ঢাকা ০৫:৩৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::

ফেনীতে উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হার ৬১’৬৫ % আলিমে পাশের হার ৮৯’২৫ %

ফেনী প্রতিনিধি 
  • আপডেট সময় : ১০:১৯:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪ ১০৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

সদ্য ঘোষিত ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় ফেনীতে ৬১ দশমিক ৬৫ শতাংশ ও আলিমে ৮৯ দশমিক ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে।জেলায় ৪২টি কলেজের ১০ হাজার ৯৩৫ জন অংশ নিয়ে পাস করেছে ৬ হাজার ৭৪১ জন। ফেল করেছে ৪ হাজার ১৯৪ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৩৯ জন শিক্ষার্থী। আলিমে ১ হাজার ৮৬৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ১ হাজার ৬৬৮ জন। ফেল করেছে ২০১ জন। জিপিএ-৫ এর সংখ্যা ১৬০ জন।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ফলাফল ঘোষণার পর জেলাপ্রশাসক কার্যালয়ের শিক্ষা শাখা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ফেনী জেলায় মোট ১০৯৩৫ জন শিক্ষার্থী চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করলেও বেশকিছু পরীক্ষার মাঝপথে দেশের চলমান ছাত্র-জনতার আন্দোলনে  বন্ধ হয়ে যাবার কারনে দেশের শিক্ষা বোর্ড সমুহ বাদ বাকী পরীক্ষা  অনুষ্ঠিত হয়নি।

প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, জেলার এইচএসসিতে শতভাগ পাস করেছে ১টি প্রতিষ্ঠান এবং আলিমে শতভাগ পাস করেছে ৮টি প্রতিষ্ঠান। জেলায় সর্বোচ্চ পাসের হার ফেনী সদর উপজেলায়। পাসের হার ৬৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। সদরের ১৯টি কলেজ থেকে ৫ হাজার ৭২৬ জন অংশ নিয়ে পাস করেছে ৩ হাজার ৯৭৩ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৭১ জন।

২য় স্থানে রয়েছে দাগনভুঞা উপজেলা৷ পাসের হার ৬৫ দশমিক ৪১ শতাংশ। এ উপজেলায় ৫ টি কলেজ থেকে ১ হাজার ৪৩১ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৯৩৬ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৭ জন।

৩য় স্থানে রয়েছে ছাগলনাইয়া উপজেলা৷ পাসের হার ৬৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এ উপজেলার ৬টি কলেজ থেকে ১ হাজার ১৩৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৭৩৬ জন। জিপিএ -৫ পেয়েছে ২৯ জন। চতুর্থ স্থানে রয়েছে পরশুরাম উপজেলা। পাসের হার ৪৫ শতাংশ। উপজেলার ৩টি কলেজ থেকে ৬৮০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৩০৬ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ জন।

৫ম স্থানে রয়েছে ফুলগাজী উপজেলা। পাসের হার ৪১ দশমিক ৭১ শতাংশ। উপজেলার ৫টি কলেজ থেকে ৮২০ জন অংশ নিয়ে পাস করেছে ৩৪২ জন। এ উপজেলার কোনো শিক্ষার্থী জিপিএ -৫ পায়নি।

জেলায় সর্বশেষ অবস্থানে রয়েছে সোনাগাজী উপজেলা। পাসের হার ৩৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। উপজেলার ৪টি কলেজ থেকে ১ হাজার ১৪৫ জন অংশ নিয়ে পাস করেছে ৪৪৮ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন।

ফলাফল বিবেচনায় জেলায় সর্বোচ্চ ৩১৯ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে ফেনী সরকারি কলেজ থেকে। এ কলেজ থেকে ১ হাজার ৪০২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছেন ১ হাজার ২৩৭ জন। পাসের হার শতকরা ৮৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

জেলায় বরাবরের মতো শতভাগ জিপিএ-৫ পেয়েছে ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ কলেজ থেকে ৫৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ জিপিএ-৫ পেয়েছে।

ফেনী সরকারি জিয়া মহিলা কলেজ থেকে ১ হাজার ১৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছেন ৭৮৪ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫২ জন। পাসের হার শতকরা ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। মহিপাল সরকারি কলেজ থেকে ৭৩৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছেন ৫২৯ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩১ জন, পাসের হার শতকরা ৭১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

এদিকে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় ফেনী আল জামেয়াতুল ফালাহিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে ২৩৬ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৪ জন।

 

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

ফেনীতে উচ্চ মাধ্যমিকে পাশের হার ৬১’৬৫ % আলিমে পাশের হার ৮৯’২৫ %

আপডেট সময় : ১০:১৯:৩৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

 

সদ্য ঘোষিত ২০২৪ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় ফেনীতে ৬১ দশমিক ৬৫ শতাংশ ও আলিমে ৮৯ দশমিক ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থী পাস করেছে।জেলায় ৪২টি কলেজের ১০ হাজার ৯৩৫ জন অংশ নিয়ে পাস করেছে ৬ হাজার ৭৪১ জন। ফেল করেছে ৪ হাজার ১৯৪ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৫৩৯ জন শিক্ষার্থী। আলিমে ১ হাজার ৮৬৯ জন পরীক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ১ হাজার ৬৬৮ জন। ফেল করেছে ২০১ জন। জিপিএ-৫ এর সংখ্যা ১৬০ জন।

মঙ্গলবার (১৫ অক্টোবর) ফলাফল ঘোষণার পর জেলাপ্রশাসক কার্যালয়ের শিক্ষা শাখা এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

ফেনী জেলায় মোট ১০৯৩৫ জন শিক্ষার্থী চলতি বছরের উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডের পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করলেও বেশকিছু পরীক্ষার মাঝপথে দেশের চলমান ছাত্র-জনতার আন্দোলনে  বন্ধ হয়ে যাবার কারনে দেশের শিক্ষা বোর্ড সমুহ বাদ বাকী পরীক্ষা  অনুষ্ঠিত হয়নি।

প্রাপ্ত তথ্য থেকে জানা যায়, জেলার এইচএসসিতে শতভাগ পাস করেছে ১টি প্রতিষ্ঠান এবং আলিমে শতভাগ পাস করেছে ৮টি প্রতিষ্ঠান। জেলায় সর্বোচ্চ পাসের হার ফেনী সদর উপজেলায়। পাসের হার ৬৯ দশমিক ৩৯ শতাংশ। সদরের ১৯টি কলেজ থেকে ৫ হাজার ৭২৬ জন অংশ নিয়ে পাস করেছে ৩ হাজার ৯৭৩ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৪৭১ জন।

২য় স্থানে রয়েছে দাগনভুঞা উপজেলা৷ পাসের হার ৬৫ দশমিক ৪১ শতাংশ। এ উপজেলায় ৫ টি কলেজ থেকে ১ হাজার ৪৩১ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৯৩৬ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ২৭ জন।

৩য় স্থানে রয়েছে ছাগলনাইয়া উপজেলা৷ পাসের হার ৬৪ দশমিক ৯৬ শতাংশ। এ উপজেলার ৬টি কলেজ থেকে ১ হাজার ১৩৩ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৭৩৬ জন। জিপিএ -৫ পেয়েছে ২৯ জন। চতুর্থ স্থানে রয়েছে পরশুরাম উপজেলা। পাসের হার ৪৫ শতাংশ। উপজেলার ৩টি কলেজ থেকে ৬৮০ জন শিক্ষার্থী অংশ নিয়ে পাস করেছে ৩০৬ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৯ জন।

৫ম স্থানে রয়েছে ফুলগাজী উপজেলা। পাসের হার ৪১ দশমিক ৭১ শতাংশ। উপজেলার ৫টি কলেজ থেকে ৮২০ জন অংশ নিয়ে পাস করেছে ৩৪২ জন। এ উপজেলার কোনো শিক্ষার্থী জিপিএ -৫ পায়নি।

জেলায় সর্বশেষ অবস্থানে রয়েছে সোনাগাজী উপজেলা। পাসের হার ৩৯ দশমিক ১৩ শতাংশ। উপজেলার ৪টি কলেজ থেকে ১ হাজার ১৪৫ জন অংশ নিয়ে পাস করেছে ৪৪৮ জন। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৩ জন।

ফলাফল বিবেচনায় জেলায় সর্বোচ্চ ৩১৯ জন জিপিএ-৫ পেয়েছে ফেনী সরকারি কলেজ থেকে। এ কলেজ থেকে ১ হাজার ৪০২ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছেন ১ হাজার ২৩৭ জন। পাসের হার শতকরা ৮৯ দশমিক ৫৭ শতাংশ।

জেলায় বরাবরের মতো শতভাগ জিপিএ-৫ পেয়েছে ফেনী গার্লস ক্যাডেট কলেজের শিক্ষার্থীরা। এ কলেজ থেকে ৫৫ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে শতভাগ জিপিএ-৫ পেয়েছে।

ফেনী সরকারি জিয়া মহিলা কলেজ থেকে ১ হাজার ১৬ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছেন ৭৮৪ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৫২ জন। পাসের হার শতকরা ৭৭ দশমিক ৭৮ শতাংশ। মহিপাল সরকারি কলেজ থেকে ৭৩৭ জন শিক্ষার্থী পরীক্ষায় অংশ নিয়ে পাস করেছেন ৫২৯ জন, জিপিএ-৫ পেয়েছেন ৩১ জন, পাসের হার শতকরা ৭১ দশমিক ৭৮ শতাংশ।

এদিকে মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের অধীনে আলিম পরীক্ষায় ফেনী আল জামেয়াতুল ফালাহিয়া কামিল মাদ্রাসা থেকে ২৩৬ জন পাস করেছে। জিপিএ-৫ পেয়েছে ৬৪ জন।