প্রতিটি হাট পশুতে ভর্তি, চাহিদার চেয়ে বেশি মজুদ কোরবানির পশু
- আপডেট সময় : ০৩:৫২:০৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৩ জুন ২০২৪ ১৭৭ বার পড়া হয়েছে
আমিনুল হক ভূইয়া
ঢাকা ও পাশ্ববর্তী স্থানের প্রতিটি গরুর হাট কোরবানির পশুতে ভর্তি। হাটে হাটে ক্রেতার আনাগোনা। চলছে দরদাম। হাতে সময় আর মত্র ৪দিন। বিক্রেতারা বলছেন, বেচাকেনা চলছে ধীর গতিতে। আগাম কাল শুক্রবার থেকে ছুটি। বেচানাকেনায় হওয়া লাগবে।
পশু বিক্রেতারা বলছেন, হাটগুলোতে কোরবানির পশুতে ভর্তি। চাহিদার চেয়ে প্রায় ২৮ লাখের বেশি পশু মজুদ রয়েছে। ঢাকার দুই সিটি কর্পোরেশন মিলিয়ে ২২টির মতো কোরবানির পশুর হাট বসেছে। প্রতিটি হাটই পশুতে ভর্তি। শাহজাহানপুর রেলওয়ে কলোনি এলাকার মৈত্রী মাঠে দু’দিন আগেও পশুর আমদানি ছিলো মেটামুটি।
কিন্তু বৃহস্পতিবার মৈত্রী মাঠ ছাপিয়ে কলোনির বিভিন্ন স্থানও পশুতে ভর্তি দেখা গেছে। ইজাদাররা বলছেন, এখানে শতভাগ নিরাপদে বিক্রি পশুর টাকা পাঠানোর জন্য ডাচ্ বাংলা ব্যাংক অস্থায়ী বুথ বসিয়েছে। এই হাটে ক্রেতার আগমও বেশ। তবে সে অনুযায়ী বেচাকেনা এখনও জমে ওঠে।
ইজাদারা বলছেন, আগামীকাল শুক্রবার (১৪ জুন) সরকারী ছুটি শুরু হবে। তাদের আশা শুক্রবার থেকেই ঢাকায় কোরবানির পশু বেচাকেনা শুরু হবে। কারণ হিসাবে আরও জানা গেলো, ঢাকায় কোরবানির পশু রাখার স্থান নেই। এখানের অধিকাংশ ক্রেতাই ভাড়াটিয়া। পশু রাখার স্থানের অভাবের কারণে ঈদের আগের রাতেই বেশি বেচাকেনা হয়ে থাকে। অনেক বাড়ির মলিকরাও তাই করেন।
এদিকে আজ বৃহস্পতিবার (১৩ জুন) ঈদুল আজহা উপলক্ষে গাবতলী বাস টার্মিনাল ও গাবতলীর কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শন করেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। এ সময় তিনি চাঁদাবাজদের প্রতি হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করে বলেন, পশুর হাটে ও পরিবহন সেক্টরে কোনো ধরনের চাঁদাবাজিকে ছাড় দেওয়া হবে না।
অতিরিক্ত হাসিল আদায়ের অভিযোগের প্রমাণ হলে আইন অনুযায়ী যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার কথাও জানান। এসব বিষয়ে প্রয়োজনে জাতীয় জরুরিসেবা ৯৯৯-এ কল করে পুলিশের সহযোগিতা নেওয়ার আহ্বান জানান।
আইজিপি বলেন, নির্দিষ্ট অভিযোগ ছাড়া মহাসড়কে কোনো গরুর গাড়ি কেউ থামাতে পারবে না। এ ব্যাপারে হাইওয়ে পুলিশসহ পুলিশের সকল ইউনিটকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। ঈদযাত্রা নির্বিঘ্ন করতে এবং কোরবানির পশুর হাটে নিরাপত্তা নিশ্চিতে আমরা আন্তঃমন্ত্রণালয়সহ বিভিন্ন বিভাগে মিটিং করা হয়েছে।