ইবি শিক্ষককে অপসারণের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, ফটকে তালা
- আপডেট সময় : ১০:৪৬:১০ অপরাহ্ন, সোমবার, ৭ অক্টোবর ২০২৪ ৭৮ বার পড়া হয়েছে
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ডেভেলপমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের বিরুদ্ধে ছাত্রীদের নিয়ে কুরুচিপূর্ণ মন্তব্য, গালিগালাজ, রেজাল্ট কমিয়ে দেওয়া, পোশাক নিয়ে বাজে মন্তব্য, ফেল করানোর ভয় দেখানো, মানসিক অত্যাচারসহ নানা গুরুতর অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কাছে ঐ শিক্ষককে বিভাগ থেকে অপসারণের দাবি জানিয়েছেন শিক্ষার্থীরা।
সোমবার তার অপসারণসহ যথাযথ শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেন শিক্ষার্থীরা। পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে এসে তালা দিয়ে ঝুলিয়ে দেয় তারা। প্রায় ২ ঘন্টা পরে উপাচার্যের সাথে সাক্ষাতের আশ্বাসে গেট খুলে দেয়। পরে উপাচার্যের সাথে তাদের প্রতিনিধিদল সাক্ষাৎ করেন। এসময় উপাচার্য তদন্ত কমিটি করে ব্যাবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দেয়।
বিভাগের ছাত্রী মৌমিতা তাসনিয়া রহমান জানান, তিনি আমাদের ফেইসবুক ঘাটাঘাটি করেন। সেখান থেকে বিভিন্ন স্ক্রিনশট নেয়ি আবার ক্লাসে সেগুলো নিয়ে বাজেভাবে অপমান করে। হাফিজ স্যার আমাদের বলে তোরা ফেইসবুকে ছবি দেও কেন? কাস্টমার ধরার জন্য? তিনি আমাদের এক বান্ধবীর তথ্য আরেক বান্ধবীর থেকে নেয়। সময় অসময় মেসেজ দেয়। বিভাগের তথ্য পাওয়ার জন্য স্পাই রাখে প্রতিটি ব্যাচে।
বিভাগের শিক্ষার্থী লামিয়া হোসেন জানান, আমি প্রতিনিয়ত আতঙ্কে থাকতাম। আমি কি পোশাক পড়বো, কোথায় যাবো, কি খাবো, সেই স্বাধীনতাটুকু তিনি কেড়ে নিয়েছিলেন। দুইদিন বিভাগে না যাওয়ায় আমাকে ফ্যানে ঝুলিয়ে পিটাতে চেয়েছেন। বিভাগের মেয়েদের ওপেনে গালিগালাজ করেন। তিনি মেয়েদের অশ্লীল ভাষায় সম্বোধন করেন। যে স্যারের গুনগান গাইবে সে ইন্টার্নালে পাবে ২৭ আর আমি পাবো ১৭। আমার বন্ধুদেরকে রাতের বেলা ডেকে নিয়ে আমার বিরুদ্ধে বদনাম করা হয়।
আরেক ছাত্র হৃদয় জানান, একজন শিক্ষক কখনো অন্যের ব্যক্তিগত বিষয়ে মেন্টালি অ্যাটাক করতে পারেনা না। কিন্তু তিনি সকল শিক্ষার্থীর সাথে, কোথায় থাকবো, কোথায় আড্ডা দেবো, কোন হলে থাকবো, এসব নিয়ে বাড়াবাড়ি করেন। আমাকে হল থেকে নামিয়ে দেয়। পরে তার মাধ্যমে হলে উঠার জন্য বলে। আমাকে লাল পানি দিয়ে ধরিয়ে দেয়ার হুমকি দেয়।
এ বিষয় নিয়ে সহকারী অধ্যাপক হাফিজুল ইসলামের সাথে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও পাওয়া যায়নি।
বিষয়টি নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নকীব মোহাম্মদ নসরুল্লাহ বলেন, আজ তাদের অভিযোগগুলো শুনেছি। আমরা দ্রুত সময়ের মধ্যে একটি কমিটি গঠন করে তদন্ত সাপেক্ষে উপর্যুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।