ঢাকা ০৫:৪৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১১ এপ্রিল ২০২৫
সংবাদ শিরোনাম ::
Logo বিদেশী ও দেশি বিনিয়োগকারীদের সাথে জামায়াত সেক্রেটারি জেনারেলের বৈঠক Logo মুন্সিগঞ্জে অবৈধ ফুটপাত উচ্ছেদে প্রশাসনের অ্যাকশন Logo এসএসসি ও সমমান পরিক্ষা শুরু মুন্সিগঞ্জে অংশনিচ্ছে মোট ১৬হাজার ২শ ৩০পরিক্ষার্থী Logo রামু প্রেস ক্লাবের জরুরী সভায় অপসাংবাদিকতা প্রতিরোধে ঐক্যবদ্ধ থাকার অঙ্গীকার  Logo এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষায় ময়মনসিংহে কমেছে পরীক্ষার্থীর হার Logo দিনাজপুরে বিনামূল্যে স্বাস্থ্য পরীক্ষার ক্যাম্প অনুষ্ঠিত Logo শ্যামনগরে ভূয়া এনজিও প্রতিষ্ঠান তালাবদ্ধ, তিন কর্মকর্তা আটক Logo রাজবাড়ীতে সাবেক পৌরসভা মেয়রের জামিন না মঞ্জুর, কারাগারে প্রেরন Logo ৮ মাস ধরে অবরুদ্ধ একটি স্কুল ও সরকারি ডাকঘর  Logo পাইকগাছায় ছাত্রদের উপর হামলার প্রতিবাদে মানববন্ধন

কানাডায় অপরাধে সমর্থন দিচ্ছে ভারত, অভিযোগ ট্রুডোর

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ১১:০১:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪ ১৯১ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

কানাডায় সহিংসতাসহ অপরাধ কর্মকাণ্ডে সমর্থন দিচ্ছে ভারত সরকার। এমন অভিযোগ তুলেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

সোমবার তিনি এ অভিযোগ তোলেন। খবর আরটির।

 

এর আগে, রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ দাবি করে, ভারত সরকারের এজেন্টরা হত্যাসহ ‘ব্যাপক সহিংসতা’য় জড়িত। তাদের কর্মকাণ্ড ‘জননিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি’।

২০২৩ সালের জুনে কানাডার ভ্যানকুভার শহরতলীতে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যার তদন্ত চালায় অটোয়া। এসব অভিযোগ সেই তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

গত বছর ট্রুডো কোনো প্রমাণ দেওয়া ছাড়াই অভিযোগ করেন, ভারত এ হত্যায় জড়িত। তবে নয়াদিল্লি অভিযোগ তীব্রভাবে অস্বীকার করে এবং এ অভিযোগ প্রমাণ করার জন্য কানাডাকে প্রমাণ দিতে বলে।

কানাডিয়ান পুলিশের অভিযোগ তোলার পর নয়াদিল্লি ও অটোয়া উভয়ই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপের অংশ হিসেবে হাইকমিশনারসহ ছয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে।

কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, কূটনীতিকদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ‘খুব বিবেচনার সঙ্গে নেওয়া হয়েছিল। ’ পুলিশ ‘পর্যাপ্ত, স্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সংগ্রহ করার পরই ছয় ব্যক্তিকে নিজ্জর হত্যা মামলায় জড়িত হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ’

সোমবার রাতের দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রুডো বলেন, এটি স্পষ্ট যে ভারত সরকার কানাডায় নাগরিকদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক পদক্ষেপকে সমর্থন করতে পারে ভেবে ভুল করেছে।

তিনি বলেন, কোনো দেশ, বিশেষ করে গণতান্ত্রিক দেশ, যেটি আইনের শাসনকে মূল্য দেয়, সেটি সার্বভৌমত্বের এমন মৌলিক লঙ্ঘন মেনে নিতে পারে না।

এর আগে নয়াদিল্লি অভিযোগ করে, ট্রুডো-নেতৃত্বাধীন সরকার ‘রাজনৈতিক লাভের জন্য ভারতের বদনাম করার ইচ্ছাকৃত কৌশল’ অবলম্বন করছে। নয়াদিল্লি আরও বলে, তারা নিজেদের কূটনীতিকদের প্রত্যাহার করবে। কারণ তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অটোয়ার প্রতিশ্রুতিতে ‘বিশ্বাস’ নেই।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলে যে, ভারত সরকার দৃঢ়ভাবে এসব অযৌক্তিক অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে। এগুলো ট্রুডোর রাজনৈতিক এজেন্ডা, যা ভোট ব্যাংকের রাজনীতিকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা।

‘ট্রুডো সরকার সচেতনভাবে কানাডায় ভারতীয় কূটনীতিক ও সম্প্রদায়ের নেতাদের হয়রানি, হুমকি এবং ভয় দেখানোর জন্য সহিংস চরমপন্থী ও সন্ত্রাসীদের জায়গা দিচ্ছে। ’

গত বছর নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারত সরকারের জড়িত থাকা নিয়ে ট্রুডোর মন্তব্যের পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে যেতে থাকে। কানাডায় ১৮ লাখ ভারতীয় রয়েছে, যাদের বেশির ভাগই শিখ জনগোষ্ঠী।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

কানাডায় অপরাধে সমর্থন দিচ্ছে ভারত, অভিযোগ ট্রুডোর

আপডেট সময় : ১১:০১:৩৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৫ অক্টোবর ২০২৪

 

কানাডায় সহিংসতাসহ অপরাধ কর্মকাণ্ডে সমর্থন দিচ্ছে ভারত সরকার। এমন অভিযোগ তুলেছেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো।

সোমবার তিনি এ অভিযোগ তোলেন। খবর আরটির।

 

এর আগে, রয়েল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ দাবি করে, ভারত সরকারের এজেন্টরা হত্যাসহ ‘ব্যাপক সহিংসতা’য় জড়িত। তাদের কর্মকাণ্ড ‘জননিরাপত্তার জন্য গুরুতর হুমকি’।

২০২৩ সালের জুনে কানাডার ভ্যানকুভার শহরতলীতে শিখ বিচ্ছিন্নতাবাদী নেতা হরদীপ সিং নিজ্জর হত্যার তদন্ত চালায় অটোয়া। এসব অভিযোগ সেই তদন্তের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট।

গত বছর ট্রুডো কোনো প্রমাণ দেওয়া ছাড়াই অভিযোগ করেন, ভারত এ হত্যায় জড়িত। তবে নয়াদিল্লি অভিযোগ তীব্রভাবে অস্বীকার করে এবং এ অভিযোগ প্রমাণ করার জন্য কানাডাকে প্রমাণ দিতে বলে।

কানাডিয়ান পুলিশের অভিযোগ তোলার পর নয়াদিল্লি ও অটোয়া উভয়ই পাল্টাপাল্টি পদক্ষেপের অংশ হিসেবে হাইকমিশনারসহ ছয় কূটনীতিককে বহিষ্কার করেছে।

কানাডার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেলানি জোলি সোমবার এক বিবৃতিতে বলেন, কূটনীতিকদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত ‘খুব বিবেচনার সঙ্গে নেওয়া হয়েছিল। ’ পুলিশ ‘পর্যাপ্ত, স্পষ্ট ও সুনির্দিষ্ট প্রমাণ সংগ্রহ করার পরই ছয় ব্যক্তিকে নিজ্জর হত্যা মামলায় জড়িত হিসেবে চিহ্নিত করেছে। ’

সোমবার রাতের দিকে এক সংবাদ সম্মেলনে ট্রুডো বলেন, এটি স্পষ্ট যে ভারত সরকার কানাডায় নাগরিকদের বিরুদ্ধে অপরাধমূলক পদক্ষেপকে সমর্থন করতে পারে ভেবে ভুল করেছে।

তিনি বলেন, কোনো দেশ, বিশেষ করে গণতান্ত্রিক দেশ, যেটি আইনের শাসনকে মূল্য দেয়, সেটি সার্বভৌমত্বের এমন মৌলিক লঙ্ঘন মেনে নিতে পারে না।

এর আগে নয়াদিল্লি অভিযোগ করে, ট্রুডো-নেতৃত্বাধীন সরকার ‘রাজনৈতিক লাভের জন্য ভারতের বদনাম করার ইচ্ছাকৃত কৌশল’ অবলম্বন করছে। নয়াদিল্লি আরও বলে, তারা নিজেদের কূটনীতিকদের প্রত্যাহার করবে। কারণ তাদের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অটোয়ার প্রতিশ্রুতিতে ‘বিশ্বাস’ নেই।

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে বলে যে, ভারত সরকার দৃঢ়ভাবে এসব অযৌক্তিক অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে। এগুলো ট্রুডোর রাজনৈতিক এজেন্ডা, যা ভোট ব্যাংকের রাজনীতিকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা।

‘ট্রুডো সরকার সচেতনভাবে কানাডায় ভারতীয় কূটনীতিক ও সম্প্রদায়ের নেতাদের হয়রানি, হুমকি এবং ভয় দেখানোর জন্য সহিংস চরমপন্থী ও সন্ত্রাসীদের জায়গা দিচ্ছে। ’

গত বছর নিজ্জর হত্যাকাণ্ডে ভারত সরকারের জড়িত থাকা নিয়ে ট্রুডোর মন্তব্যের পর থেকেই দুই দেশের সম্পর্ক তলানিতে যেতে থাকে। কানাডায় ১৮ লাখ ভারতীয় রয়েছে, যাদের বেশির ভাগই শিখ জনগোষ্ঠী।