ঢাকা ০৪:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::

নাটোরে আরও একটি শিল্পপার্ক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে প্রাণ গ্রুপ

স্টাফ রিপোর্টার
  • আপডেট সময় : ০৩:৫১:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪ ৩২৫ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

 

নাটোরে আরও একটি শিল্পপার্ক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে প্রাণ গ্রুপ। সরকারীভাবে গ্যাস সংযোগ পাওয়া গেলে আগামী ৩ বছরের মধ্যে শিল্পপার্ক স্থাপন করার কথা জানায় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। তাতে নতুন করে নাটোরে প্রায় ১ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে।

বুধবার নাটোরে প্রাণ এগ্রো লিমিটেড কারখানার দুই যুগ পূর্তি উপলক্ষ্যে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) চৌধুরী কামরুজ্জামান কামাল এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নাটোরে গ্যাস সংযোগ নিয়ে আসতে আমাদের গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। গ্যাস সংযোগ পেলেই দ্রুত সময়ে নতুন শিল্পপার্ক স্থাপন সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, ২০০০ সালে নাটোরের একডালায় প্রাণ-এর কারখানা স্থাপিত হয়। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের দুই যুগের পথচলায় আর্থ-সামাজিক অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে।

এ পর্যন্ত নাটোরে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ প্রাণ। এই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জীবিকা নির্বাহ করছে এই জেলার প্রায় ২২ হাজার মানুষ। যারা পণ্য উৎপাদন, মৌসুমী কর্মকান্ড ও পণ্য সরবরাহসহ নানা কাজে যুক্ত।

নাটোরে শুধু পণ্য উৎপাদন নয়, প্রাণ গ্রুপের কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামালের বড় অংশ নাটোর ও পার্শ্ববর্তী জেলাসমূহ থেকে সংগ্রহ করা হয়। নাটোরে চুক্তিভিত্তিক কৃষকের কাছ থেকে প্রাণ ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা সমমূল্যের কৃষিপণ্য ক্রয় করেছে।

আগামীতে চিনিগুড়া চাল, হলুদ ও কাসাভাসহ আরও কয়েকটি পণ্য চুক্তিভিত্তিক চাষের আওতায় আনতে যাচ্ছে প্রাণ। এতে প্রাণের সঙ্গে এ জেলার আরও পাঁচ হাজার চুক্তিভিত্তিক চাষি যুক্ত হবে বলে জানান প্রাণের এই কর্মকর্তা।

সভায় প্রাণ এগ্রো লিমিটেড কারখানার জেনারেল ম্যানেজার হযরত আলী বলেন, অত্র অঞ্চলে প্রাণ-আরএফএল শুধু পণ্য উৎপাদন, বাজারজাত, কর্মসংস্থান সৃষ্টি বা চুক্তিভিত্তিক কৃষকদের কাছ থেকে পণ্য কিনছে না, সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে নানা ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ কারখানা সংলগ্ন এলাকায় রাস্তাঘাট নির্মাণ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান, ধর্মীয় উপাসনালয়ে সহায়তা, বৃক্ষ রোপণসহ নানা ধরনের কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। এছাড়া খুব শিগগিরই এখানে একটি পাবলিক স্কুল চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।

সভায় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার (পাবলিক রিলেশন্স) তৌহিদুজ্জামানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নাটোরে আরও একটি শিল্পপার্ক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে প্রাণ গ্রুপ

আপডেট সময় : ০৩:৫১:৩১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪

 

 

নাটোরে আরও একটি শিল্পপার্ক প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ নিয়েছে প্রাণ গ্রুপ। সরকারীভাবে গ্যাস সংযোগ পাওয়া গেলে আগামী ৩ বছরের মধ্যে শিল্পপার্ক স্থাপন করার কথা জানায় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ। তাতে নতুন করে নাটোরে প্রায় ১ হাজার লোকের কর্মসংস্থান হবে।

বুধবার নাটোরে প্রাণ এগ্রো লিমিটেড কারখানার দুই যুগ পূর্তি উপলক্ষ্যে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের পরিচালক (বিপণন) চৌধুরী কামরুজ্জামান কামাল এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, নাটোরে গ্যাস সংযোগ নিয়ে আসতে আমাদের গ্রুপের চেয়ারম্যান প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে কথা বলেছেন। গ্যাস সংযোগ পেলেই দ্রুত সময়ে নতুন শিল্পপার্ক স্থাপন সম্ভব হবে।

তিনি বলেন, ২০০০ সালে নাটোরের একডালায় প্রাণ-এর কারখানা স্থাপিত হয়। প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের দুই যুগের পথচলায় আর্থ-সামাজিক অবস্থার ব্যাপক পরিবর্তন ঘটেছে।

এ পর্যন্ত নাটোরে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করা হয়েছে। দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগ্রুপ প্রাণ। এই প্রতিষ্ঠানটির সঙ্গে ওপর প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে জীবিকা নির্বাহ করছে এই জেলার প্রায় ২২ হাজার মানুষ। যারা পণ্য উৎপাদন, মৌসুমী কর্মকান্ড ও পণ্য সরবরাহসহ নানা কাজে যুক্ত।

নাটোরে শুধু পণ্য উৎপাদন নয়, প্রাণ গ্রুপের কৃষি প্রক্রিয়াজাত পণ্য উৎপাদনের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামালের বড় অংশ নাটোর ও পার্শ্ববর্তী জেলাসমূহ থেকে সংগ্রহ করা হয়। নাটোরে চুক্তিভিত্তিক কৃষকের কাছ থেকে প্রাণ ২০২২-২০২৩ অর্থবছরে প্রায় ১ হাজার ৫০০ কোটি টাকা সমমূল্যের কৃষিপণ্য ক্রয় করেছে।

আগামীতে চিনিগুড়া চাল, হলুদ ও কাসাভাসহ আরও কয়েকটি পণ্য চুক্তিভিত্তিক চাষের আওতায় আনতে যাচ্ছে প্রাণ। এতে প্রাণের সঙ্গে এ জেলার আরও পাঁচ হাজার চুক্তিভিত্তিক চাষি যুক্ত হবে বলে জানান প্রাণের এই কর্মকর্তা।

সভায় প্রাণ এগ্রো লিমিটেড কারখানার জেনারেল ম্যানেজার হযরত আলী বলেন, অত্র অঞ্চলে প্রাণ-আরএফএল শুধু পণ্য উৎপাদন, বাজারজাত, কর্মসংস্থান সৃষ্টি বা চুক্তিভিত্তিক কৃষকদের কাছ থেকে পণ্য কিনছে না, সামাজিক দায়বদ্ধতার অংশ হিসেবে নানা ধরনের কর্মকাণ্ড পরিচালনা করছে।

প্রাণ-আরএফএল গ্রুপ কারখানা সংলগ্ন এলাকায় রাস্তাঘাট নির্মাণ, স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের বৃত্তি প্রদান, ধর্মীয় উপাসনালয়ে সহায়তা, বৃক্ষ রোপণসহ নানা ধরনের কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। এছাড়া খুব শিগগিরই এখানে একটি পাবলিক স্কুল চালু করার পরিকল্পনা রয়েছে।

সভায় প্রাণ-আরএফএল গ্রুপের অ্যাসিস্ট্যান্ট জেনারেল ম্যানেজার (পাবলিক রিলেশন্স) তৌহিদুজ্জামানসহ অন্যান্য কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।