ঢাকা ০৫:৩৬ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

আশঙ্কা ছিল এ ধরনের একটা আঘাত আসবে: প্রধানমন্ত্রী

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ০৬:৫০:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪ ১৪৩ বার পড়া হয়েছে

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর কার্যালয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যমের সম্পাদক, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময় করেন : ছবি সংগ্রহ

দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

দেশব্যাপী সাম্প্রতিক ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও নৃশংসতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বলেছেন, তাঁর আশঙ্কা ছিল, এ ধরনের একটা আঘাত আসবে। তিনি বলেন, সমৃদ্ধির পথে দেশের অগ্রযাত্রা রুখে দিতে বিএনপি-জামায়াত জোট এই ধরনের হামলা করতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর কার্যালয়ে এডিটরস গিল্ড আয়োজিত বিভিন্ন
সংবাদমাধ্যমের সম্পাদক, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এবং হেড অব নিউজদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এই মন্তব্য করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত আমাদের নির্বাচন করতে দিতে চায়নি, কিন্তু আমরা নির্বাচন করেছি। নির্বাচনের পর এটা সবাই মেনে নেবে না, সেটাও আমরা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করে দিয়েছি, আমরা সরকার গঠন করেছি। আমার আশঙ্কা ছিল, এ রকম একটা আঘাত আসবে।

শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, ২০১৩-১৪ সালের নির্বাচনের আগে ও পরে বিএনপি-জামায়াত চক্র অগ্নিসংযোগ ও হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল। ফলে শত শত মানুষ নিহত ও হাজার হাজার লোক আহত হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, বোধগম্য যে এটি (শিক্ষার্থীদের কর্মকাণ্ড ও আন্দোলন) একটি গুরুতর ষড়যন্ত্র।

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি এমন কোনো ঘটনা দেখতে চান না, যা দেশে অস্থিতিশীলতা বা কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি ডেকে আনতে পারে। কারণ, তাদের লক্ষ্য ছিল দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করা। তিনি দেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিকে পঙ্গু করার লক্ষ্যে এই বিপর্যয়কে সমর্থনকারী লোকদের বোধবুদ্ধির স্তর নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, স্বার্থান্বেষী মহল দেশের স্বাধীনতা এবং দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে চলমান গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বিনষ্ট করতে অত্যন্ত আগ্রহী। ছাত্ররা যখন মাঠে ছিল, তখন তিনি কখনোই সেনাসদস্যদের মোতায়েন করতে চাননি।

শেখ হাসিনা বলেন, তারা (ছাত্ররা) ঘোষণা করেছিল যে তারা চলমান নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত নয়, তখন আমরা সেনাবাহিনীকে ডেকেছি। তিনি আরও বলেন, তিনি কারফিউ আরোপ করতে চাননি। কারণ, দেশ বিগত ১৫ বছর ধরে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। যারা দেশের জন্য এই ক্ষতি করেছে, তাদের প্রতিহত করার জন্য তিনি জনগণের প্রতি আহবান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের কল্যাণ ও জীবিকা নির্বাহের জন্য যে সকল স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে, তারা তা ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা সব কাঠামোতে আঘাত করেছে। যারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তারা অবশ্যই গণমানুষ। এখন এসব সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে প্রতিহত করার দায়িত্ব জনগণের।

এই ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে জড়িত জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, জনগণ যদি সচেতন না হয়, তাহলে আমরা কী করতে পারি বা আমরা একা কতটা করতে পারি। তিনি আরও উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক ধ্বংসযজ্ঞের টার্গেট ছিল আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোটামুক্ত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সব দাবি যখন মানা হলো, তখন তারা কেন জঙ্গিদের এমন জঘন্য কর্মকাণ্ডের সুযোগ দিল। তিনি বলেন, কোটামুক্ত আন্দোলনকারীদের একদিন জাতির কাছে জবাব দিতে হবে, কেন তারা তাদের দেশের এই ধ্বংসযজ্ঞের সুযোগ দিল।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এবং স্বাগত বক্তব্য দেন এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল হক বাবু।

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবেদ খান, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, ডিবিসির প্রধান সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম, ভোরের কাগজ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন।

এছাড়াও ঢাকা জার্নালের প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, নাগরিক টিভির হেড অব নিউজ দীপ আজাদ, আমাদের সময় সম্পাদক মাইনুল আলম, বাংলাদেশ জার্নালের সম্পাদক শাহজাহান সরদার, ডিবিসির বার্তা সম্পাদক জায়েদুল আহসান পিন্টু, ইনডিপেনডেন্ট টিভির আশীষ সৈকত, বাংলা ট্রিবিউন সম্পাদক জুলফিকার রাসেল, ৭১ টিভির হেড অব নিউজ শাকিল আহমেদ, এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার এডিটর মোল্লা আমজাদ, কিংস নিউজের হেড অব নিউজ নাজমুল হক সৈকত, আরটিভির মামুনুর রহমান খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

আশঙ্কা ছিল এ ধরনের একটা আঘাত আসবে: প্রধানমন্ত্রী

আপডেট সময় : ০৬:৫০:২০ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৫ জুলাই ২০২৪

 

দেশব্যাপী সাম্প্রতিক ব্যাপক ধ্বংসযজ্ঞ ও নৃশংসতার কথা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আজ বলেছেন, তাঁর আশঙ্কা ছিল, এ ধরনের একটা আঘাত আসবে। তিনি বলেন, সমৃদ্ধির পথে দেশের অগ্রযাত্রা রুখে দিতে বিএনপি-জামায়াত জোট এই ধরনের হামলা করতে পারে।

প্রধানমন্ত্রী তাঁর কার্যালয়ে এডিটরস গিল্ড আয়োজিত বিভিন্ন
সংবাদমাধ্যমের সম্পাদক, জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক এবং হেড অব নিউজদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে এই মন্তব্য করেন।

শেখ হাসিনা বলেন, বিএনপি-জামায়াত আমাদের নির্বাচন করতে দিতে চায়নি, কিন্তু আমরা নির্বাচন করেছি। নির্বাচনের পর এটা সবাই মেনে নেবে না, সেটাও আমরা সবার কাছে গ্রহণযোগ্য করে দিয়েছি, আমরা সরকার গঠন করেছি। আমার আশঙ্কা ছিল, এ রকম একটা আঘাত আসবে।

শেখ হাসিনা উল্লেখ করেন, ২০১৩-১৪ সালের নির্বাচনের আগে ও পরে বিএনপি-জামায়াত চক্র অগ্নিসংযোগ ও হত্যাকাণ্ড চালিয়েছিল। ফলে শত শত মানুষ নিহত ও হাজার হাজার লোক আহত হয়েছিল।

প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, বোধগম্য যে এটি (শিক্ষার্থীদের কর্মকাণ্ড ও আন্দোলন) একটি গুরুতর ষড়যন্ত্র।

শেখ হাসিনা বলেন, তিনি এমন কোনো ঘটনা দেখতে চান না, যা দেশে অস্থিতিশীলতা বা কোনো অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি ডেকে আনতে পারে। কারণ, তাদের লক্ষ্য ছিল দেশের অর্থনীতি ধ্বংস করা। তিনি দেশের অগ্রগতি ও সমৃদ্ধিকে পঙ্গু করার লক্ষ্যে এই বিপর্যয়কে সমর্থনকারী লোকদের বোধবুদ্ধির স্তর নিয়েও প্রশ্ন তোলেন।

শেখ হাসিনা আরও বলেন, স্বার্থান্বেষী মহল দেশের স্বাধীনতা এবং দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে চলমান গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা বিনষ্ট করতে অত্যন্ত আগ্রহী। ছাত্ররা যখন মাঠে ছিল, তখন তিনি কখনোই সেনাসদস্যদের মোতায়েন করতে চাননি।

শেখ হাসিনা বলেন, তারা (ছাত্ররা) ঘোষণা করেছিল যে তারা চলমান নাশকতামূলক কর্মকাণ্ডের সাথে জড়িত নয়, তখন আমরা সেনাবাহিনীকে ডেকেছি। তিনি আরও বলেন, তিনি কারফিউ আরোপ করতে চাননি। কারণ, দেশ বিগত ১৫ বছর ধরে একটি গণতান্ত্রিক পরিবেশের মধ্য দিয়ে যাচ্ছে। যারা দেশের জন্য এই ক্ষতি করেছে, তাদের প্রতিহত করার জন্য তিনি জনগণের প্রতি আহবান জানান।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, জনগণের কল্যাণ ও জীবিকা নির্বাহের জন্য যে সকল স্থাপনা তৈরি করা হয়েছে, তারা তা ধ্বংস করে দিয়েছে। তারা সব কাঠামোতে আঘাত করেছে। যারা সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তারা অবশ্যই গণমানুষ। এখন এসব সন্ত্রাস ও জঙ্গিবাদকে প্রতিহত করার দায়িত্ব জনগণের।

এই ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ডে জড়িত জঙ্গিবাদের বিরুদ্ধে গণসচেতনতা সৃষ্টির ওপর গুরুত্বারোপ করে তিনি বলেন, জনগণ যদি সচেতন না হয়, তাহলে আমরা কী করতে পারি বা আমরা একা কতটা করতে পারি। তিনি আরও উল্লেখ করেন, সাম্প্রতিক ধ্বংসযজ্ঞের টার্গেট ছিল আওয়ামী লীগ, মুক্তিযোদ্ধা এবং মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, কোটামুক্ত আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের সব দাবি যখন মানা হলো, তখন তারা কেন জঙ্গিদের এমন জঘন্য কর্মকাণ্ডের সুযোগ দিল। তিনি বলেন, কোটামুক্ত আন্দোলনকারীদের একদিন জাতির কাছে জবাব দিতে হবে, কেন তারা তাদের দেশের এই ধ্বংসযজ্ঞের সুযোগ দিল।

প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব মো. নাঈমুল ইসলাম খান অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন এবং স্বাগত বক্তব্য দেন এডিটরস গিল্ডের সভাপতি মোজাম্মেল হক বাবু।

জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক আবেদ খান, বাংলাদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক নঈম নিজাম, ডিবিসির প্রধান সম্পাদক মনজুরুল ইসলাম, ভোরের কাগজ সম্পাদক ও জাতীয় প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দত্ত, যুগান্তরের সম্পাদক সাইফুল আলম, জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন।

এছাড়াও ঢাকা জার্নালের প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা, নাগরিক টিভির হেড অব নিউজ দীপ আজাদ, আমাদের সময় সম্পাদক মাইনুল আলম, বাংলাদেশ জার্নালের সম্পাদক শাহজাহান সরদার, ডিবিসির বার্তা সম্পাদক জায়েদুল আহসান পিন্টু, ইনডিপেনডেন্ট টিভির আশীষ সৈকত, বাংলা ট্রিবিউন সম্পাদক জুলফিকার রাসেল, ৭১ টিভির হেড অব নিউজ শাকিল আহমেদ, এনার্জি অ্যান্ড পাওয়ার এডিটর মোল্লা আমজাদ, কিংস নিউজের হেড অব নিউজ নাজমুল হক সৈকত, আরটিভির মামুনুর রহমান খান প্রমুখ বক্তব্য দেন।