সরিষাবাড়ীতে বিদ্যুতের খুঁটিতে অবৈধ তারের জটলা জামালপুরের সরিষাবাড়ী উপজেলার প্রধান সড়কের দু’পাশের প্রায় সবগুলো বৈদ্যুতিক খুঁটিতে এত তারের জটলা যে বোঝাই দায় কোনটি বিদ্যুতের আর কোনটি ডিশের (ক্যাবল নেটওয়ার্ক) বা ইন্টারনেটের তার। তারের ভারে বৈদ্যুতিক তারগুলো পড়ছে মুখ থুবড়ে। এতে যে কোন সময় ঘটতে পারে বড় ধরনের দুর্ঘটনা।
শহরের গুরুত্বপূর্ণ সড়ক থেকে শুরু করে অলিগলি সব স্থানেই বিদ্যুতের খুটিতে মাকড়সার জালের মতো প্যাঁচানো আছে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের তার। খুঁটি থেকে ছিঁড়ে পড়া ঝুলন্ত এসব তারের কারণে আতঙ্কের পাশাপাশি রয়েছে মৃত্যুঝুঁকি।
অন্যদিকে বিদ্যুতের খুঁটি ব্যবহার করে এসব তার ছড়িয়ে পড়েছে শহরজুড়ে। অনেক খুঁটির সঙ্গে পাঁকিয়ে তৈরি হয়ে আছে তারের কুন্ডলী।
শিমলা বাজার, আরামনগর বাজার, বাউসি বাজারসহ উপজেলার প্রধান প্রধান সড়কে এমনকি অনেক অলিগলিতে যে দিকেই তাকান দেখা যাবে বিদ্যুতের খুঁটি জুড়ে তারের জটলা। বিদ্যুতের তারের চেয়ে ডিশ ও ইন্টারনেটের লাইনের তারই দখল করেছে খুঁটি।
ডিশ ও ইন্টারনেট লাইনের কর্মীরা সংযোগ দিয়ে অপ্রয়োজনীয় তারগুলো রেখে যায় খুঁটিতে। বিদ্যুতের তারের সঙ্গে এসব তার মিলেমিশে একাকার হয়েগেছে।
আর এই অতিরিক্ত তারে ঝুঁকি বাড়ছে দুর্ঘটনার। ডিশ ও ইন্টারনেট লাইনের সংযোগ তারের জটের কারণে ঢাকা পড়ে যাচ্ছে বিদ্যুৎ সংযোগ তারগুলো। খুঁটিতে খুঁটিতে অবৈধ তারের জটলার কারণে মাঝে মধ্যে এসব তারে শর্টসার্কিটে আগুন লেগে যায়।
ডিশ এবং ইন্টারনেট সংস্থাগুলো কোনো ধরনের নিয়মনীতির তোয়াক্কা না করে বিদ্যুতের খুঁটিতে ঝুকিপূর্ণভাবে তার স্থাপন করে যাচ্ছে। এতে প্রাণহানি ও নানা দুর্ঘটনার পাশাপাশি ঘটছে শগরের সৌন্দর্যহানিও। দেখার কেউ নেই, বিদ্যুতের খুঁটিতে কেন এসব তার থাকবে। এখনই ব্যবস্থা না নিলে আরও ঝুকিপূর্ণ হয়ে পড়বে শহরগুলো।
এ বিষয়ে সরিষাবাড়ী বিক্রয় ও বিতরণ বিভাগ (বিউবো) এর নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মশিউর রহমান বলেন, বিদ্যুতের খুঁটিতে ডিশ বা ইন্টারনেটের তার সবই অবৈধ। কেনো এগুলো অপসারণ করা হয় না, তাহলে কি ডিশ বা ইন্টারনেট সংস্থাগুলোর সাথে আপনাদের কোনো চুক্তি হয়েছে, জানতে চাইলে তিনি বলেন, না তাদের সাথে বিদ্যুৎ বিভাগের কোনো চুক্তি হয়নি, তারা তাদের স্ব উদ্যোগেই এই অবৈধ তারগুলো লাগিয়েছে। এই সমস্যা শুধু সরিষাবাড়ীতে নয়, এই সমস্যা সমগ্র বাংলাদেশেই। যেহেতু অভিযোগ উঠেছে, আমি এদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহন করবো।