ঢাকা ০৯:১৮ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১১ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বুদ্ধ পূর্ণিমায় ২০ লাখ বৌদ্ধের প্রার্থনা নিরাপত্তাবলয়ে ৫ হাজার বৌদ্ধ বিহার Logo নিষিদ্ধ হলো আওয়ামী লীগ Logo নরসিংদীতে দেশ টিভির সাংবাদিকের উপর দূর্বৃত্তদের হামলা Logo “মাধবপুর থানা কর্তৃক ক্লুলেস হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন ও আসামী গ্রেফতার” Logo সুন্দরবন রক্ষায় পিরোজপুরে শিক্ষণ ও অভিজ্ঞতা বিনিময় সভা Logo ওয়াইফাই লাইন টানতে বিদ্যুৎ স্পৃষ্ট কাশিয়ানীতে যুবকের মৃত্যু  Logo হবিগঞ্জে সমন্বয়ক মাহাদী সহ চারজনের উপর সন্ত্রাসী হামলা Logo ঝিনাইদহে বজ্রপাতে মৃত দুই কৃষক পরিবারকে তারেক রহমানের মানবিক সহায়তা প্রদান Logo ডামুড্যায় জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত Logo শেরপুরের ঝিনাইগাতী থানা পুলিশ কর্তৃক ১৩৮৬ বোতল ভারতীয় মদ উদ্ধার

নালিতাবাড়ীতে ঐতিহাসিক পতাকা উত্তোলন দিবস পালিত

মো: আজিনুর রহমান, নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০৩:৪২:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫ ১১৭ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

শেরপুর নালিতাবাড়ীতে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবজ্জ্বল ইতিহাস স্মরণের মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক পতাকা উত্তোলন দিবস পালিত হয়েছে। রবিবার (২ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় সেঁজুতি অঙ্গনে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন সেঁজুতি বিদ্যানিকেতনের প্রিন্সিপাল মুনীরুজ্জামান। এ সময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন।

পতাকা উত্তোলন শেষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা  নালিতাবাড়ী পৌর শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সেঁজুতি অঙ্গনে শেষ হয়। প্রিন্সিপাল মুনীরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে  বক্তব্য উপস্থাপন করেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কলেজের প্রভাষক স্বপ্না চক্রবর্তী,শিক্ষক শান্তি সাহা,শিক্ষক অরুপ দেবনাথ প্রমুখ।সঞ্চালনা করেন একুশে দ্যুতি ও চন্দ্রিকা দ্যুতি।বক্তারা বলেন‘১৯৭১ সালে তৎকালীন ইকবাল হলের(শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল)শিক্ষার্থীরা লাল সবুজের পতাকা বানিয়েছিল। এটিই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যেটি আমাদের ‌অনুপ্রেরণা ও শক্তিতে পরিণত হয়।২৩ মার্চ ছিল পাকিস্তান দিবস।পাকিস্তান দিবসে পাকিস্তানের পতাকা উত্তোলন করা হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে তার পরিবর্তে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন।এটিই আমাদের স্বাধীনতার মূলমন্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

বক্তারা আরো বলেন,বিশ্বে এমন কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই যেটি একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পটভূমি তৈরি করে। রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক ধাপ থেকে শুরু করে চুড়ান্ত বিজয় পর্যন্ত যে বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করেছিল সেটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পেছনে যে সামাজিক,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পটভূমি প্রয়োজন ছিল,সেটার প্রথম এবং প্রধান যোগানদাতা ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক দিলারা বেগম,আফরোজা আক্তার,রওনক জাহান রুনি,শঙ্করী সূত্রধর,মনি গাঙ্গুলি,তনিমা ইসলাম,পারভীন আকতার,জেসমিন আকতার,নাজমা খাতুন,ফারজানা বেগম,মমতাজ বেগম,শিরিন বেগম,সুজান্না সাংমা,রাশেদা আকতার,রিক্তা আকতার,রত্না রহমতুল্লাহ,শর্মিলা শরীফ প্রমুখ।

উল্লেখ্য,১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এক ছাত্রসমাবেশে ছাত্রনেতা আ স ম আব্দুর রবের নেতৃত্বে ডাকসু নেতারা বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। সেই পতাকার মাঝখানে ছিল বাংলাদেশের মানচিত্র। ধীনতার পর পতাকা থেকে মানচিত্রটি বাদ দিয়ে পতাকার মাপ ও রঙ নির্ধারণ করে এর পরিমার্জন করা হয়,যা আজ বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। সবুজ আয়তক্ষেত্রের মাঝখানে লাল বৃত্ত, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার এই রূপটি ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি সরকারিভাবে গৃহীত হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নালিতাবাড়ীতে ঐতিহাসিক পতাকা উত্তোলন দিবস পালিত

আপডেট সময় : ০৩:৪২:৪১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২ মার্চ ২০২৫

শেরপুর নালিতাবাড়ীতে মুক্তিযুদ্ধের গৌরবজ্জ্বল ইতিহাস স্মরণের মধ্য দিয়ে ঐতিহাসিক পতাকা উত্তোলন দিবস পালিত হয়েছে। রবিবার (২ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টায় সেঁজুতি অঙ্গনে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন সেঁজুতি বিদ্যানিকেতনের প্রিন্সিপাল মুনীরুজ্জামান। এ সময় শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন।

পতাকা উত্তোলন শেষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা  নালিতাবাড়ী পৌর শহরের প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে সেঁজুতি অঙ্গনে শেষ হয়। প্রিন্সিপাল মুনীরুজ্জামান এর সভাপতিত্বে  বক্তব্য উপস্থাপন করেন শহীদ মুক্তিযোদ্ধা কলেজের প্রভাষক স্বপ্না চক্রবর্তী,শিক্ষক শান্তি সাহা,শিক্ষক অরুপ দেবনাথ প্রমুখ।সঞ্চালনা করেন একুশে দ্যুতি ও চন্দ্রিকা দ্যুতি।বক্তারা বলেন‘১৯৭১ সালে তৎকালীন ইকবাল হলের(শহীদ সার্জেন্ট জহুরুল হক হল)শিক্ষার্থীরা লাল সবুজের পতাকা বানিয়েছিল। এটিই রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ যেটি আমাদের ‌অনুপ্রেরণা ও শক্তিতে পরিণত হয়।২৩ মার্চ ছিল পাকিস্তান দিবস।পাকিস্তান দিবসে পাকিস্তানের পতাকা উত্তোলন করা হবে এটাই স্বাভাবিক। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে তার পরিবর্তে বাংলাদেশের পতাকা উত্তোলন করেন।এটিই আমাদের স্বাধীনতার মূলমন্ত্র হয়ে দাঁড়িয়েছে।’

বক্তারা আরো বলেন,বিশ্বে এমন কোনো বিশ্ববিদ্যালয় নেই যেটি একটি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পটভূমি তৈরি করে। রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রাথমিক ধাপ থেকে শুরু করে চুড়ান্ত বিজয় পর্যন্ত যে বিশ্ববিদ্যালয় কাজ করেছিল সেটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার পেছনে যে সামাজিক,রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক পটভূমি প্রয়োজন ছিল,সেটার প্রথম এবং প্রধান যোগানদাতা ছিল ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন শিক্ষক দিলারা বেগম,আফরোজা আক্তার,রওনক জাহান রুনি,শঙ্করী সূত্রধর,মনি গাঙ্গুলি,তনিমা ইসলাম,পারভীন আকতার,জেসমিন আকতার,নাজমা খাতুন,ফারজানা বেগম,মমতাজ বেগম,শিরিন বেগম,সুজান্না সাংমা,রাশেদা আকতার,রিক্তা আকতার,রত্না রহমতুল্লাহ,শর্মিলা শরীফ প্রমুখ।

উল্লেখ্য,১৯৭১ সালের ২ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলায় এক ছাত্রসমাবেশে ছাত্রনেতা আ স ম আব্দুর রবের নেতৃত্বে ডাকসু নেতারা বাংলাদেশের প্রথম জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন। সেই পতাকার মাঝখানে ছিল বাংলাদেশের মানচিত্র। ধীনতার পর পতাকা থেকে মানচিত্রটি বাদ দিয়ে পতাকার মাপ ও রঙ নির্ধারণ করে এর পরিমার্জন করা হয়,যা আজ বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা। সবুজ আয়তক্ষেত্রের মাঝখানে লাল বৃত্ত, বাংলাদেশের জাতীয় পতাকার এই রূপটি ১৯৭২ সালের ১৭ জানুয়ারি সরকারিভাবে গৃহীত হয়।