দাগনভূঞা যুবদল নেতা হত্যাচেষ্টা মামলা
বিএনপির ৩ নেতা কারাগারে, বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ
- আপডেট সময় : ১৯ বার পড়া হয়েছে
দাগনভূঞা যুবদল নেতা ইঞ্জিনিয়ার এনায়েত উল্লাহ সোহেল হত্যাচেষ্টা মামলায় বিএনপি-ছাত্রদলের তিন নেতাকে কারাগারে পাঠিয়েছে আদালত।এর হলেন-জেলা বিএনপির আহবায়ক কমিটির সদস্য সাইফুর রহমান রতন, দাগনভূঞা উপজেলা বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি আবুল হাসেম বাহাদুর ও জেলা ছাত্রদলের বহিষ্কৃত সহ-সভাপতি জামশেদুর রহমান ফটিক।
গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে ফেনী জেলা ও দায়রা জজ মোহা. সিরাজুদ্দৌলা কুতুবী তিন জনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। কারাগারে প্রেরনের সংবাদ শুনার সাথে সাথে তাদের অনুসারীরা বিক্ষোভ ও সড়ক অবরোধ করে। সন্ধ্যার পর তারে মিছিল করে সমাবেশ করে। সমাবেশে তাদের অনুসারীরা বলেন ৪৮ ঘন্টার মধ্যে তাদের মুক্তি না দিলে আন্দোলন আরো বেগবান করা হবে। এই গ্রেপতারকে নিয়ে দাগনভূঞা উত্তেজনা বিরাজ করছে।
দলীয় সূত্রে জানা যায়,গত ৫ আগস্ট গণঅভ্যুত্থান দিবসে দাগনভূঞায় বিএনপির বিজয় র্যালীতে বহিষ্কৃত ছাত্রদল নেতা ফটিকের নেতৃত্বে স্বদলীয় প্রতিপক্ষরা অতর্কিত হামলা করে নেতাকর্মীদের মোবাইল ছিনিয়ে নেয় ও মারধর করে। এসময় ইট পাটকেল নিক্ষেপ ও অতর্কিত হামলায় উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি জাহানারা বেগম, ছাত্রদলের আহবায়ক সাইমুন হক রাজীব, সদস্য সচিব তৌহিদুল ইসলাম মানিক, যুবদল নেতা ইঞ্জিনিয়ার এনায়েত উল্লাহ সোহেল ও সরোয়ারসহ ১০-১২ জন নেতাকর্মী আহত হন।
এর মধ্যে মারাত্মক আহত হয় যুবদল নেতা এনায়েত উল্লাহ সোহেল। তার মুখমণ্ডলের চোয়ালের হাড় ভেঙ্গে যায়, আংশিক নষ্ট হয়ে যায় ডান-চোখ। এখনও তিনি চিকিৎসা নিচ্ছেন। মারাত্মক আহত যুবদল নেতা ইঞ্জিনিয়ার এনায়েত উল্লাহ সোহেল বাদি হয়ে আদালতে চারজনকে আসাসী করে হত্যা চেষ্টার মামলা দায়ের করেন।
ওই মামলায় ফটিকসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করে। পরে হাইকোর্ট থেকে তারা ৬ সপ্তাহের জামিন নেন।এদিন তাদের মধ্যে দাগনভূঞা উপজেলা যুবদলের আহবায়ক কবির আহমেদ ডিপলুর জামিন মঞ্জুর করে বাকী ৩ জনকে কারাগারে পাঠানো নির্দেশ দেন।
ফেনী কোট পুলিশের ইনস্পেক্টর সাইফুল ইসলাম-হত্যাচেষ্টা মামলায় ৩ জনকে কারাগারে পাঠানোর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
দাগনভূঞা থানার অফিসার ইনচার্জ ওয়াহিদ পারভেজ বলেন, গ্রেপতারকে কেন্দ্র করে দাগনভূঞা সাময়িক উত্তেজনা বিরাজ করলেও আইন শৃঙ্খলা বাহিনী তা নিয়ন্ত্রণে এনেছে। সড়ক থেকে বিক্ষোভকারীদের সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। বিশৃঙ্খল কোন ঘটনা ঘটেনি। আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর নজরদারি বাড়ানো হয়ছে।




















