ঢাকা ১১:২৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ নভেম্বর ২০২৫

মাথায় গুলিবিদ্ধ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মৃত্যু

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ৪৩৭ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে সিএমএইচে চিকিৎসাধীন ইকরামুল হক সাজিদ (২৪) মারা গেছেন।

শেখ হাসিনা সরকার পতনের আগের দিন ৪ আগস্ট মিরপুরে গুলিতে গুরুতর আহত হন সাজিদ।

বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুর সোয়া ২টার দিকে সাজিদ মারা যান বলে নিশ্চিত করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক নূর নবী।

ইকরামুল হক সাজিদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলায়।

নূর নবী বলেন, সাজিদ ভাই আমাদের এখন রাষ্ট্রীয় বীর। তার জানাজা আমরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাদ মাগরিব করেছি।

গুলিটি তার মাথার পেছন দিক দিয়ে ঢুকে চোখের ঠিক পেছনে আটকে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাজিদকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অস্ত্রোপচারও হয়েছিল।

সাজিদের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরই দায়ী সকলের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা ফ্যাসিজমের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও; টু জিরো টু ফোর, ফ্যাসিজম নো মোর; বিচার বিচার বিচার চাই, খুনি হাসিনা বিচার চাই- সহ নানা স্লোগান দিতে থাকেন।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহিন আলম সান বলেন, আমরা আমাদের ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দিতে পারি না। সাজিদের মৃত্যুতে জড়িত সবার বচার চাই আমরা। সাজিদের হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা জবিয়ানরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

মাথায় গুলিবিদ্ধ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীর মৃত্যু

আপডেট সময় :

 

বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালীন সময় মাথায় গুলিবিদ্ধ হয়ে সিএমএইচে চিকিৎসাধীন ইকরামুল হক সাজিদ (২৪) মারা গেছেন।

শেখ হাসিনা সরকার পতনের আগের দিন ৪ আগস্ট মিরপুরে গুলিতে গুরুতর আহত হন সাজিদ।

বুধবার (১৪ আগস্ট) দুপুর সোয়া ২টার দিকে সাজিদ মারা যান বলে নিশ্চিত করেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক নূর নবী।

ইকরামুল হক সাজিদ জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাব বিজ্ঞান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের ২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি টাঙ্গাইলের সখিপুর উপজেলায়।

নূর নবী বলেন, সাজিদ ভাই আমাদের এখন রাষ্ট্রীয় বীর। তার জানাজা আমরা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে বাদ মাগরিব করেছি।

গুলিটি তার মাথার পেছন দিক দিয়ে ঢুকে চোখের ঠিক পেছনে আটকে যায়। আশঙ্কাজনক অবস্থায় সাজিদকে সম্মিলিত সামরিক হাসপাতালে (সিএমএইচ) নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে তার অস্ত্রোপচারও হয়েছিল।

সাজিদের মৃত্যুর খবর পাওয়ার পরই দায়ী সকলের বিচার চেয়ে বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। এ সময় শিক্ষার্থীরা ফ্যাসিজমের আস্তানা ভেঙে দাও, গুঁড়িয়ে দাও; টু জিরো টু ফোর, ফ্যাসিজম নো মোর; বিচার বিচার বিচার চাই, খুনি হাসিনা বিচার চাই- সহ নানা স্লোগান দিতে থাকেন।

এ সময় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী শাহিন আলম সান বলেন, আমরা আমাদের ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দিতে পারি না। সাজিদের মৃত্যুতে জড়িত সবার বচার চাই আমরা। সাজিদের হত্যার বিচার না হওয়া পর্যন্ত আমরা জবিয়ানরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।