ঢাকা ০৩:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪
সংবাদ শিরোনাম ::

কন্যাশিশুদের শিক্ষা ও ক্ষমতায়নে পিতার দায়িত্বশীল ভূমিকা জরুরি

প্রতিনিধির নাম
  • আপডেট সময় : ১১:০১:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪ ১০১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

কন্যাশিশুদের শিক্ষা ও ক্ষমতায়নে পিতার দায়িত্বশীল ভূমিকা জরুরি বলে মনে করেন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা। তারা বলেছেন, সরকারি বেসরকারি নানা পদক্ষেপ সত্ত্বেও কন্যাশিশুদের বাল্যবিবাহ ও শিক্ষা হতে ঝরে পড়া বন্ধ হচ্ছে না। কন্যাশিশুর স্বাবলম্বিতা অর্জনে ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে পিতার দায়িত্বশীল ভূমিকা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে সম্মিলিত পদক্ষেপ নিতে হবে।

আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানে একটি অভিজাত হোটেলে গুড নেইবারস বাংলাদেশ (জিএনবি) আয়োজিত ‘ওড ড্যাডি’ (ভালো পিতা) সম্মাননা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তারা। জিএনবি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর এম মাঈনউদ্দিন মইনুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা রাশিদা বেগম, থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফারজানা শারমিন, শিশু অধিকার ফোরামের সভাপতি মো. মাহবুবুল হক, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. আবু জামিল ফয়সাল, জিএনবি’র নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান, নির্ভীক নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান ফারজানা ব্রাউনিয়া, জিএনবি’র শিক্ষা বিভাগের প্রধান আনন্দ কুমার দাশ প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা রাশিদা বেগম বলেন, কন্যাশিশু সুরক্ষিত থাকলে সুরক্ষিত থাকবে আগামীর বাংলাদেশ। তাই জাতি গঠন ও সমাজ উন্নয়নে কন্যাশিশুদের সুস্বাস্থ্য ও সুশিক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অবিভাবকদের সহযোগিতা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। আমার পিতাকেও বলতে শুনেছি, মাস্টার্স পাসের আগে আমি বিয়ে দিবো না। পিতার সহাযোগিতায় আমার সফলতায় বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। তাই সকল পিতাকেই দায়িত্বশীল হতে হবে। ‘ওড ড্যাডি’ সম্মাননার মাধ্যমে সমাজের অন্যান্য পিতারা কন্যাশিশুর উন্নয়নে উৎসাহিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে এম মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রমের মূল কেন্দ্র শিশুর অধিকার ও সুরক্ষা। আমরা মাঠপর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি কন্যাশিশুদের শিক্ষা ও ক্ষমতায়নে দায়িত্বশীল পিতাদের অবদান গুরুত্বপূর্ণ। সচেতন পিতারা তাদের মেয়েদের শিক্ষা ক্ষেত্রে, স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ভূমিকা পালনে, চাকরি ক্ষেত্রে, সামাজিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করেন। তারা বাল্যবিবাহকে নিরুৎসাহিত করেন। যে কারণে ‘গুড ড্যাটি’ ক্যাম্পেইন চালু করা হয়েছে। এই কার্যক্রমে সফল করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কন্যাশিশুর শিক্ষা ও ক্ষমতায়নে পিতা তথাপি পুরুষের অংশগ্রহণ বাড়ানো, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ এবং শিক্ষার হার বৃদ্ধি করতে ২০১৬ সালে ‘গুড ড্যাডি’ ক্যাম্পেইন শুরু হয়। জাতীয় ও স্থানীয় পর্যাযে এ পর্যন্ত মোট ২৪৫ জন ‘ওড ড্যাডি’ সম্মাননা পেয়েছেন। মোট ৫ হাজার ৩০টি পরিবার এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করেছেন।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কন্যাশিশুদের শিক্ষা ও ক্ষমতায়নে পিতার দায়িত্বশীল ভূমিকা জরুরি

আপডেট সময় : ১১:০১:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৪

 

কন্যাশিশুদের শিক্ষা ও ক্ষমতায়নে পিতার দায়িত্বশীল ভূমিকা জরুরি বলে মনে করেন সরকারি ও বেসরকারি সংস্থার প্রতিনিধিরা। তারা বলেছেন, সরকারি বেসরকারি নানা পদক্ষেপ সত্ত্বেও কন্যাশিশুদের বাল্যবিবাহ ও শিক্ষা হতে ঝরে পড়া বন্ধ হচ্ছে না। কন্যাশিশুর স্বাবলম্বিতা অর্জনে ও বাল্যবিবাহ প্রতিরোধে পিতার দায়িত্বশীল ভূমিকা অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এ বিষয়ে সম্মিলিত পদক্ষেপ নিতে হবে।

আজ বুধবার রাজধানীর গুলশানে একটি অভিজাত হোটেলে গুড নেইবারস বাংলাদেশ (জিএনবি) আয়োজিত ‘ওড ড্যাডি’ (ভালো পিতা) সম্মাননা অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তারা। জিএনবি’র কান্ট্রি ডিরেক্টর এম মাঈনউদ্দিন মইনুলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন জেলা শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা রাশিদা বেগম, থানা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ফারজানা শারমিন, শিশু অধিকার ফোরামের সভাপতি মো. মাহবুবুল হক, স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ড. আবু জামিল ফয়সাল, জিএনবি’র নির্বাহী সদস্য মোহাম্মদ মোখলেসুর রহমান, নির্ভীক নেটওয়ার্কের চেয়ারম্যান ফারজানা ব্রাউনিয়া, জিএনবি’র শিক্ষা বিভাগের প্রধান আনন্দ কুমার দাশ প্রমূখ।

অনুষ্ঠানে শিশু বিষয়ক কর্মকর্তা রাশিদা বেগম বলেন, কন্যাশিশু সুরক্ষিত থাকলে সুরক্ষিত থাকবে আগামীর বাংলাদেশ। তাই জাতি গঠন ও সমাজ উন্নয়নে কন্যাশিশুদের সুস্বাস্থ্য ও সুশিক্ষা নিশ্চিত করার পাশাপাশি তাদের সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় অবিভাবকদের সহযোগিতা বিশেষ ভূমিকা রাখতে পারে। আমার পিতাকেও বলতে শুনেছি, মাস্টার্স পাসের আগে আমি বিয়ে দিবো না। পিতার সহাযোগিতায় আমার সফলতায় বিশেষ ভূমিকা রেখেছে। তাই সকল পিতাকেই দায়িত্বশীল হতে হবে। ‘ওড ড্যাডি’ সম্মাননার মাধ্যমে সমাজের অন্যান্য পিতারা কন্যাশিশুর উন্নয়নে উৎসাহিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।

সভাপতির বক্তব্যে এম মাঈনউদ্দিন মইনুল বলেন, আমাদের প্রতিষ্ঠানের সকল কার্যক্রমের মূল কেন্দ্র শিশুর অধিকার ও সুরক্ষা। আমরা মাঠপর্যায়ে কাজ করতে গিয়ে দেখেছি কন্যাশিশুদের শিক্ষা ও ক্ষমতায়নে দায়িত্বশীল পিতাদের অবদান গুরুত্বপূর্ণ। সচেতন পিতারা তাদের মেয়েদের শিক্ষা ক্ষেত্রে, স্বেচ্ছাসেবক হিসেবে ভূমিকা পালনে, চাকরি ক্ষেত্রে, সামাজিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করেন। তারা বাল্যবিবাহকে নিরুৎসাহিত করেন। যে কারণে ‘গুড ড্যাটি’ ক্যাম্পেইন চালু করা হয়েছে। এই কার্যক্রমে সফল করতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, কন্যাশিশুর শিক্ষা ও ক্ষমতায়নে পিতা তথাপি পুরুষের অংশগ্রহণ বাড়ানো, বাল্যবিবাহ প্রতিরোধ এবং শিক্ষার হার বৃদ্ধি করতে ২০১৬ সালে ‘গুড ড্যাডি’ ক্যাম্পেইন শুরু হয়। জাতীয় ও স্থানীয় পর্যাযে এ পর্যন্ত মোট ২৪৫ জন ‘ওড ড্যাডি’ সম্মাননা পেয়েছেন। মোট ৫ হাজার ৩০টি পরিবার এই আয়োজনে অংশগ্রহণ করেছেন।