ঢাকা ১২:১৬ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo ত্রিশালে জমি সংক্রান্ত বিরোধে দুই শতাধিক পেঁপে গাছ নিধনের অভিযোগ Logo দাগনভূঞায় সেতু আছে, সড়ক নেই। জনভোগান্তি চরমে Logo বাগেরহাটে জমি দখলের চেষ্টা ও চাঁদাবাজির অভিযোগ সংবাদ সম্মেলনে Logo নিয়ামতপুরে বিএনপির উঠান বৈঠক Logo দিনাজপুরে পুষ্টির সচেতনতামূলক বৃদ্ধিকরন নিয়ে কর্মশালা Logo শ্রীবরদী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে দীর্ঘ ১৫ বছর পর চালু হলো ৩ কেবিন  Logo পাথরঘাটায় প্রবাসী স্ত্রীকে মারধর করে টাকা-স্বর্ণালংকার লুট, ১৮ লাখ চাঁদা দাবি  Logo নরসিংদীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের শহীদ পরিবারের মাঝে চেক বিতরণ Logo মামলার বাদীকে ভয়ভীতির প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন Logo নাটোরে জুঁই হত্যাকারীদের গ্রেফতারে আল্টিমেটাম, দিল বৈষম্যছাত্র বিরোধী আন্দোলন

অসহযোগ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক আন্দোলনে নামার আহ্বান বিএনপির

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১২:৫৬:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০২৪ ৩৩১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

অসহযোগ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক আন্দোলনে নামার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। রোববার (৪ আগস্ট) সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার (৪ আগস্ট) ঢাকার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা অসহযোগ আন্দোলন বাস্তবায়নে দলীয় নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ সময় ফখরুল বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তথা সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন দমন করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার যে নিষ্ঠুরতা ও বর্বরতার আশ্রয় নিয়েছে, তা উপমহাদেশের ইতিহাসে বিরল ঘটনা।

ছাত্র আন্দোলন দমন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী এবং ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা পাখি শিকারের মত নির্বিচারে গুলি করে লাশের পর লাশের স্তূপ সৃষ্টি করেছে, ব্যাপক রক্তপাত ঘটিয়েছে, হাজার হাজার মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছে।

সরকার তাদের এই বর্বরতা আড়াল করতে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে কিছু স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে, এর দায় বিরোধী দলের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করছে।

এজন্য মিথ্যা অভিযোগে নিরীহ-ছাত্র জনতার সঙ্গে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনসহ অন্যান্য বিরোধী দলের সিনিয়র নেতা, কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, গ্রাম পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের আটক করা হয়। আটকাভিযান এখনো চলছে। আন্দোলন দমাতে সান্ধ্য আইন দিয়ে, সেনাবাহিনী নামিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে।

সান্ধ্য আইনের মধ্যে রাতে বিভিন্ন এলাকায় ব্লক রেড দিয়ে নিরীহ ছাত্রসহ বিরোধী নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা কয়েছে। আটক করতে গিয়ে বাসা বাড়িতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা ছাত্র ও নেতাকর্মীদের পরিবার-পরিজনের সঙ্গেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করছে।

আসবাবপত্র ভাঙচুর এবং টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের না পেয়ে তাদের বাবা, ভাই ও অন্যান্যদের গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে। চলছে গ্রেফতার বাণিজ্য ও চাঁদাবাজি, বলেন ফখরুল।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

অসহযোগ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক আন্দোলনে নামার আহ্বান বিএনপির

আপডেট সময় : ১২:৫৬:৪৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ৪ অগাস্ট ২০২৪

 

অসহযোগ কর্মসূচি বাস্তবায়নে সর্বাত্মক আন্দোলনে নামার আহ্বান জানিয়েছে বিএনপি। রোববার (৪ আগস্ট) সংবাদ সম্মেলনে একথা বলেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

রোববার (৪ আগস্ট) ঢাকার গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।

বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের এক দফা অসহযোগ আন্দোলন বাস্তবায়নে দলীয় নেতা-কর্মীসহ দেশবাসীর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।

এ সময় ফখরুল বলেন, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন তথা সাধারণ শিক্ষার্থীদের কোটা সংস্কার আন্দোলন দমন করতে গিয়ে আওয়ামী লীগ সরকার যে নিষ্ঠুরতা ও বর্বরতার আশ্রয় নিয়েছে, তা উপমহাদেশের ইতিহাসে বিরল ঘটনা।

ছাত্র আন্দোলন দমন করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে অন্যান্য নিরাপত্তা বাহিনী এবং ছাত্রলীগ-যুবলীগসহ আওয়ামী লীগের সশস্ত্র ক্যাডাররা পাখি শিকারের মত নির্বিচারে গুলি করে লাশের পর লাশের স্তূপ সৃষ্টি করেছে, ব্যাপক রক্তপাত ঘটিয়েছে, হাজার হাজার মানুষ গুলিবিদ্ধ হয়ে আশঙ্কাজনক অবস্থায় আছে।

সরকার তাদের এই বর্বরতা আড়াল করতে সন্ত্রাসী বাহিনী দিয়ে কিছু স্থাপনায় ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়ে, এর দায় বিরোধী দলের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার অপচেষ্টা করছে।

এজন্য মিথ্যা অভিযোগে নিরীহ-ছাত্র জনতার সঙ্গে বিএনপি ও এর অঙ্গ সংগঠনসহ অন্যান্য বিরোধী দলের সিনিয়র নেতা, কেন্দ্রীয়, জেলা, উপজেলা, ইউনিয়ন, গ্রাম পর্যায়ের নেতা-কর্মীদের আটক করা হয়। আটকাভিযান এখনো চলছে। আন্দোলন দমাতে সান্ধ্য আইন দিয়ে, সেনাবাহিনী নামিয়ে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে।

সান্ধ্য আইনের মধ্যে রাতে বিভিন্ন এলাকায় ব্লক রেড দিয়ে নিরীহ ছাত্রসহ বিরোধী নেতা-কর্মীদের গ্রেফতারের মাধ্যমে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করা কয়েছে। আটক করতে গিয়ে বাসা বাড়িতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা ছাত্র ও নেতাকর্মীদের পরিবার-পরিজনের সঙ্গেও অসৌজন্যমূলক আচরণ করছে।

আসবাবপত্র ভাঙচুর এবং টাকাসহ মূল্যবান জিনিসপত্র লুটপাট করে নিয়ে যাচ্ছে। তাদের না পেয়ে তাদের বাবা, ভাই ও অন্যান্যদের গ্রেফতার করে নিয়ে যাচ্ছে। চলছে গ্রেফতার বাণিজ্য ও চাঁদাবাজি, বলেন ফখরুল।