পাইকগাছায় খাস জমি দখলসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ

- আপডেট সময় : ০৪:০১:৩৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২ জুলাই ২০২৫ ২০ বার পড়া হয়েছে
খুলনার পাইকগাছায় তপশীল বর্ণিত সরকারি খাস সম্পত্তি জবর দখল করাসহ মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করায় কথিত জাল জালিয়াতি করার মাস্টারমান্ড নির্মল চন্দ্র মন্ডল ও মনোহর মন্ডলের বিরুদ্ধে জেলা প্রশাসক বরাবর লিখিত অভিযোগ হয়েছে। কথিত জাল জালিয়াতি করার মাস্টারমান্ড নির্মল চন্দ্র মন্ডল ও মনোহর উপজেলার কপিলমুনি ইউপির রামচন্দ্রনগড়, নাবা গ্রামের মৃত অতুল কৃষ্ণ মন্ডলের ছেলে।
অভিযোগ ও এলাকাবাসী সুত্রে জানা গেছে, পাইকগাছা উপজেলার কামারা আবাদ ও ভৈরবঘাটা মৌজার পুর্ব পার্শ্বে ওয়াপদা রাস্তা ও হাড়িয়া নদী। এছাড়াও মানুষ পোড়া খালের গোড়ায় স্লুইসগেট এবং মাইটখালী খালের গোড়ায় কালভার্ট এবং হাউলি খালের গোড়ায় স্লুইসগেট যা জন সাধারণের পানি নিস্কাশনের জন্য ব্যবহৃত হয়। এর পাশাপাশি রামচন্দ্র নগর ও বারুইডাঙ্গা মৌজার হাজার হাজার বিঘা সম্পত্তির পানি এই সকল স্লুইসগেট দিয়ে নিস্কাশিত হয়। এই সকল খাল ও স্লুইসগেট জনগণের ব্যবহার্য সম্পদ, যার পরিমাণ ৩৬.৪৫ একর। যাহার মামলা নং- ২৭৪/২১, পাইকগাছা দেওয়ানি আদালত। উক্ত খালে হাজার হাজার সাধারণ জনগণ মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে এবং হাজার হাজার মানুষের বাড়িঘরের পানি উক্ত খাল দিয়ে নিস্কাশিত হয়। যাহা বিবাদী নির্মল ও মনোহর জাল জালিয়াতি করে আত্মসাৎ করার পাঁয়তারা চালিয়ে যাচ্ছে। এমতাবস্থায় ভৈরবঘাটা মৌজার ২নং খতিয়ানের ০৯,২০,২৪,৩৫,৪০, ৭১, ৭৭, ৯৩, ৭৪/১০০,৭৪/১০১,৭৪/১০২,৪/৫৮ মোট জমি ১৫.৩১শতক। বি,আর,এস, খতিয়ান-১ এবং কামারাবাদ মৌজার মধ্যে এস,এ খতিয়ান নং-৮১ এর ৫৯/১৩৯, ৯৪/১১০, ১৮/১১৩ দাগের জমির পরিমাণ ২১.৪৫শতক। যার বি,আর,এস খতিয়ান-১। উক্ত তফশিল বর্ণিত খাসখাল উন্মুক্তের দাবিতে উপজেলার কপিলমুনি ইউপির কাজিমুছা গ্রামের মৃত এরফান আলী খা এর ছেলে মোঃ আশরাফ আলী খা বাদী হয়ে ও স্থানীয় কপিলমুনি ইউপি চেয়ারম্যান সহ ৭,৮,৯ নং ওয়ার্ডের সকল ইউপি সদস্যসহ ৬৭০ জন এলাকাবাসীর গণস্বাক্ষরিত একটি অভিযোগ জেলা প্রশাসক, খুলনা বরাবর আবেদন করেন। এলাকাবাসী আরও বলেন, বর্তমানে উক্ত খাল বিবাদীরা কিছু জাল কাগজপত্র বানিয়ে মিথ্যা মামলা করে জনসাধারণের ব্যবহার্য খাস খাল বন্ধ করে দিয়েছে। এদিকে বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারী জজ আদালত, পাইকগাছায় মামলা চলমান রয়েছে। বর্তমানে উক্ত খাস খাল মুক্ত না করলে এলাকাবাসীর অপুরনীয় ক্ষতি হবে। এদিকে কামারাবাদের মাইটখালী খাল বন্ধ থাকায় পানি সরবরাহের অপূরনীয় ক্ষতি হচ্ছে। যা এই মুহূর্তে উন্মুক্ত না করলে বর্ষা মৌসুমে পানিতে তলিয়ে যাবে। এছাড়াও খাল উন্মুক্তের জন্য এলাকাবাসী উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
এ বিষয়ে সহকারী কমিশনার (ভুমি) ইফতেখারুল ইসলাম শামীম জানান, বিষয়টি আমার জানা নেই তবে এমন কিছু হয়ে থাকলে ব্যবস্থা নেয়া হবে।