গাজী টায়ার কারখানায় আগুন, জেলা প্রশাসনের তদন্ত কমিটি
- আপডেট সময় : ০৫:২৭:১৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৭ অগাস্ট ২০২৪ ২০০ বার পড়া হয়েছে
সাবেক এমপি গোলাম দস্তিগীর গাজী সম্প্রতি গ্রেপ্তারের পর একাধিকবার লুটপাটের ঘটনা ঘটলো নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে গাজী টায়ার কারখানায়। রোববার দিনভর লুটপাটের পর লুটপাটকারীরা নিজেই সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এক পর্যায়ে নিজেদের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। সর্বশেষ রাত ৯টা নাগাদ ক“খানায় আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। তাতে সর্বশেষ মঙ্গলবার (২৭ আগস্ট) শতাধিক ব্যক্তি নিখোঁজ রয়েছে বলে স্বজনরা জানিয়েছে।
নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের গাজী টায়ার কারখানায় আগুন দেয়ার ঘটনায় অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হামিদুর রহমানকে প্রধান করে ৮ সদস্যদের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে জেলা প্রশাসন।
মঙ্গলবার দুপুরে ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা জানান নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ মাহমুদুল হক।
তিনি বলেন, তদন্ত কমিটিতে গণপূর্ত বিভাগ, ফায়ার সার্ভিস ও বিদ্যুৎ বিভাগের প্রতিনিধি থাকবেন। ইতোমধ্যে তদন্ত কমিটি তাদের কাজ শুরু করেছে। আমরা শুনেছি প্রচুর লোক এখানে এসে লুটপাট করেছে। আগুন দেয়ার ঘটনায় কারা জড়িত তাদের শনাক্ত করা হবে। পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসার পর আমরা দেখব কি পরিমাণ ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে এবং ভেতরে কি পরিমাণ লোক ছিল। তবে কেউ আটকা পড়েছে কিনা, মারা গেছে কিনা এ বিষয়ে আমাদের কাছে কোন তথ্য নেই।
জেলা প্রশাসক বলেন, নিখোঁজের কোন সংখ্যা আমাদের কাছে নেই। আমরা বাইরে দেখেছি বেশ কিছু লোক বাইরে অপেক্ষা করছে। তাদের আত্মীয়, পরিবারের মানুষজন নিখোঁজ রয়েছে বলে যেটি তারা বলছে এ ব্যাপারে আমরা নিশ্চিত নই। অগ্নিকান্ডের পরিস্থিতি পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে এলে আমরা তদন্ত করে দেখব।
গাজী টায়ারসহ প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন কারখানায় লুটপাট ও আগুন দেয়ার ঘটনায় রূপগঞ্জ থানায় জিডি করাসহ আইনগত ব্যবস্থা নেয়া কথা জানায়, গাজী গ্রুপের নির্বাহী পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অবসরপ্রাপ্ত) মো. কামরুজ্জামান। দুপুরে কারখানা পরিদর্শন শেষে একথা জানান।
শ্রমিকদের বেতনের বিষয়ে তিনি বলেন, শ্রমিকদের গত মাসের বেতন দিয়ে দেয়া হয়েছে। এছাড়া এই মাসের বেতনসহ সকল পাওনা আগামী মাসের ৭ তারিখের মধ্যে পরিশোধ করা হবে বলে আমরা শ্রমিকদের আশ্বস্ত করেছি।
হামলা, লুটপাট ও আগুন দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘এই গ্রামের আশপাশের লোকজন যারা রয়েছে তারা এই কাজগুলো করেছে। শত শত মানুষ দেশীয় ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে একযোগে এসে এখানে লুটপাট করেছে এবং আগুন দিয়ে কারখানা জ্বালিয়ে দিয়েছে।
আমরা ফায়ার সার্ভিসকে জানিয়েছি। তাদের গাড়ি রাস্তায় আটকে দিয়েছে। আমরা সেনাবাহিনীকেও জানিয়েছি। কিন্তু দেশের চলমান সংকটাপন্ন পরিস্থিতির কারণে প্রয়োজনীয় সাপোর্ট আমরা পাইনি। তবে লুটপাট ও আগুন দেয়ার ঘটনায় আমরা জিডি করেছি। আমাদের আইনি একটা টিম আছে তারা বিষয়গুলো দেখভাল করছে।