ঢাকা ০৩:৩৬ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৯ জুন ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo লোহাগড়ায় জাতীয়তাবাদী সাংবাদিক ফোরামের কমিটি কমিটির গঠন Logo সাদুল্লাপুর ইউএনও’র বিরুদ্ধে ব্যক্তিগত কাজে সরকারি গাড়ি ব্যবহারের অভিযোগ Logo কোটচাঁদপুরের আদম ব্যবসায়ী নজরুল-মামুনের ফাঁদে সর্বস্বান্ত ১২ পরিবার Logo ঝিনাইদহে বিশ্ব পরিবেশ দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভা Logo তিতাসে রাজমিস্ত্রীর হাত পা বাঁধা মরদেহ উদ্ধার Logo তাড়াইল বাজারের ড্রেনে যেন ময়লার ভাগাড়, হুমকিতে জনস্বাস্থ্য Logo ‘জুলাই বিপ্লবের শহীদদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত নতুন বাংলাদেশ গড়তে সকলের সহযোগিতা প্রয়োজন’ Logo গোবিন্দগঞ্জ শিশু ধর্ষণ গণপিটুনিতে ধর্ষক নিহত Logo ইসলামপুরে যমুনার দুর্গম চরাঞ্চলে দুর্বৃত্তদের হাতে ইউপি সদস্য খুন Logo ‘স্বৈরাচার আওয়ামীলীগ মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে’

আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ থেকে সালমানের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৪:১০:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০২৪ ৩৭৫ বার পড়া হয়েছে

আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমানের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভছবি: সংগৃহীত

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বেসরকারি আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান ও তার ছেলেসহ বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিনিধিত্বকারী সব পরিচালকের পদত্যাগ দাবি করেছে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা।

সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ এ সরোয়ারের সময়ে অন্যায়ভাবে যাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তাদের পুনর্বহালের দাবি তোলা হয়েছে।

পুরানা পল্টনে অবস্থিত ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে আজ রোববার দুই শতাধিক লোক আইএফআইসি ব্যাংকের চাকরিচ্যুত সকল কর্মকর্তাবৃন্দ এই ব্যানারে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।

সালমান এফ রহমান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তাঁকে কোথাও প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। তার ছেলে আহমেদ সায়ান ফজলুর রহমান আইএফআইসি ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান।

বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছেন। তাঁর সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন সাবেক এমডি শাহ এ সরোয়ার, যিনি বর্তমানে ব্যাংকটির উপদেষ্টা। শাহ এ সরোয়ার মানসিক চাপ সৃষ্টি করে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরি থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করছেন।

বিক্ষোভে যারা অংশ নিয়েছেন, তাদের পক্ষ থেকে নয় দফা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি থেকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে, তাদের অবিলম্বে পুনর্বহাল করা। তবে যারা ইতিমধ্যে চাকরির বয়স অতিক্রম করেছেন, তাদের পদোন্নতি ও বেতন বৃদ্ধিসহ পাওনা পরিশোধ করতে হবে।

এ ছাড়া ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের ঋণ পুনঃ তফসিল না করা, ঋণের সুদ মওকুফ না করা, দ্রুত খেলাপি ঋণ আদায়, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করা, ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যকার ভয়ের সংস্কৃতি দূর করা, সাবেক এমডি শাহ আলম সরোয়ার ও তাঁর সহযোগীদের বিচার করা, পদোন্নতি না পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি দেওয়া ইত্যাদি দাবি উত্থাপন করা হয়েছে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান পদ থেকে সালমানের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ

আপডেট সময় : ০৪:১০:১৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ১১ অগাস্ট ২০২৪

 

বেসরকারি আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান ও তার ছেলেসহ বেক্সিমকো গ্রুপের প্রতিনিধিত্বকারী সব পরিচালকের পদত্যাগ দাবি করেছে চাকরিচ্যুত কর্মকর্তারা।

সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) শাহ এ সরোয়ারের সময়ে অন্যায়ভাবে যাদের চাকরিচ্যুত করা হয়েছে, তাদের পুনর্বহালের দাবি তোলা হয়েছে।

পুরানা পল্টনে অবস্থিত ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে আজ রোববার দুই শতাধিক লোক আইএফআইসি ব্যাংকের চাকরিচ্যুত সকল কর্মকর্তাবৃন্দ এই ব্যানারে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করেন।

সালমান এফ রহমান সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বেসরকারি শিল্প ও বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা ছিলেন। একই সঙ্গে তিনি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বেক্সিমকো গ্রুপের ভাইস চেয়ারম্যান। শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর তাঁকে কোথাও প্রকাশ্যে দেখা যায়নি। তার ছেলে আহমেদ সায়ান ফজলুর রহমান আইএফআইসি ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান।

বিক্ষোভকারীরা অভিযোগ করেন, আইএফআইসি ব্যাংকের চেয়ারম্যান সালমান এফ রহমান হাজার হাজার কোটি টাকা লুটপাট করেছেন। তাঁর সহযোগী হিসেবে কাজ করছেন সাবেক এমডি শাহ এ সরোয়ার, যিনি বর্তমানে ব্যাংকটির উপদেষ্টা। শাহ এ সরোয়ার মানসিক চাপ সৃষ্টি করে অনেক কর্মকর্তা-কর্মচারীকে চাকরি থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য করছেন।

বিক্ষোভে যারা অংশ নিয়েছেন, তাদের পক্ষ থেকে নয় দফা দাবি উত্থাপন করা হয়েছে। এসব দাবির মধ্যে রয়েছে যেসব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের চাকরি থেকে পদত্যাগে বাধ্য করা হয়েছে, তাদের অবিলম্বে পুনর্বহাল করা। তবে যারা ইতিমধ্যে চাকরির বয়স অতিক্রম করেছেন, তাদের পদোন্নতি ও বেতন বৃদ্ধিসহ পাওনা পরিশোধ করতে হবে।

এ ছাড়া ইচ্ছাকৃত ঋণখেলাপিদের ঋণ পুনঃ তফসিল না করা, ঋণের সুদ মওকুফ না করা, দ্রুত খেলাপি ঋণ আদায়, দুর্নীতির সঙ্গে জড়িত কর্মকর্তাদের চাকরিচ্যুত করা, ব্যাংক কর্মকর্তা-কর্মচারীদের মধ্যকার ভয়ের সংস্কৃতি দূর করা, সাবেক এমডি শাহ আলম সরোয়ার ও তাঁর সহযোগীদের বিচার করা, পদোন্নতি না পাওয়া কর্মকর্তা-কর্মচারীদের পদোন্নতি দেওয়া ইত্যাদি দাবি উত্থাপন করা হয়েছে।