ঢাকা ১২:২২ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ০২ মে ২০২৫

মানব ইতিহাসের প্রথম ভাষার নাম ‘ইশারা ভাষা’

বাগেরহাট প্রতিনিধি
  • আপডেট সময় : ০১:৫৪:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫ ৮২ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

‘এক ভুবনে এক ভাষা, চাই সর্বজনীন ইশারা ভাষা’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বাগেরহাটে বাংলা ইশারা ভাষা দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবার (০ ৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে ১০টায় বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র্যােলী বের করা হয়। র‌্যালী শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও ইশারা ভাষা সহায়ক উপকরণ এবং হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়।

সমাজসেবা অধিদপ্তর, বাগেরহাটের উপ- পরিচালক এস.এম.রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান। এসময়, জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ শামিম আহসানসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন। বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান বলেন, ইশারা ভাষা হলো মানুষের মধ্যে অন্যতম প্রাচীন যোগাযোগের মাধ্যম। আদিম মানব যখন কথ্য ভাষায় কথা বলতে শেখেনি তখন থেকেই ইশারার মাধ্যমেই একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তুলেছিল। ইশারা ভাষা এক ধরণের দৃশ্য নিভর্র ভাষা। হাতের, শরীরের এবং মুখের নানা ভঙ্গিমার মাধ্যমে এই ভাষা ব্যক্ত করা হয়। মানব ইতিহাসের প্রথম ভাষার নাম ‘ইশারা ভাষা’। একে সব ভাষার মাতৃভাষা বলে অভিহিত করা যায়। শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধিতা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন মানুষ ইশারার মাধ্যমে তাদের মনের ভাব প্রকাশ করে। শুধু এই দিবস নয়, আমাদের উচিত সব সময় তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা। এভাবে করতে পারলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আলোচনা সভা শেষে বাক ও শ্রবন প্রতিবন্ধীদের মাঝে ইশারা ভাষা সহায়ক উপকরণ প্রদান করা হয়। এছাড়া যেসব দরিদ্র ও অসহায় মানুষ স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন না, তাদেরকে হুইল চেয়ার প্রদান করা হয়।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মানব ইতিহাসের প্রথম ভাষার নাম ‘ইশারা ভাষা’

আপডেট সময় : ০১:৫৪:৫৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৮ ফেব্রুয়ারী ২০২৫

‘এক ভুবনে এক ভাষা, চাই সর্বজনীন ইশারা ভাষা’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বাগেরহাটে বাংলা ইশারা ভাষা দিবস উদযাপন করা হয়েছে। দিবসটি উপলক্ষে শুক্রবার (০ ৭ ফেব্রুয়ারি) সকালে ১০টায় বাগেরহাট জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে একটি র্যােলী বের করা হয়। র‌্যালী শেষে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে আলোচনা সভা ও ইশারা ভাষা সহায়ক উপকরণ এবং হুইল চেয়ার বিতরণ করা হয়।

সমাজসেবা অধিদপ্তর, বাগেরহাটের উপ- পরিচালক এস.এম.রফিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান। এসময়, জেলা প্রতিবন্ধী বিষয়ক কর্মকর্তা মোঃ শামিম আহসানসহ বিভিন্ন দপ্তরের কর্মকর্তা ও উপকারভোগীরা উপস্থিত ছিলেন। বাগেরহাটের জেলা প্রশাসক আহমেদ কামরুল হাসান বলেন, ইশারা ভাষা হলো মানুষের মধ্যে অন্যতম প্রাচীন যোগাযোগের মাধ্যম। আদিম মানব যখন কথ্য ভাষায় কথা বলতে শেখেনি তখন থেকেই ইশারার মাধ্যমেই একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগ গড়ে তুলেছিল। ইশারা ভাষা এক ধরণের দৃশ্য নিভর্র ভাষা। হাতের, শরীরের এবং মুখের নানা ভঙ্গিমার মাধ্যমে এই ভাষা ব্যক্ত করা হয়। মানব ইতিহাসের প্রথম ভাষার নাম ‘ইশারা ভাষা’। একে সব ভাষার মাতৃভাষা বলে অভিহিত করা যায়। শ্রবণ ও বাকপ্রতিবন্ধিতা বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন মানুষ ইশারার মাধ্যমে তাদের মনের ভাব প্রকাশ করে। শুধু এই দিবস নয়, আমাদের উচিত সব সময় তাদের প্রতি সম্মান প্রদর্শন করা। এভাবে করতে পারলে বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে। আলোচনা সভা শেষে বাক ও শ্রবন প্রতিবন্ধীদের মাঝে ইশারা ভাষা সহায়ক উপকরণ প্রদান করা হয়। এছাড়া যেসব দরিদ্র ও অসহায় মানুষ স্বাভাবিকভাবে চলাফেরা করতে পারেন না, তাদেরকে হুইল চেয়ার প্রদান করা হয়।