বাংলাদেশ সরকারকে অভিনন্দন অস্ট্রেলিয়ার সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রীর
- আপডেট সময় : ১২:০৩:৩৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ মার্চ ২০২৪ ১৬৩ বার পড়া হয়েছে
বাংলাদেশ সরকারকে অভিনন্দন জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ার সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী ম্যাট থিসেলওয়েট। অস্ট্রেলিয়া বর্তমান সরকারের সাথে কাজ করতে প্রস্তুত বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবস উপলক্ষ্যে ২৬ মার্চ অস্ট্রেলিয়ার রাজধানী ক্যানবেরায় হায়াত হোটেলে বাংলাদেশ হাইকমিশন আয়োজিত অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার সহকারী প্রতিরক্ষামন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, অস্ট্রেলিয়া ও বাংলাদেশের মধ্যে অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক বিদ্যমান।
১৯৭২ সালের ৩১ জানুয়ারি বাংলাদেশকে অস্ট্রেলিয়ার স্বীকৃতি প্রদান এবং ১৯৭৫ সালের জানুয়ারি মাসে অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী গফহুইটলামের বাংলাদেশ সফরের মাধ্যমে দু’দেশের দৃঢ় সম্পর্কের সূচনা হয়। তিনি অস্ট্রেলিয়ার উন্নয়নে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভূমিকারও প্রশংসা করেন।
বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার দ্বিপাক্ষিক অংশীদারিত্ব আরো ব্যাপক পরিসরে বাড়বে বলে বাংলাদেশের হাইকমিশনার এম আল্লামা সিদ্দীকী আশাবাদ ব্যক্ত করেন। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ভূমিকার জন্য অস্ট্রেলিয়ার সরকার ও জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।
বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা অর্জনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অদম্য নেতৃত্বের কথা শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করেন আল্লামা সিদ্দীকী। তিনি বাংলাদেশের উদীয়মান অর্থনীতিসহ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও উদার সংস্কৃতির বিষয় উল্লেখ করেন।
অভ্যর্থনা অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার ফেডারেল এমপি এন্ড্রু চার্লটন, অস্ট্রেলিয়ান ক্যাপিটাল টেরিটরি সরকারের ছায়া মাল্টিকালচারাল মন্ত্রী পিটার কেইন, চিফ অব প্রটোকলসহ পররাষ্ট্র ও অন্যান্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা, বিভিন্ন দেশের রাষ্ট্রদূত এবং অষ্ট্রেলিয়া প্রবাসী বাংলাদেশিরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে অস্ট্রেলিয়ার রয়েল মিলিটারি ব্যান্ডের প্রতিনিধিরা বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে কেককাটা ও সংক্ষিপ্ত সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের অয়োজন করা হয়। এছাড়া বাংলাদেশের ইতিহাস, ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি, প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং উন্নয়ন অভিযাত্রার ওপর নির্মিত প্রামাণ্যচিত্রও প্রদর্শন করা হয়।
এর আগে স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষ্যে বাংলাদেশ হাইকমিশন প্রাঙ্গণে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়। এসময় রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বাণী পাঠ করা হয়। এছাড়া যারা মুক্তি সংগ্রামে অবদান রেখেছেন ও মৃত্যুবরণ করেছেন তাদের জন্য এবং বাংলাদেশের উন্নয়ন-অগ্রগতির জন্য বিশেষ প্রার্থনা করা হয়। অষ্ট্রেলিয়া হাইকমিশন এক বার্তায় এতথ্র জানায়।