ঢাকা ০৫:১৭ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ০৮ জুন ২০২৫

নিরাপত্তা বলয়ে রাজধানীর ঈদগাহ মাঠ

হালিম মোহাম্মদ
  • আপডেট সময় : ১০:৫৯:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ জুন ২০২৫ ৩৪ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ঃ কোনো ঝুঁকি নেই- ডিএমপি কমিশনার

পবিত্র ঈদুল আজহা ঘিরে রাজধানীসহ সারাদেশের ঈদগাহ মাঠ নিরাপত্তাবলয়ে নেয়া হয়েছে। নির্বিঘেœ ঈদ উদযাপনের লক্ষ্যে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমন্বিত, সুদৃঢ় ও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে সারাদেশের ন্যায় ঢাকা মহানগরীতে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ডিএমপির গৃহিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে বলেন, জাতীয় ঈদগাহের প্রধান জামাত সকাল ৭ টান৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর ঢাকা মহানগরীতে ১১৮টি ঈদগাহে এবং ১৬২১টি মসজিদসহ মোট ১৭৩৯টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় ঈদগাহ, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ ও ঢাকার অন্যান্য সকল স্থানে অনুষ্ঠিতব্য ঈদ জামাতের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সমন্বিত নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে পুরো জাতীয় ঈদগাহ মাঠ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। পর্যাপ্ত সংখ্যক ইউনিফর্ম ও সাদা পেশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকছে। ঈদগাহ ময়দান ও আশেপাশের এলাকা সুইপিং করা হবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকবে ডিএমপির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, সোয়াট ও ক্যানাইন ইউনিট। মহানগরীর একটি ঈদ জামাতও নিরাপত্তা ব্যবস্থার বাইরে থাকবে না। তিনি বলেন, ঈদগাহ ময়দানে আসার প্রধান তিনটি রাস্তার প্রবেশ মুখে অর্থাৎ মৎস্য ভবন ক্রসিং, প্রেসক্লাবের সামনে ও হাইকোর্ট ক্রসিংয়ে ব্যারিকেড ও তল্লাশির ব্যবস্থা থাকবে। ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশপথ সমূহে আর্চওয়ের মাধ্যমে সকল মুসল্লিকে প্রবেশ করতে হবে। এছাড়াও মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ও ম্যানুয়ালি তল্লাশির ব্যবস্থা থাকবে। নারীদের জন্য পৃথক নামাজের ব্যবস্থা, প্রবেশপথ এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদ জামাতে কোনো প্রকার ব্যাগ, ধারালো বস্তু বা দাহ্য পদার্থ সঙ্গে আনা যাবে না। জামাত শেষে তাড়াহুড়ো না করে সুশৃঙ্খলভাবে বের হবেন। সন্দেহজনক কিছু মনে হলে নিকটস্থ থানা অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে জানাবেন। নিরাপত্তার স্বার্থে তল্লাশি কাজে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সহায়তা করবেন। সকলকে ডিএমপি প্রদত্ত নির্দেশনাসমূহ মেনে চলার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, নানা প্রতিকূলতার কারণে এবারের ঈদুল আজহার যাতায়াতে দুর্ভোগ আমাদের সঙ্গী হতে চলেছে। বিদায়ি ঈদুল ফিতরে লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হওয়ায় আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহায় সরকারের পক্ষ থেকে ১০ দিন ছুটি দেওয়া হয়েছে। তবে কোনো প্রকার সমীক্ষা ছাড়াই ছুটি ঘোষণা করায় দেশের যাত্রীসাধারণ এবারের আসন্ন ঈদুল আজহায় ভয়াবহ দুর্ভোগে পড়তে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে ঈদ উপলক্ষে আগামী ৫ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত মোট ১০ দিনের ছুটি রয়েছে। লম্বা ছুটির কারণে এবারের ঈদে বেশি মানুষ গ্রামের বাড়ি যাবেন এটাই স্বাভাবিক। এ ছাড়া জাতীয় নির্বাচন সামনে থাকায় রাজনীতিবিদদেরও মাঠে আনাগোনা বাড়বে। ফলে বেশি মানুষের যাতায়াত হবে এটাই নিশ্চিত। কেবল মুসলমানরা নয়, অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও এ ছুটিতে গ্রামের বাড়ি যাবে। এবারের ঈদুল আজহায় ঈদের পরে ৮ জুন থেকে ১৪ জুন ৭ দিনের ছুটি অনেকটা অপ্রয়োজনীয়। অথচ সরকারের দায় ও দায়িত্ব থাকলে ঈদের পেছনের ১১ ও ১২ জুনের ছুটি ৩ ও ৪ জুন এগিয়ে আনলে দেশের মানুষজন ঈদুল ফিতরের মতো ঈদুল আজহায়ও ধাপে ধাপে বাড়ি যাওয়ার সুযোগ পেত। ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হতো। সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি কমে আসত সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, এবারের ঈদকে কেন্দ্র করে কোন নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। এ সময় ডিএমপি কমিশনার ঢাকা মহানগরবাসীকে ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার বলেন, ঈদের নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লিগণ যাতে সহজে যাতায়াত করতে পারেন এজন্য জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের আশেপাশে চারটি স্থানে সকাল ৬ টাকা থেকে ঈদের নামাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ডাইভারশন/রোড ব্লক থাকবে। এছাড়া জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে আসা সর্বসাধারণের গাড়ি পার্কিং এবং ডাইভারশন চলাকালীন যানবাহন চলাচলের বিকল্প রাস্তা সংক্রান্তে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন তিনি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ডিএমপির অতিরিক্ত অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মাসুদ করিম, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

নিরাপত্তা বলয়ে রাজধানীর ঈদগাহ মাঠ

আপডেট সময় : ১০:৫৯:১৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৭ জুন ২০২৫

গোয়েন্দা নজরদারি বৃদ্ধি ঃ কোনো ঝুঁকি নেই- ডিএমপি কমিশনার

পবিত্র ঈদুল আজহা ঘিরে রাজধানীসহ সারাদেশের ঈদগাহ মাঠ নিরাপত্তাবলয়ে নেয়া হয়েছে। নির্বিঘেœ ঈদ উদযাপনের লক্ষ্যে সার্বিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সমন্বিত, সুদৃঢ় ও নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী। ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্য ও ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্যদিয়ে সারাদেশের ন্যায় ঢাকা মহানগরীতে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হচ্ছে। গতকাল শুক্রবার জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।
ডিএমপি কমিশনার পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে ডিএমপির গৃহিত নিরাপত্তা ব্যবস্থা সম্পর্কে বলেন, জাতীয় ঈদগাহের প্রধান জামাত সকাল ৭ টান৩০ মিনিটে অনুষ্ঠিত হবে। এ বছর ঢাকা মহানগরীতে ১১৮টি ঈদগাহে এবং ১৬২১টি মসজিদসহ মোট ১৭৩৯টি ঈদের জামাত অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় ঈদগাহ, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ ও ঢাকার অন্যান্য সকল স্থানে অনুষ্ঠিতব্য ঈদ জামাতের জন্য ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সমন্বিত নিরাপত্তা পরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে। এরই অংশ হিসেবে পুরো জাতীয় ঈদগাহ মাঠ সিসি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। পর্যাপ্ত সংখ্যক ইউনিফর্ম ও সাদা পেশাকে পুলিশ সদস্য মোতায়েন থাকছে। ঈদগাহ ময়দান ও আশেপাশের এলাকা সুইপিং করা হবে। নিরাপত্তা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণের জন্য ওয়াচ টাওয়ার স্থাপন করা হয়েছে। সার্বিক নিরাপত্তার জন্য সবসময় প্রস্তুত থাকবে ডিএমপির বোম্ব ডিসপোজাল ইউনিট, সোয়াট ও ক্যানাইন ইউনিট। মহানগরীর একটি ঈদ জামাতও নিরাপত্তা ব্যবস্থার বাইরে থাকবে না। তিনি বলেন, ঈদগাহ ময়দানে আসার প্রধান তিনটি রাস্তার প্রবেশ মুখে অর্থাৎ মৎস্য ভবন ক্রসিং, প্রেসক্লাবের সামনে ও হাইকোর্ট ক্রসিংয়ে ব্যারিকেড ও তল্লাশির ব্যবস্থা থাকবে। ঈদগাহ ময়দানে প্রবেশপথ সমূহে আর্চওয়ের মাধ্যমে সকল মুসল্লিকে প্রবেশ করতে হবে। এছাড়াও মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে ও ম্যানুয়ালি তল্লাশির ব্যবস্থা থাকবে। নারীদের জন্য পৃথক নামাজের ব্যবস্থা, প্রবেশপথ এবং নিরাপত্তা ব্যবস্থা থাকবে।
নগরবাসীর প্রতি অনুরোধ জানিয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঈদ জামাতে কোনো প্রকার ব্যাগ, ধারালো বস্তু বা দাহ্য পদার্থ সঙ্গে আনা যাবে না। জামাত শেষে তাড়াহুড়ো না করে সুশৃঙ্খলভাবে বের হবেন। সন্দেহজনক কিছু মনে হলে নিকটস্থ থানা অথবা জাতীয় জরুরি সেবা ৯৯৯ নম্বরে জানাবেন। নিরাপত্তার স্বার্থে তল্লাশি কাজে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যদের সহায়তা করবেন। সকলকে ডিএমপি প্রদত্ত নির্দেশনাসমূহ মেনে চলার জন্য অনুরোধ করেন তিনি।
বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতির মহাসচিব মো. মোজাম্মেল হক চৌধুরী বলেন, নানা প্রতিকূলতার কারণে এবারের ঈদুল আজহার যাতায়াতে দুর্ভোগ আমাদের সঙ্গী হতে চলেছে। বিদায়ি ঈদুল ফিতরে লম্বা ছুটির কারণে ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হওয়ায় আসন্ন পবিত্র ঈদুল আজহায় সরকারের পক্ষ থেকে ১০ দিন ছুটি দেওয়া হয়েছে। তবে কোনো প্রকার সমীক্ষা ছাড়াই ছুটি ঘোষণা করায় দেশের যাত্রীসাধারণ এবারের আসন্ন ঈদুল আজহায় ভয়াবহ দুর্ভোগে পড়তে যাচ্ছে।
তিনি বলেন, সরকারের পক্ষ থেকে ঈদ উপলক্ষে আগামী ৫ জুন থেকে ১৪ জুন পর্যন্ত মোট ১০ দিনের ছুটি রয়েছে। লম্বা ছুটির কারণে এবারের ঈদে বেশি মানুষ গ্রামের বাড়ি যাবেন এটাই স্বাভাবিক। এ ছাড়া জাতীয় নির্বাচন সামনে থাকায় রাজনীতিবিদদেরও মাঠে আনাগোনা বাড়বে। ফলে বেশি মানুষের যাতায়াত হবে এটাই নিশ্চিত। কেবল মুসলমানরা নয়, অন্যান্য ধর্মাবলম্বীরাও এ ছুটিতে গ্রামের বাড়ি যাবে। এবারের ঈদুল আজহায় ঈদের পরে ৮ জুন থেকে ১৪ জুন ৭ দিনের ছুটি অনেকটা অপ্রয়োজনীয়। অথচ সরকারের দায় ও দায়িত্ব থাকলে ঈদের পেছনের ১১ ও ১২ জুনের ছুটি ৩ ও ৪ জুন এগিয়ে আনলে দেশের মানুষজন ঈদুল ফিতরের মতো ঈদুল আজহায়ও ধাপে ধাপে বাড়ি যাওয়ার সুযোগ পেত। ঈদযাত্রা স্বস্তিদায়ক হতো। সড়কে দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি কমে আসত সাংবাদিকের এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলী বলেন, এবারের ঈদকে কেন্দ্র করে কোন নিরাপত্তা ঝুঁকি নেই। এ সময় ডিএমপি কমিশনার ঢাকা মহানগরবাসীকে ঈদের আগাম শুভেচ্ছা জ্ঞাপন করেন।
ডিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ট্রাফিক) মো. সরওয়ার বলেন, ঈদের নামাজ আদায় করতে আসা মুসল্লিগণ যাতে সহজে যাতায়াত করতে পারেন এজন্য জাতীয় ঈদগাহ ময়দানের আশেপাশে চারটি স্থানে সকাল ৬ টাকা থেকে ঈদের নামাজ শেষ না হওয়া পর্যন্ত ডাইভারশন/রোড ব্লক থাকবে। এছাড়া জাতীয় ঈদগাহ ময়দানে আসা সর্বসাধারণের গাড়ি পার্কিং এবং ডাইভারশন চলাকালীন যানবাহন চলাচলের বিকল্প রাস্তা সংক্রান্তে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দেন তিনি। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন- ডিএমপির অতিরিক্ত অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (অ্যাডমিন) ফারুক আহমেদ, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (ক্রাইম অ্যান্ড অপারেশনস) এস এন মো. নজরুল ইসলাম, অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (সিটিটিসি) মো. মাসুদ করিম, যুগ্ম পুলিশ কমিশনার, উপ-পুলিশ কমিশনার ও বিভিন্ন পদমর্যাদার কর্মকর্তারা।