আর ৫০ কোটি টাকা ঋণ নিয়েই পরিবার নিয়ে বিদেশ—কিন্তু
- আপডেট সময় : ১০:০১:১৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ৬ এপ্রিল ২০২৪ ১৭৯ বার পড়া হয়েছে
পল্লব দাস সম্পর্কে গোয়েন্দা প্রধান বলেন, রংপুরে এনআইডি সার্ভারে আউটসোর্সিংয়ে ডাটা এন্ট্রি অপারেটরে যুক্ত ছিলো। সে নিজের ইচ্ছামতো সার্ভারে ঢুকে এনআইডি তৈরি করে ২ থেকে ৩ লাখ টাকায় জয়নালকে সরবরাহ করতো
প্রথম দফায় বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ৩০ কোটি ঋণ নিয়েছিলো তারা। এবারে আরও ৫০ কোটি টাকার হাতানো পরিকল্পনা ছিলো। তারপর পরিবার নিয়ে বিদেশে চলে যাবার পরিকল্প ছিলো জয়নাল আবেদীন তথা ইদ্রিস (৪২),
কিন্ত তার আগেই গোয়েন্দা জালে আটকা পড়ে জয়নাল আদেীনসহ ৪জন। যেখানে নির্বাচন কমিশনের একজন কর্মচারী পল্লব দাসও (৩৬) অন্যতম হোতা। অপর দুই সহযোগী রফিকুল ইসলাম খাঁন (৩৮) ও আলিফ হোসেন (২০)।
নাটের গুরু পল্লব দাস রংপুরে এনআইডি সার্ভারে আউটসোর্সিংয়ে ডাটা এন্ট্রি অপারেটরের কাজ করেন। এই সুবাদে সার্ভারে ঢুকে নাম পরিচয় ঠিক রেখে পৃথক পৃথক নাম্বারে এনআইডি কার্ড তৈরি করে জয়নালকে সরবরাহ করতেন পল্লব। তা দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ঋণ নিতেন জয়নাল।
এই চাঞ্চল্যকর তথ্য জানান, গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান মোহাম্মদ হারুন অর রশীদ।
শনিবার (৬ এপ্রিল) মিন্টু রোডের নিজ কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে এসব জানিয়ে গোয়েন্দা বলেন, এই চক্রটি পরিকল্পিভাবে ভুয়া জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) ব্যবহার করে একাধিক ব্যাংক থেকে ঋণ জালিয়াতি করে ৩০ কোটি টাকা হাতিয়েছে।
ভুয়া দলিল ও এনআইডি ব্যবহার করে আরও ৫০ কোটি টাকা ব্যাংকঋণ নেওয়ার পরিকল্পনা ছিল চক্রের পান্ডা জয়নালের। এরপর পরিবার নিয়ে বিদেশে পালায়ে যেতো।
শুক্রবার (৫ এপ্রিল) মিরপুর এলাকা থেকে তাদেরকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ইমিটেশন পণ্যের দোকানি ছিলো জয়নাল। ব্যবসায় লস করে প্রতারণা হাত পাকায়। জয়নাল তার প্রতারণার জন্য একটি কোম্পানি খুলে আরও সাতটি কোম্পানির নামে কাগজপত্র তৈরি করে নেয়। সেসব কাগজপত্র দিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজসে ঋণ নিতো।
জয়নালের কার্যকর ১০টি এনআইডি ছিল। এসব এনআইডি দিয়ে সে বিভিন্ন ব্যাংকে লোনের জন্য আবেদন করতো। এনআইডির নাম ও ঠিকানা ঠিক থাকতো শুধুমাত্র সেটির নম্বর পরিবর্তন করা। কোনোটাতে তিনি দাড়িসহ ছবি দিতেন। আবার কোনোটাতে গোঁফ, কোনটা দাড়ি-গোঁফ ছাড়া ছবি ব্যবহার করা হতো।
তিনি বলেন, জয়নাল ডিওএইচএসে ইআর ইন্টারন্যাশনাল নামে একটি অফিস নিয়েছিলেন। এই একটি অফিসকে সাতটি পৃথক নামে একই ঠিকানায় দেখিয়ে বিভিন্ন ব্যাংকে ঋণের জন্য আবেদন করতেন।
জয়নাল বিভিন্ন ব্যাংক থেকে ৩০ কোটি টাকা ঋণ নিয়ে ফেরত দেয়নি। ভাটারা এলাকায় একটি সাততলা বাড়ি, উত্তরা, আশকোনাসহ আট থেকে নয়টি ফ্ল্যাট ও মাদারীপুরে বাড়ি রয়েছে তার।
পল্লব দাস সম্পর্কে গোয়েন্দা প্রধান বলেন, রংপুরে এনআইডি সার্ভারে আউটসোর্সিংয়ে ডাটা এন্ট্রি অপারেটরে যুক্ত ছিলো। সে নিজের ইচ্ছামতো সার্ভারে ঢুকে এনআইডি তৈরি করে ২ থেকে ৩ লাখ টাকায় জয়নালকে সরবরাহ করতো।