সহিংসতায় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ অধিপ্তরের ক্ষতি সাড়ে ৫ কোটি টাকা
- আপডেট সময় : ০৫:৪০:১৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৮ জুলাই ২০২৪ ২০৮ বার পড়া হয়েছে
কোটা আন্দোলন ঘিরে নজিরবিহীন ধ্বংসলীলা চালানো হয়েছে। রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন স্টেশন, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা অধিদপ্তর, সেতু ভবন, বিআরটিএ ভবন, মেট্রোরেলস্টেশন, হানিফ ফ্লাইওভার ও ঢাকা অ্যালিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের টোল প্লাজা পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। বেছে বেছে জনগুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায় ধ্বংসীলীলা চালানো হয়েছে।
সন্ত্রাসীদে হাত থেকে রক্ষা পায়নি সরকারী কর্মকর্তারাও। তারা বিভিন্ন দপ্তরে ব্যাপক সন্ত্রাসী কর্মকান্ড এবং জ্বালাও-পোড়াওয়ের পাশাপাশি সরকারী কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বেদম প্রহার করেছে।
যার নজিরবহন করছে মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের অধীন বাংলাদেশ প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তর। এই অধিদপ্তরের সাভার উপজেলা প্রাণিসম্পদ অফিস ও ভেটেরিনারী হসপাতাল এবং রংপুরে ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড চালানো হয়েছে। তাতে করে অধিদপ্তরের সাড়ে ৫ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
শুধু তাই নয়, সাভারে প্রাণিসম্পদ কার্যালয়ে দফায় দফায় হামলা চালানো হয়েছে এবং কর্মকর্তাকে বেদমপ্রহার করে সন্ত্রাসীরা। একজন কর্মকর্তার মাথায় ১১টি সেলাই দিতে হয়েছে। লুটে নেওয়া হয়েছে মূল্যবান মালামাল।
এ বিষয়ে সাভার থানায় মামলা করার পর পুলিশ ১৪জনকে আটক করেছে। এসব ব্যক্তির কাছ থেকে লুট করা মালামাল উদ্ধার করে পুলিশ।
রোববার (২৮ জুলাই) দুপুরে নিজ মন্ত্রণালয়ের সম্মেলনে কক্ষে সাংবাদিক সম্মেলনে এসব তথ্য তুলে ধরেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর মুক্তিযোক্তা মো. আবদুর রহমান।
এসময় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী বলেন, প্রতিটি হত্যাকান্ডের বিচার বিভাগীয় তদন্ত সাপেক্ষে বিচার হওয়া উচিৎ। আমাদের সরকার প্রধান, প্রধানমন্ত্রী তিনিও আন্তরিকভাবে এটি চান। সুতরাং এ ক্ষতিতো পূরণ করার মতো নয়।
মন্ত্রী জানান, কোটা আন্দোলনের সময় সাভারে উপজেলা প্রাণিসম্পদ দপ্তর ও ভেটেরিনারি হাসপাতালে ৩ কোটি ৭৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। রংপুরে কোটি টাকার বেশি ক্ষতি হয়েছে। সারা দেশে সব মিলিয়ে পাঁচ থেকে সাড়ে পাঁচ কোটি টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী আব্দুর রহমান বলেন, হামলাকারীরা ছাত্র নয়। এ ব্যাপারে পুলিশ নিশ্চিত।