ঢাকা ০৩:০৫ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৩ সেপ্টেম্বর ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo চলতি মাসেই কাজ শুরুর প্রতিশ্রুতি প্রকৌশলীর Logo গরুর হাটের যায়গা দখল ও অবৈধ বরাদ্ধ বাতিলের দাবিতে মানবন্ধন Logo ঝিনাইগাতীতে কৃষকের কাকরোল গাছ কেটে প্রাণনাশের হুমকি Logo বাতাসে দুলছে লাল শাপলা, যেন স্বাগত জানাচ্ছে পথিককে Logo কেশবপুরে মাছের ঘেরের ভেড়িতে তরমুজ চাষ করে সফল কৃষকেরা Logo দাগনভূঞায় রাজাপুর ইউনিয়ন তাঁতীদলের কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত Logo রামুতে প্রায় সাতাশ হাজার পিস ইয়াবাসহ আটক ১ Logo ভালুকায় কোটি টাকা মূল্যের জমি জবর দখলের চেষ্টার অভিযোগ Logo কিশোরগঞ্জ যুবদল নেতাদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের কমিটির পদ থেকে পদত্যাগের নির্দেশ Logo ৩০ মৃত শ্রমিকের পরিবারকে ১৪ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা এককালীন অনুদান প্রদান

দুর্যোগের রাতে মোবাইলের আলোয় হাসপাতালে জন্ম দুই নবজাতকের

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ৩০৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ঘূর্ষিঝড় রেমালের তান্ডবে লন্ডভন্ড উপকূল অঞ্চল। বিশাল উপকূল এলাকার হিংসভাগ বিদ্যুৎহীন। হাসপাতালে রোগীদের সেবা চলে মোবাইলের আলোয়। এমন পরিস্থিতিতে নোয়াখালীর হাতিয়ার পরিস্থিতি সহজেই অনুমান করা যায়।

এই দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দা গৃহবধূ ফেন্সি বেগমের (৩০)। তুমুল ঝড়ে কাঁপছে হাতিয়া। এমন অবস্থায় সোমবার (২৭ মে) রাতে প্রসব ব্যথা ফেন্সি বেগমের ওঠে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

বিদ্যুৎ না থাকায় বিপাকে পড়েন হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা। এরপর মোবাইলের টর্চলাইট জ্বালিয়ে ফুটফুটে কন্যাসন্তান প্রসব করান ডা. সুমাইয়া বিনতে ফরহাদ।

দুর্যোগের রাতে দুই নবজাতক প্রসব করাতে পেরে গর্বিত মনে করেন ডা. সুমাইয়া বিনতে ফরহাদ। বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আগের রাত থেকে হাতিয়ায় বিদ্যুৎ ছিল না। এরই মধ্যে প্রসূতির প্রসব যন্ত্রণা বেড়েই চলছিল। এমন পরিস্থিতিতে আমার মোবাইলের টর্চলাইট (ফ্ল্যাশ) জ্বালিয়ে মিডওয়াইফ মিম ও সাবরিনার সহযোগিতায় মায়েদের স্বাভাবিক প্রসব করানো হয়।

ডা. সুমাইয়া বলেন, প্রসূতি দুজনের অবস্থাই খারাপ ছিল। সবকিছু মিলিয়ে যে কী অবস্থা পার করেছি আল্লাহ ভালো জানেন। দ্বিতীয় রোগী হাতিয়া উপজেলায় নিজ বাসায় ডেলিভারির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে অবস্ট্রাক্টেড লেবার নিয়ে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন।

রোগীর হিমোগ্লোবিন ৬.৫ শতাংশ থাকায় জরুরি ভিত্তিতে সিজার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরবর্তী সময়ে রোগীরও স্বাভাবিক প্রসব করানো সম্ভব হয়। কিন্তু প্রসব পরবর্তীতে তার রক্তক্ষরণ শুরু হলে জরুরি চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করা হয়। বর্তমানে দুই মা ও দুই শিশু সুস্থ আছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

দুর্যোগের রাতে মোবাইলের আলোয় হাসপাতালে জন্ম দুই নবজাতকের

আপডেট সময় :

 

ঘূর্ষিঝড় রেমালের তান্ডবে লন্ডভন্ড উপকূল অঞ্চল। বিশাল উপকূল এলাকার হিংসভাগ বিদ্যুৎহীন। হাসপাতালে রোগীদের সেবা চলে মোবাইলের আলোয়। এমন পরিস্থিতিতে নোয়াখালীর হাতিয়ার পরিস্থিতি সহজেই অনুমান করা যায়।

এই দ্বীপ উপজেলার বাসিন্দা গৃহবধূ ফেন্সি বেগমের (৩০)। তুমুল ঝড়ে কাঁপছে হাতিয়া। এমন অবস্থায় সোমবার (২৭ মে) রাতে প্রসব ব্যথা ফেন্সি বেগমের ওঠে তাকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়।

বিদ্যুৎ না থাকায় বিপাকে পড়েন হাসপাতাল সংশ্লিষ্টরা। এরপর মোবাইলের টর্চলাইট জ্বালিয়ে ফুটফুটে কন্যাসন্তান প্রসব করান ডা. সুমাইয়া বিনতে ফরহাদ।

দুর্যোগের রাতে দুই নবজাতক প্রসব করাতে পেরে গর্বিত মনে করেন ডা. সুমাইয়া বিনতে ফরহাদ। বলেন, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে আগের রাত থেকে হাতিয়ায় বিদ্যুৎ ছিল না। এরই মধ্যে প্রসূতির প্রসব যন্ত্রণা বেড়েই চলছিল। এমন পরিস্থিতিতে আমার মোবাইলের টর্চলাইট (ফ্ল্যাশ) জ্বালিয়ে মিডওয়াইফ মিম ও সাবরিনার সহযোগিতায় মায়েদের স্বাভাবিক প্রসব করানো হয়।

ডা. সুমাইয়া বলেন, প্রসূতি দুজনের অবস্থাই খারাপ ছিল। সবকিছু মিলিয়ে যে কী অবস্থা পার করেছি আল্লাহ ভালো জানেন। দ্বিতীয় রোগী হাতিয়া উপজেলায় নিজ বাসায় ডেলিভারির চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়ে অবস্ট্রাক্টেড লেবার নিয়ে হাতিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসেন।

রোগীর হিমোগ্লোবিন ৬.৫ শতাংশ থাকায় জরুরি ভিত্তিতে সিজার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া সম্ভব হয়নি। পরবর্তী সময়ে রোগীরও স্বাভাবিক প্রসব করানো সম্ভব হয়। কিন্তু প্রসব পরবর্তীতে তার রক্তক্ষরণ শুরু হলে জরুরি চিকিৎসা দিয়ে সুস্থ করা হয়। বর্তমানে দুই মা ও দুই শিশু সুস্থ আছে।