ভান্ডারিয়ায় এক হিন্দু পরিবারের ইসলাম ধর্ম গ্রহণ

- আপডেট সময় : ০১:২২:৫০ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫ ২১ বার পড়া হয়েছে
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়ায় হিন্দু ধর্মাবলম্বী এক পরিবার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। নও মুসলিম পরিবার ইসলাম ধর্মের আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে নিজ ইচ্ছায় স্থানীয় হুজুরের কাছে কালিমা পাঠ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। এই পরিবারের আগের অনিল দত্ত, পিতা. নরেন্দ্র দত্ত, বর্তমান তার নাম আব্দুর রহমান। তার পিতা. মৃত-নরেন্দ্র দত্ত, মাতা. উষা রানী দত্ত, তার স্ত্রী অনিমা দত্ত, স্বামী অনিল দত্ত, মাতা. শোভারানী দা, বর্তমান ফাতিমা, স্বামী. আব্দুর রহমান, মাতা. শোভারানী দা, ছেলে উত্তম কুমার, পিতা. অনিল দত্ত, মাতা. অনিমা, বর্তমান নুর নবী, পিতা. আব্দুর রহমান, মাতা. ফাতিমা এফিডেভিট ও জন্মসনদ সূত্রে জানা যায় তাদের বাড়ি পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া পৌরশহরের গাজীপুর গ্রামে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ২০২২ সালে অনিল দত্তর ছোট ছেলে গৌতম দত্ত প্রথমে মুসলিম ধম গ্রহন করেন। বর্তমানে তার নাম নুর মোহাম্মাদ ছোট ছেলের অনুপ্রেরণায় গোটা পরিবার ইসলাম ধর্ম গ্রহনের সিদ্ধান্ত নিলেও বিভিন্ন সামাজিক কারণে থেমে থাকলেও গত ১৮ জুন সকালে বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ও স্থানীয় হুজুরের কাছে কালিমা পাঠ করে গোটা পরিবার ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেন।
ছোট ছেলে নুরমোহাম্মাদ বলেন শৈশব থেকেই মুসলমান বন্ধুদের সাথে বড় হয়েছি। ছোটবেলা থেকেই ইসলাম ধর্মের প্রতি আমার দুর্বলতা ছিলো। ইসলামীক গান, গজল, ওয়াজ নিয়মিত শুনতাম। হিন্দু ধর্ম থেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার জন্য অনেকের সাথে পরামর্শ করেছি। আমি ২০২২ সালে নোটারি পাবলিকের মাধ্যমে ও আমার এলাকার মসজিদের ইমামের কাছে কালিমা পাঠ করে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করি। আমার পরিবারে বাবা, মা ও বড় ভাই ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করায় আমি খুব খুশি ও আনন্দবোধ করছি। অনেক মুসলমান ভাই আমাকে সার্বিক ভাবে সহযোগিতা করছে। তাছড়াও নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ আদায় করি।
এ বিষয়ে পিরোজপুর বিজ্ঞ সিনিয়র সহকারি কমিশনার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আদালতে কর্মরত আইনজীবী রফিকুল ইসলাম বলেন, নওমুসলিম আব্দুর রহমান তার পরিবারের স্ত্রীর ও বড় ছেলে, নোটারী পাবলিকের কার্যালয়ে হাজির হয়ে হলফনামার মাধ্যমে হিন্দু ধর্ম পরিবর্তন ছেড়ে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন। বর্র্তমানে তার স্ত্রীর নাম ফাতেমা ও ছেলে নাম নুর নবী।