বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ৯২টি গুলি ছোঁড়েন আওয়ামী গফুর মোল্লা
- আপডেট সময় : ০৮:২৬:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩ অক্টোবর ২০২৪ ৭০ বার পড়া হয়েছে
মিরপুরের একাধিক স্থানে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফার কর্মসূচি চলাকালে নিজের শর্টগান দিয়ে ৯২ রাউন্ড গুলি ছোঁড়েন আওয়ামী লীগের গফুর মোল্লা। তিনি একাধিক হত্যা মামলার আসামী। রূপনগর থানা আ.লীগের এই সহসভাপতিকে বৃহস্পতিবার ভোর রাতে অস্ত্রসহ গ্রেপ্তার করে রূপনগর থানা পুলিশ।
গফুর মোল্লার হেফাজত থেকে একটি শর্টগান, আটটি অক্ষত গুলি ও একটি ব্যবহৃত কার্তুজ জব্দ করা হয়। পুলিশ জানায়, গ্রেফতার গফুর মোল্লা মিরপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সৃষ্ট সংঘর্ষের সময় ৯২টি গুলি ব্যবহার করেছেন।
আজ বৃহস্পতিবার বিকালে ডিএমপি মিডিয়া সেন্টারে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন মিরপুর বিভাগের উপকমিশনার মোহাম্মদ মাকছেদুর রহমান। তিনি জানান, মিরপুরের বিভিন্ন জায়গায় বিশেষ করে মিরপুর-১০, পল্লবী প্রশিকার মোড় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সশস্ত্র হামলা ও নির্বিচারে গুলি চালায়।
গত ২০ জুলাই বিকাল অনুমান ৫টা থেকে ৫টার সময় মিরপুর-১০ সংলগ্ন প্রশিকার মোড় প্রধান সড়কের ওপর বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ছাত্রদের ওপরে এ হামলায় শামীম হাওলাদার নামে এক ব্যক্তি গুলিবদ্ধ হয়ে মৃত্যবরণ করেন।
এ ঘটনায় নিহতের চাচাতো ভাই সম্রাট হাওলাদার রূপনগর থানায় গত ১৫ সেপ্টেম্বর হত্যা মামলা করেন। মামলা তদন্তকালে ঘটনাস্থলের বিভিন্ন ভিডিও ফুটেজ ও বিভিন্ন ইলেকট্রনিক মিডিয়ার ফুটেজ পর্যালোচনা করা হয়। এ ঘটনায় জড়িত থাকার বিষয়টি শনাক্ত করে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করা হয়।
মোহাম্মদ মাকছেদুর রহমান আরও জানান, গফুর মোল্লা তার লাইসেন্স করা শর্টগানের জন্য ২০০১ সালে ৫০টি, ২০০৬ সালে ২৫টি এবং ২০১৩ সালে ২৫টিসহ ১০০টি গুলি কেনেন। রূপনগর থানা পুলিশ তার কাছে থেকে একটি শর্টগান, আটটি অক্ষত গুলি ও একটি ব্যবহৃত কার্তুজ উদ্ধার করে। বাকি ৯২টি গুলির বিষয়ে তিনি সন্তোষজনক কোনও জবাব দিতে পারেননি। এ ছাড়া তিনি গুলি ব্যবহার বা হারানো বিষয়ে থানায় জিডি করেননি।
প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গফুর মোল্লা জানান, তিনি ৯২টি গুলি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় ব্যবহার করেছেন। এ ছাড়া পল্লবী থানাধীন মিরপুর অরজিনাল-১০ বাসস্ট্যান্ডের পপুলার ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কাছে প্রধান সড়কের ওপর গত ৪ আগস্ট ছাত্রদের ওপর আওয়ামী লীগ ও তার অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা সশস্ত্র হামলা ও নির্বিচারে গুলি চালায়।
এ হামলায় ইমন হোসেন আকাশ নিহত হয়। এ ঘটনায় নিহতের মা পল্লবী থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। গফুর মোল্লা এই হত্যা মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি।