ঢাকা ০২:৫০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১২ নভেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo আজীবন সম্মাননা পেলেন বিশ্বনন্দিত যাদুশিল্পী জুয়েল আইচ এবং কিংবদন্তী অভিনেত্রী আনোয়ারা শ্রেষ্ঠ নায়ক সজল শ্রেষ্ঠ নায়িকা পরীমণি Logo শীর্ষ সন্ত্রাসীদের যুদ্ধক্ষেত্রে রূপ নিচ্ছে ঢাকা! Logo গুজব ও শঙ্কায় সারাদেশ Logo গোলাম মাওলা সেতু দ্রুত নির্মাণের দাবি: জাতীয় প্রেসক্লাবে মানববন্ধন Logo শরীয়তপুরের ভেদরগঞ্জে প্রসাশনের মতবিনিময় সভা অনুষ্ঠিত Logo ‘আগামী দশ বছরের মধ্যে দেশের নেতৃত্ব দেবে রাজপথে থাকা তরুণেরা’ Logo ময়মনসিংহে ট্রেনের ইঞ্জিনে আগুন, দুই ঘন্টা চলাচল বন্ধ Logo সুনামগঞ্জ-৪ আসনে ট্রাকের চাবি পেলেন তিমন চৌধুরী Logo ইসলামপুরে জাংক ফুড বিরোধী ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত Logo গোলাপগঞ্জে অপরাধ দমনে সক্রিয় পুলিশ, এক মাসে ১৫ মামলা নিস্পত্তি

ঢাকায় নারী চক্র! বিত্তবানদের অপহরণ করতো তারা

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ৫১৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

পরিকল্পিত ছক। টার্গেট বিত্তিবান পুরুষ। কৌশলে প্রলোবন, তারপর সুবিধামতো সময়ে অপহরণ! মুক্তিপন আদায়েও তাদের ছিলো ভিন্ন কৌশল। মুক্তিপণ আদায় করা হতো ক্রিপ্টোকারেন্সিতে। জড়িত ৬ জন আটকা পড়ে গোয়েন্দা জালে। তাদের দু’জন নারী সদস্য।

ঢাকায় অপহরণের শিকার এক ব্যক্তিকে উদ্ধারের ওঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। লিটন মিয়া নামের এক ব্যবসায়ীকে ১০দিন আগে ঢাকা থেকে অপহরণ করা হয়। লিটনকে উদ্ধারে শুক্রবার (৮ মার্চ) রাতে মাঠে নামে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি বিশেষ দল।

তারা ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান লিটন মিয়াকে উদ্ধার এবং জড়িত ৪ অপহরণকারীকে আটক করে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মা-মেয়েকে আটক করা হয়। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, অপহরণকারীরা নারীদের দিয়ে ফাঁদ পেতে অপহরণ করে আসছিলো। লিটনের বেলায়ও তাই ঘটেছিলো।

কোন ঘটনার পর সেসময় ব্যবহৃত মোবাইল ফোন সেট ঘটনাস্থল থেকে বহু দূরে কোথাও ফেলে দিতো। চক্রের মূল হোতা জুয়েল রানা একজন দাগী অপরাধী। যে কীনা নিজের শ্বশুড়কে হত্যার মধ্যদিয়ে হাত পাকিয়েছে। জুয়েল রানার বিরুদ্ধে এখন ১৮টি মামলা।

জুয়েল রানা ৩০টি অপহরণের সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে স্বীকার করেছে। মুক্তিপণের টাকা আদায় করতো ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে। আর অপহরণের টার্গে ছিলো ধনাঢ্য ব্যক্তি। সেই কাজটি করানো হতো নারীদের দিয়ে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ সংবাদমাধ্যকে জানিয়েছেন, জুয়েল রানার বাড়ি নবীনগর। আন্ডারওয়ার্ল্ডের একজন গডফাদার হিসেবে পরিচিত। যে কিনা প্রথমে শ্বশুরকে হত্যা করে পানিতে ভাসিয়ে দিয়েছিলো।

হারুন অর রশিদ বলেন, এবার লিটন মিয়া নামে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। যেটা চাওয়া হয় ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে।

আদায়কৃত মুক্তিপণের টাকার মধ্যে ৪ লাখ টাকার ডলার পাঠিয়ে দেয়া হয় দুবাইয়ে রিফাত নামে একজনের কাছে। আর জুয়েল রানা নিয়ে নেন ৬ লাখ টাকা। এর আগেও এই চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করেছিলো গোয়েন্দা পুলিশ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ঢাকায় নারী চক্র! বিত্তবানদের অপহরণ করতো তারা

আপডেট সময় :

 

পরিকল্পিত ছক। টার্গেট বিত্তিবান পুরুষ। কৌশলে প্রলোবন, তারপর সুবিধামতো সময়ে অপহরণ! মুক্তিপন আদায়েও তাদের ছিলো ভিন্ন কৌশল। মুক্তিপণ আদায় করা হতো ক্রিপ্টোকারেন্সিতে। জড়িত ৬ জন আটকা পড়ে গোয়েন্দা জালে। তাদের দু’জন নারী সদস্য।

ঢাকায় অপহরণের শিকার এক ব্যক্তিকে উদ্ধারের ওঠে এলো চাঞ্চল্যকর তথ্য। লিটন মিয়া নামের এক ব্যবসায়ীকে ১০দিন আগে ঢাকা থেকে অপহরণ করা হয়। লিটনকে উদ্ধারে শুক্রবার (৮ মার্চ) রাতে মাঠে নামে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশের একটি বিশেষ দল।

তারা ঢাকার বিভিন্ন স্থানে অভিযান লিটন মিয়াকে উদ্ধার এবং জড়িত ৪ অপহরণকারীকে আটক করে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মা-মেয়েকে আটক করা হয়। গোয়েন্দা সূত্র জানায়, অপহরণকারীরা নারীদের দিয়ে ফাঁদ পেতে অপহরণ করে আসছিলো। লিটনের বেলায়ও তাই ঘটেছিলো।

কোন ঘটনার পর সেসময় ব্যবহৃত মোবাইল ফোন সেট ঘটনাস্থল থেকে বহু দূরে কোথাও ফেলে দিতো। চক্রের মূল হোতা জুয়েল রানা একজন দাগী অপরাধী। যে কীনা নিজের শ্বশুড়কে হত্যার মধ্যদিয়ে হাত পাকিয়েছে। জুয়েল রানার বিরুদ্ধে এখন ১৮টি মামলা।

জুয়েল রানা ৩০টি অপহরণের সঙ্গে সরাসরি জড়িত বলে স্বীকার করেছে। মুক্তিপণের টাকা আদায় করতো ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে। আর অপহরণের টার্গে ছিলো ধনাঢ্য ব্যক্তি। সেই কাজটি করানো হতো নারীদের দিয়ে।

ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ সংবাদমাধ্যকে জানিয়েছেন, জুয়েল রানার বাড়ি নবীনগর। আন্ডারওয়ার্ল্ডের একজন গডফাদার হিসেবে পরিচিত। যে কিনা প্রথমে শ্বশুরকে হত্যা করে পানিতে ভাসিয়ে দিয়েছিলো।

হারুন অর রশিদ বলেন, এবার লিটন মিয়া নামে এক ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে ১০ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। যেটা চাওয়া হয় ক্রিপ্টোকারেন্সির মাধ্যমে।

আদায়কৃত মুক্তিপণের টাকার মধ্যে ৪ লাখ টাকার ডলার পাঠিয়ে দেয়া হয় দুবাইয়ে রিফাত নামে একজনের কাছে। আর জুয়েল রানা নিয়ে নেন ৬ লাখ টাকা। এর আগেও এই চক্রের সদস্যদের গ্রেফতার করেছিলো গোয়েন্দা পুলিশ।