নোয়াখালীতে অটোরিকশা চালককে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে হত্যা, গ্রেপ্তার ২

- আপডেট সময় : ২০ বার পড়া হয়েছে
নোয়াখালীতে ক্লুলেস অটোরিকশা চালক মো. রফিকুল ইসলামকে (৫৫) হত্যার রহস্য ঘটনার চারদিন পর উদঘাটন করেছে চরজব্বর থানা পুলিশ ও র্যাব-১১ সিপিসি-৩। ব্যাটারি চালিত অটোরিকশা চালকে কোমল পানীয়ের সঙ্গে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার অভিযোগে দুইজনকে গ্রেপ্তার এবং ছিনতাই হওয়া অটোরিকশা ও হত্যায় ব্যবহৃত গামছা উদ্ধার করেছে আইনশৃংখলা বাহিনী। গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন সুবর্ণচর উপজেলার চর মহিউদ্দিন গ্রামের মনির হোসেন (৩৭) ও একই গ্রামের মো. লিটন (২৬)।
গতকাল রোববার পুলিশ সূত্রে জানায়ায়, নিহত রফিকুলের আদি বাড়ি বাগেরহাটের কচুয়া উপজেলায় হলেও বিয়ে করে তিনি প্রায় ৪০ বছর ধরে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের সিরাজপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদ নগর গ্রাম ৩নম্বর ওয়ার্ডের দ্বীন বেপারী বাড়িতে বসবাস করছিলেন। ২-৩ মাস আগে তিনি একটি নতুন ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা কিনেন। গত ২৫ আগস্ট তিনি বাড়ি থেকে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন। পরদিন সুবর্ণচরের নুর ইসলাম মিয়ার বাড়ির পাশে স্থানীয় লোকজন তার মরদেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশকে খবর দিলে, তার মরদেহ উদ্ধার করা হয় । তার গলায় দড়ির দাগ ও শরীরের বিভিন্নস্থানে আঘাতের চিহৃ ছিল।
পুলিশ আরও জানায়, শনিবার ৩০ আগস্ট রাত ২টার দিকে কোম্পানীগঞ্জের সিরাজপুর ইউনিয়নের মোহাম্মদনগর গ্রামের কামাল হোসেনের গ্যারেজ থেকে মূলহোতা মনিরকে আটক করা হয়। ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে মনির স্বীকার করে ভিকটিম রফিকুল ইসলাম তার পূর্ব পরিচিত ছিল। তারা এক সাথে আড্ডা দিতেন। সোমবার রাতে কোমল পানীয় স্পিডের সাথে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে তার অটোরিকশা নিয়ে যাওয়ার সময় ভিকটিম বারবার পিছন পিছন আসে। পরে ওই অটোরিকশা করে তাকে ঘটনাস্থলে নিয়ে আসামি মো. লিটনের সহযোগিতায় মনির হোসেন তার ব্যবহৃত গামছা দিয়ে গলা চেপে ধরে শ্বাসরোধ করে হত্যা করে। একপর্যায়ে অটোরিকশা নিয়ে নিয়ে তারা আত্মগোপনে চলে যায়। আসামির দেওয়া তথ্যমতে চরজব্বর থানা এলাকা থেকে ছিনতাই হওয়া অটোরিকশা ও হত্যায় ব্যবহৃত গামছা উদ্ধার করা হয়।
চরজব্বার থানার ওসি শাহীম মিয়া জানান, এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হলেও রিপন নামে এক তরুণ হত্যায় জড়িত না থাকায় তাকে ছেড়ে দেওয়া হবে। অপর দুই আসামিকে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে।