন্স বাংলাদেশ-২০২৪’–এর উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন ধর্ম উপদেষ্টা আ ফ ম খালিদ হোসেন।

সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ও রিপাবলিকান পার্টির নেতা ডোনাল্ড ট্রাম্প এক্সে (সাবেক টুইটার) এক পোস্টে বাংলাদেশ হিন্দু, খ্রিষ্টান ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের ওপর বর্বরোচিত সহিংসতা ঘটনা ঘটেছে উল্লেখ করে এর নিন্দা জানিয়েছেন।

খালিদ হোসেন বলেন, ‘ভোটের ময়দানে অনেকে অনেক কথা বলেন, হয়তো মি. ট্রাম্প ভোট পাওয়ার জন্য এসব কথা বলেছেন। তবে আমরা বিশ্বাস করি ও আমরা অঙ্গীকারবদ্ধ যে এ দেশে অন্যান্য ধর্মাবলম্বী যাঁরা আছেন, তাঁরা নিরাপদে আছেন। তাঁদের ধর্ম, ব্যবসা, রাজনৈতিক অধিকার আমরা নিশ্চিত করেছি। এটা আমাদের অঙ্গীকার। কেউ যদি কারও কোনো উপাসনালয় অপবিত্র করতে চায়, আমরা মনে করি তারা কোনো ধর্মের লোক নয়, তারা অপরাধী। অপরাধীকে আইনের আওতায় আনার দায়িত্ব সরকারের।’

খালিদ হোসেন আরও বলেন, ‘আমরা সব সময় বলে আসছি, এ দেশের যাঁরা নাগরিক, নানা ধর্মাবলম্বী আছেন, প্রত্যেকের নাগরিক অধিকার, ধর্মীয় অধিকার, ব্যবসায়িক অধিকার আছে। এটা সাংবিধানিক অধিকার। তাঁদের নিরাপত্তা দেওয়ার দায়িত্ব সরকারের। সাম্প্রতিক সময়ে তাঁদের পূজা–পার্বন উৎসবগুলো গেল, তাঁদের আমরা সর্বোচ্চ নিরাপত্তা দিয়েছি। তাঁদের কিছু দাবিদাওয়া আছে। এগুলো সরকারের বিবেচনায় আছে।’

ধর্ম উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা মনে করি সহনশীলতা না থাকলে আমরা সুন্দর, বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে পারব না। বিভেদ কমিয়ে পারস্পরিক সম্মান, সহিষ্ণুতা, সম্প্রীতির আবহ যদি আমরা তৈরি করতে পারি, তাহলে আমরা সামনের দিকে এগিয়ে যেতে পারব।’

সরকারি টাকায় ফ্রিতে হজে যাওয়ার প্রবণতা রোধে উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে জানান ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন। তিনি বলেন, ‘সরকারি অর্থে ফ্রি যাওয়ার একটা প্রবণতা আগে ছিল। যাদের হজ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে কোনো সম্পৃক্ততা নেই। আমরা এদের নিতে চাচ্ছি না। যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারী হজ ব্যবস্থাপনার সঙ্গে সংযুক্ত, তাঁরা তো যাবেন অবশ্যই। কিছু কর্মকর্তা-কর্মচারী আছেন, তাঁরা সরকারি টাকায়, বিনা পয়সায় হজ করতেন। আমরা মন্ত্রিপরিষদের বৈঠকে এটা নিরুৎসাহিত করেছি। আমরা এদের নেব না। আমরা সরকারি পর্যায়ে গত বছর চার হাজার হাজি নিয়েছি। এটা অব্যাহত থাকবে।’

দুই দিনব্যাপী ‘সুন্নাহ ফাউন্ডেশন কনফারেন্স বাংলাদেশ-২০২৪’ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে সুন্নাহ ফাউন্ডেশনের অর্গানাইজিং কমিটির চেয়ারম্যান মোহাম্মদ মনজুরে এলাহীর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশে ফিলিস্তিনের দূতাবাসের ডেপুটি হেড অব মিশন জিয়াদ হামাদ, কুষ্টিয়া ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ, ইসলামী আরবি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মোহাম্মদ শামছুল আলম, ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য এম লুৎফর রহমান প্রমুখ।