পুলিশ-র্যাব-বিজিবিকেও বিচারের আওতায় আনা হবে: তথ্য প্রতিমন্ত্রী
- আপডেট সময় : ০৭:৪৫:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১ অগাস্ট ২০২৪ ১৫৬ বার পড়া হয়েছে
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি ও অন্যান্য যারা আছেন, কাউকেই গুলি করার পারমিশন দেওয়া ছিল না। সংবিধান ও আইনের অধীনে তাদের কাজ করতে হয়েছে। তাই বলে আমি এটা অস্বীকার করছি না, ক্ষেত্র বিশেষে কেউ কেউ আইন ভাঙেনি, অন দ্যা গ্রাউন্ডে। আমরা এটা তদন্ত করে তাদেরও বিচারের আওতায় আনবো।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, কোটা সংস্কার আন্দোলনে আইন ভেঙেছেন এমন আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যদের তদন্ত করে তাদেরও বিচারের আওতায় আনা হবে। বৃহস্পতিবার (১ আগস্ট) সচিবালয়ে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে প্রেস ব্রিফিংয়ে একথা জানান।
বিশ্বে এ ধরনের ঘটনা ঘটে উল্লেখ করে প্রতিমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাষ্ট্রেও ঘটেছে আপনারা দেখেছেন। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অনেকেই আইন ভেঙে ফেলে। সরকার থেকে তো তাদের আইন ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয় না। কিন্তু তারা এ ঘটনা ঘটিয়ে ফেলে। আমাদের দায়িত্ব হলো যারা আইন ভেঙেছে, অন্যায় করেছে, তদন্ত করে তাদের বিচারের মুখোমুখি করবো।
তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী বলেন, সহিংসতায় যা হয়েছে সেটা দেশ জাতির জন্য বিশেষ করে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারের জন্য খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এ হতাহতের জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি, নিন্দা জানাচ্ছি। প্রধানমন্ত্রীর ঘোষণা অনুযায়ী বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠিত হয়েছে। তারা স্বাধীনভাবে প্রতিটি হতাহতের ঘটনার তদন্ত করে এজন্য দায়ী ব্যক্তিদের আইনের আওতায় আনা হবে। প্রয়োজনে আমরা বিদেশি এক্সপার্টদের সম্পৃক্ত করবো। কারণ হচ্ছে আমরা এখানে পুরোপুরি স্বচ্ছ ও জবাবদিহিতায় থাকতে চাই।
তিনি বলেন, সহিংসতা প্রতিটি মৃত্যুর জন্য আমরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত, তেমনি দেশ ও দেশের মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত। হয়তো কোনো একটি তৃতীয়পক্ষ এটার সুবিধা নিচ্ছে। আর এ মৃত্যু নিয়ে প্রথম থেকেই অপপ্রচার করা হচ্ছে। এ ক্ষতির যেমন আপনারা একটা অংশ আমরাও একটা অংশ। আপনারা যেমন এটার বিচার চান আমরাও এটার বিচার চাই। একই সঙ্গে প্রতিটি দায়ী ব্যক্তিকে আমরা বিচারের মুখোমুখি করবো। একটি মৃত্যুও আমাদের কাম্য ছিল না। প্রতিটি মৃত্যু আমাদের বুকের ওপরে ভারি হয়ে আটকে আছে।
মোহাম্মদ আলী আরাফাত বলেন, শিক্ষার্থী আন্দোলনকারী যারা তাদের যে দাবি ছিল, তারমধ্যে তৃতীয়পক্ষ ঢুকে অন্য উদ্দেশ্য চরিতার্থ করার জন্য যে ভয়াবহ ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে, তা আপনাদের চোখের সামনে প্রমাণ রয়েছে। জেল ভেঙে জঙ্গিদের নিয়ে যাওয়াসহ যতো ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড এগুলো কি শিক্ষার্থীরা করেছে? করেছে তৃতীয় পক্ষ অনুপ্রবেশকারী। তারা কিন্তু এমন পরিস্থিতি তৈরি করেছে যাতে হতাহতের ঘটনা ঘটে। যাতে তারা ঘোলাপানিতে মাছ শিকার করতে পারে। কিন্তু তারা সরাসরি মুখোমুখি হয়নি, শিক্ষার্থীদের ঢাল হিসেবে ব্যবহার করেছে।