ঢাকা ০১:৫৮ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১০ মে ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo জনতার বিক্ষোভে পুলিশ অবরুদ্ধ Logo পাথরঘাটায় প্লাস্টিক দূষণ প্রতিরোধে সচেতনতামূলক আন্দোলন Logo সাভারে বাবাকে হত্যার পর মেয়ের আত্মসমর্পণ Logo বদলগাছীতে ব্রিজের নিচ থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৮৪ প্যাকেট মাংস উদ্ধার Logo সিরাজগঞ্জের বেলকুচিতে অ্যালকোহল পানে দু’জনের মৃত্যু Logo ঔষধ কোম্পানির দৌরাত্ম্য নওগাঁর রোগীদের কাছে দিনদিন গলার কাঁটা হয়ে দাঁড়িয়েছে Logo ভারতীয় হামলার কঠোর জবাব দিলো পাকিস্তান Logo খালেদা জিয়ার দেশে ফেরা, রাজনীতিতে নয়া মেরুকরণ Logo কবিগুরুর ১৬৪তম জন্মজয়ন্তীতে বর্ণিল সাজে সেজেছে রবীন্দ্র কাছারিবাড়ি শাহজাদপুরে তিন দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালার উদ্বোধন Logo মানবিক করিডোরের চেয়ে রাখাইনে সেফ জোন করলে  রোহিঙ্গা সংকট কাটবে

পরিবর্তনের পরও কোথায় যেন আস্থাহীনতা কাজ করছে: ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৯:৫৭:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৪৭ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

অন্তর্বর্তী সরকারের শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, আমরা দেখেছি বিগত সময়ে সচিবরা কিভাবে ব্যবসায়ী হয়ে গেলেন এবং ব্যবসায়ীরা কেমন করে রাজনীতিবিদ হয়ে গেলেন। অনেকে মনে করেন, কেবল ব্যবসায়ীরাই রাজনীতিবিদ হয়নি, রাজনীতিবিদরাও ব্যবসায়ি হয়ে গেছেন।

এখন কোনটা বেশি, কোনটা কম সেটি দেখার ব্যাপার। এটার বড় কারণ হচ্ছে যে যার দায়িত্ব থেকে বের হয়ে গিয়ে অন্য সুবিধা নিয়ে গেছেন।
আরেকটা বিষয় হলো এতো পরিবর্তনের পরও কোথায় যেন একটি ভীতি ও আস্থাহীনতা কাজ করছে।

শনিবার (৫ অক্টোম্বর) বিকেলে নগরের একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির জনশুনানিতে তিনি এসব কথা বলেন।

এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন অংশ নেন। এ সময় বক্তারা নাগরিক সেবার ভোগান্তি, জনসম্পৃক্ততা ছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়ন, নাগরিক সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে ঘুষ বাণিজ্য, আধিবাসিদের আত্মপরিচয় ও তাদের নাগরিক অধিকার, পর্যটনের অভিঘাত, শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

দেশ একটা নতুন পরিস্থিতির ভেতর আছে জানিয়ে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, যারা আত্মত্যাগ করেছেন তাদের যে পরিবর্তনের চিন্তা, সংস্কারের চিন্তা এটা হলো সেটিই- আমরা এক অত্যাচারের বদলে আরেক অত্যাচারিকে দিয়ে বিকল্প হিসেবে দেখছি না। আপনারা বলেছেন, রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গই কোন না কোনভাবে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছে। যাদের আইন প্রণয়ন করা কথা তারা দুর্নীতিতে যুক্ত হয়ে গেছে। যাদের আইনের সুরক্ষা দেয়ার কথা তারা দুর্নীতিতে যুক্ত হয়ে গেছে। যারা আইনকে প্রয়োগ করার কথা তারা দুর্নীতিতে যুক্ত হয়ে গেছে।

শ্বেতপত্র প্রস্তুতি কমিটির সদস্যদের মধ্যে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডীন অধ্যাপক এ কে এনামুল হক, বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিল্ড) সিইও ফেরদৌস আর বেগম, ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অফ গভারন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিন, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক ড. কাজী ইকবাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, সিপিডি সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হান ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক শরমিন্দ নীলোর্মি উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার শ্বেতপত্র প্রণয়নের লক্ষ্যে অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে প্রধান করে গত ২৮ আগস্ট একটি কমিটি গঠন করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কমিটিকে ৯০ দিনের মধ্যে সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার নিকট হন্তান্তর করার কথা রয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

পরিবর্তনের পরও কোথায় যেন আস্থাহীনতা কাজ করছে: ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য

আপডেট সময় : ০৯:৫৭:২১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৫ অক্টোবর ২০২৪

অন্তর্বর্তী সরকারের শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির প্রধান ও সেন্টার ফর পলিসি ডায়ালগের (সিপিডি) সম্মাননীয় ফেলো ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেছেন, আমরা দেখেছি বিগত সময়ে সচিবরা কিভাবে ব্যবসায়ী হয়ে গেলেন এবং ব্যবসায়ীরা কেমন করে রাজনীতিবিদ হয়ে গেলেন। অনেকে মনে করেন, কেবল ব্যবসায়ীরাই রাজনীতিবিদ হয়নি, রাজনীতিবিদরাও ব্যবসায়ি হয়ে গেছেন।

এখন কোনটা বেশি, কোনটা কম সেটি দেখার ব্যাপার। এটার বড় কারণ হচ্ছে যে যার দায়িত্ব থেকে বের হয়ে গিয়ে অন্য সুবিধা নিয়ে গেছেন।
আরেকটা বিষয় হলো এতো পরিবর্তনের পরও কোথায় যেন একটি ভীতি ও আস্থাহীনতা কাজ করছে।

শনিবার (৫ অক্টোম্বর) বিকেলে নগরের একটি অভিজাত রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার শ্বেতপত্র প্রণয়ন কমিটির জনশুনানিতে তিনি এসব কথা বলেন।

এতে বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার লোকজন অংশ নেন। এ সময় বক্তারা নাগরিক সেবার ভোগান্তি, জনসম্পৃক্ততা ছাড়া প্রকল্প বাস্তবায়ন, নাগরিক সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে ঘুষ বাণিজ্য, আধিবাসিদের আত্মপরিচয় ও তাদের নাগরিক অধিকার, পর্যটনের অভিঘাত, শিক্ষার্থীদের কর্মসংস্থান ও কর্মদক্ষতা বৃদ্ধিসহ নানা বিষয়ে আলোচনা করা হয়।

দেশ একটা নতুন পরিস্থিতির ভেতর আছে জানিয়ে ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, যারা আত্মত্যাগ করেছেন তাদের যে পরিবর্তনের চিন্তা, সংস্কারের চিন্তা এটা হলো সেটিই- আমরা এক অত্যাচারের বদলে আরেক অত্যাচারিকে দিয়ে বিকল্প হিসেবে দেখছি না। আপনারা বলেছেন, রাষ্ট্রের প্রতিটি অঙ্গই কোন না কোনভাবে দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত হয়ে গেছে। যাদের আইন প্রণয়ন করা কথা তারা দুর্নীতিতে যুক্ত হয়ে গেছে। যাদের আইনের সুরক্ষা দেয়ার কথা তারা দুর্নীতিতে যুক্ত হয়ে গেছে। যারা আইনকে প্রয়োগ করার কথা তারা দুর্নীতিতে যুক্ত হয়ে গেছে।

শ্বেতপত্র প্রস্তুতি কমিটির সদস্যদের মধ্যে ইস্ট ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটি অর্থনীতি ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডীন অধ্যাপক এ কে এনামুল হক, বিজনেস ইনিশিয়েটিভ লিডিং ডেভেলপমেন্ট (বিল্ড) সিইও ফেরদৌস আর বেগম, ব্র্যাক ইনস্টিটিউট অফ গভারন্যান্স অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট নির্বাহী পরিচালক ড. ইমরান মতিন, বাংলাদেশ উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান (বিআইডিএস) গবেষণা পরিচালক ড. কাজী ইকবাল, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় উন্নয়ন অধ্যয়ন বিভাগের অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ আবু ইউসুফ, সিপিডি সম্মাননীয় ফেলো অধ্যাপক মোস্তাফিজুর রহমান, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক ড. সেলিম রায়হান ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় অর্থনীতি বিভাগের অধ্যাপক শরমিন্দ নীলোর্মি উপস্থিত ছিলেন।

বাংলাদেশের বিদ্যমান অর্থনৈতিক অবস্থার শ্বেতপত্র প্রণয়নের লক্ষ্যে অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্যকে প্রধান করে গত ২৮ আগস্ট একটি কমিটি গঠন করেছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। কমিটিকে ৯০ দিনের মধ্যে সুপারিশ সম্বলিত প্রতিবেদন প্রধান উপদেষ্টার নিকট হন্তান্তর করার কথা রয়েছে।