ঢাকা ১২:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

দেশপ্রেমিকরা পালায় না : জামায়াত আমীর

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৬:৪০:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪ ৮৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশের প্রতি যাদের ভালোবাসা আছে, দরদ আছে তারা কখনও দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন না।

তিনি বলেন, যারা দেশপ্রেমিকরা, তারা দেশ ছেড়ে পালায় না। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ১১জন বিশিষ্ট নেতাকে বিগত সরকার খুন করেছে। বিচারিক আদালতের মাধ্যমে হত্যা করেছে। ১১জন নেতা বাংলাদেশ থেকে পালানোর চেষ্টা করেননি। কারণ দেশপ্রেমিকরা দেশ ছেড়ে পালায় না।

সোমবার দিনাজপুরের বীরগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে বীরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

৫ আগস্ট বাংলাদেশের মানুষের জন্য মুক্তি এবং স্বাধীনতা এনে দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগে মানুষ ভয়ে কথা বলতে পারতো না। একটু কথা বললে একজন মানুষের জীবনে বিভীষিকা নেমে আসতো। এখন মানুষ কথা বলার স্বাধীনতা পেয়েছে।

তিনি বলেন, যারা বিগত সময়ে দেশ শাসন করেছেন তারা জনগণের আমানত রক্ষা করেননি। তারা জনগণের আমানতকে নিজের পকেটে ভরিয়েছেন। তারা তছরুপ করেছে, তারা চুরি করেছে, তারা ডাকাতি করেছেন, তারা জনগণের টাকা লুটপাট করেছেন এবং সেই টাকা দেশের বাইরে তারা পাচার করেছেন। বিগত সাড়ে ১৬ বছরে ২৬ লাখ কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে বাইরে পাচার করা হয়েছে।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, যুগ যুগ ধরে আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে পরস্পরের পাশাপাশি আছি। কিন্তু মাঝে মধ্যে কেউ কেউ সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে বাংলাদেশের সৌন্দর্য নষ্ট করতে চায়। এখানে সংখ্যালঘু আর সংখ্যাগুরু বলে এই দেশটাকে দুভাগে ভাগ করে পরস্পরের মুখোমুখী করে দেওয়া হয়েছে। আমরা সংখ্যালঘু আর সংখ্যাগুরু মানিনা। আমরা সবাই এদেশের নাগরিক।

প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ১৭ বছর বয়স যাদের তাদের ভোটার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ১৫ বছর নির্যাতিত হয়ে আমরা রাজনীতি করেছি। স্বৈরাচার সরকারের আমরা পতন ঘটাতে পারিনি। কিন্তু কোমলমতি আমাদের ছেলে মেয়েরা আন্দোলন করে স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়েছে। তাদের সাথে তাদের নেতৃত্বে আমরা দাঁড়িয়েছিলাম। কিন্তু তারাই নেতৃত্বে ছিল। যারা জীবন দিয়ে এ স্বাধীনতা এনে দিতে পারে আমরা তাদের হাতে এদেশ গড়ার দায়িত্ব তুলে দিতে চাই।

পথসভায় কারী মো. আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা আব্দুল হালিম, রংপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক অধ্যক্ষ মমতাজ উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা’র সদস্য মো. আনোয়ারুল ইসলাম, দিনাজপুর জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর আলহাজ্ব আফতাব উদ্দীন মোল্লা, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান, সেক্রেটারি ডক্টর এনামুল হক, ঠাকুরগাঁও জেলা জামায়াত আমির আব্দুল হাকিম, কাহারোল উপজেলা জামাতের আমির তরিকুল ইসলাম।

পথসভা শেষে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত জামায়াত নেতা নেতা মাওলানা খোদা বখস এর গ্রামের বাড়ি বীরগঞ্জের দলুয়ায় কবর জিয়ারত ও পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ শেষে ঠাকুরগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে যোগদানের উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

দেশপ্রেমিকরা পালায় না : জামায়াত আমীর

আপডেট সময় : ০৬:৪০:৩৫ অপরাহ্ন, সোমবার, ৩০ ডিসেম্বর ২০২৪

 

জামায়াতে ইসলামীর আমীর ডা. শফিকুর রহমান বলেছেন, দেশের প্রতি যাদের ভালোবাসা আছে, দরদ আছে তারা কখনও দেশ ছেড়ে পালাতে পারেন না।

তিনি বলেন, যারা দেশপ্রেমিকরা, তারা দেশ ছেড়ে পালায় না। বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ১১জন বিশিষ্ট নেতাকে বিগত সরকার খুন করেছে। বিচারিক আদালতের মাধ্যমে হত্যা করেছে। ১১জন নেতা বাংলাদেশ থেকে পালানোর চেষ্টা করেননি। কারণ দেশপ্রেমিকরা দেশ ছেড়ে পালায় না।

সোমবার দিনাজপুরের বীরগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে বীরগঞ্জ উপজেলা জামায়াতে ইসলামী আয়োজিত পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

৫ আগস্ট বাংলাদেশের মানুষের জন্য মুক্তি এবং স্বাধীনতা এনে দিয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘আগে মানুষ ভয়ে কথা বলতে পারতো না। একটু কথা বললে একজন মানুষের জীবনে বিভীষিকা নেমে আসতো। এখন মানুষ কথা বলার স্বাধীনতা পেয়েছে।

তিনি বলেন, যারা বিগত সময়ে দেশ শাসন করেছেন তারা জনগণের আমানত রক্ষা করেননি। তারা জনগণের আমানতকে নিজের পকেটে ভরিয়েছেন। তারা তছরুপ করেছে, তারা চুরি করেছে, তারা ডাকাতি করেছেন, তারা জনগণের টাকা লুটপাট করেছেন এবং সেই টাকা দেশের বাইরে তারা পাচার করেছেন। বিগত সাড়ে ১৬ বছরে ২৬ লাখ কোটি টাকা বাংলাদেশ থেকে বাইরে পাচার করা হয়েছে।

ডা. শফিকুর রহমান বলেন, যুগ যুগ ধরে আমরা সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি নিয়ে পরস্পরের পাশাপাশি আছি। কিন্তু মাঝে মধ্যে কেউ কেউ সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিয়ে বাংলাদেশের সৌন্দর্য নষ্ট করতে চায়। এখানে সংখ্যালঘু আর সংখ্যাগুরু বলে এই দেশটাকে দুভাগে ভাগ করে পরস্পরের মুখোমুখী করে দেওয়া হয়েছে। আমরা সংখ্যালঘু আর সংখ্যাগুরু মানিনা। আমরা সবাই এদেশের নাগরিক।

প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, ১৭ বছর বয়স যাদের তাদের ভোটার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ১৫ বছর নির্যাতিত হয়ে আমরা রাজনীতি করেছি। স্বৈরাচার সরকারের আমরা পতন ঘটাতে পারিনি। কিন্তু কোমলমতি আমাদের ছেলে মেয়েরা আন্দোলন করে স্বৈরাচার সরকারের পতন ঘটিয়েছে। তাদের সাথে তাদের নেতৃত্বে আমরা দাঁড়িয়েছিলাম। কিন্তু তারাই নেতৃত্বে ছিল। যারা জীবন দিয়ে এ স্বাধীনতা এনে দিতে পারে আমরা তাদের হাতে এদেশ গড়ার দায়িত্ব তুলে দিতে চাই।

পথসভায় কারী মো. আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, জামায়াতে ইসলামীর সহকারি সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, মাওলানা আব্দুল হালিম, রংপুর অঞ্চলের সহকারী পরিচালক অধ্যক্ষ মমতাজ উদ্দিন, কেন্দ্রীয় মজলিশে শূরা’র সদস্য মো. আনোয়ারুল ইসলাম, দিনাজপুর জেলা জামায়াতের সাবেক আমীর আলহাজ্ব আফতাব উদ্দীন মোল্লা, জেলা জামায়াতে ইসলামীর আমীর অধ্যক্ষ আনিসুর রহমান, সেক্রেটারি ডক্টর এনামুল হক, ঠাকুরগাঁও জেলা জামায়াত আমির আব্দুল হাকিম, কাহারোল উপজেলা জামাতের আমির তরিকুল ইসলাম।

পথসভা শেষে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত জামায়াত নেতা নেতা মাওলানা খোদা বখস এর গ্রামের বাড়ি বীরগঞ্জের দলুয়ায় কবর জিয়ারত ও পরিবারের সাথে সাক্ষাৎ শেষে ঠাকুরগাঁওয়ে অনুষ্ঠিত কর্মী সম্মেলনে যোগদানের উদ্দেশ্যে রওনা হন তিনি।