মোবাইলে ইন্টারনেট চালুর সিদ্ধান্ত রোববার
- আপডেট সময় : ০১:৫৯:১১ অপরাহ্ন, শনিবার, ২৭ জুলাই ২০২৪ ২৬২ বার পড়া হয়েছে
মোবাইলে ইন্টারনেট চালুর সিদ্ধান্ত আগামী রোববার। ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক এ কথা জানান। তিনি বলেন, মোবাইল ইন্টারনেট তথা ফোরজি চালু করতে রোববার (২৮ জুলাই) মোবাইল অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠক করা হবে।
শনিবার (২৭ জুলাই) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে ডাকভবনে সজীব ওয়াজেদ জয়ের ৫৪তম জন্মদিন উপলক্ষে সারাদেশে এক লাখ গাছের চারা রোপণে শান্তির জন্য বৃক্ষ ট্রি ফর পিস অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
শিগগরিই মোবাইল ইন্টারনেট খুলে দেওয়া হবে জানিয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, রোববার সকাল ৯টায় আমরা এমটবের সঙ্গে বৈঠক করবো। বৈঠকে সন্তুষ্ট হলে রবি-সোমবার মোবাইলের ফোরজি নেটওয়ার্ক খুলে দেওয়া হবে।
প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা ইন্টারনেট শাটডাউন করিনি। ইন্টারনেট বন্ধ হয়েছিল তিনটি ডেটা সেন্টার ও শত শত কিলোমিটার তার পুড়িয়ে দেওয়ার জন্য। এজন্য শুধু টেলিকম খাতে ৫০০ কোটি টাকা এবং সব মিলিয়ে শত কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে।
নাশকতা পরিকল্পিত উল্লেখ করে পলক বলেন, ১৮ জুলাইয়ের মোবাইল অপারেটরদের তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, ঢাকার উত্তরা, রামপুরা, মোহাম্মাদপুর, যাত্রাবাড়ী ও গাজীপুরে ৫০ হাজার থেকে এক লাখ নতুন সিম কার্ড ব্যবহার করা হয়েছে।
ক্ষয়ক্ষতি নিয়ে তিনি বলেন, ঢাক বিভাগের ১৭টি জায়গায় হামলা হয়েছে। মহাখালীতে তিনটি ডেটা সেন্টারে ১৮টি আইআইজির সিস্টেম রয়েছে। সেখানে থাকা আইএসপির ৭০ শতাংশ সার্ভার থাকে। তাই ইন্টারনেট একা একাই বন্ধ হয়েছে। আমরা বন্ধ করিনি।
বিটিআরসি চেয়ারম্যান প্রকৌশলী মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, টেলিযোগাযোগ খাতে আঘাত আসায় এখনো কিছু ক্যাশ সার্ভার মেরামতের কাজ চলছে। হয়তো দুই চার দিনের মধ্যে টেলিযোগাযোগ পুরোপুরি আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। দেশে থাকা চার হাজারের ওপর ক্যাশ সার্ভার ঠিক হতে সময় লাগবে। গুগলের সব ক্যাশ সার্ভার পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা হবে।
আইএসপিএবি সভাপতি ইমদাদুল হক বলেন, ইন্টারনেট এখন আমাদের মৌলিক অধিকার। কিন্তু দুর্বৃত্তদের হামলায় মহাখালীতে সার্ভার ও তার ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ায় ইন্টারনেট বিচ্ছিন্ন ছিল। এই সেবা এখন ধীরে ধীরে চালু হচ্ছে। শিগগিরই ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট সেবা আগের অবস্থায় ফিরে আসবে। ৯০ শতাংশ সমস্যা রিস্টোর করা হয়েছে। বাকিটা নির্ভর করছে ট্রান্সমিশনের ওপর।
কোটা সংস্কার আন্দোলন ঘিরে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ থাকায় ফেসবুক, মেসেঞ্জার, হোয়াটসঅ্যাপ, ইমোসহ অন্যান্য অ্যাপে প্রবেশ করা যাচ্ছে না।
১৭ জুলাই থেকে সারা দেশে মোবাইল ইন্টারনেট তথা ফোরজি প্রায় পুরোপুরি বন্ধ করে দেওয়া হয়। এর আগে মঙ্গলবার (১৬ জুলাই) সন্ধ্যায় আংশিকভাবে বিভিন্ন স্পটে মোবাইল ইন্টারনেট বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এর পাঁচ দিন পর গত মঙ্গলবার রাত থেকে গুরুত্বের ভিত্তিতে সীমিত আকারে ব্রডব্যান্ড ইন্টারনেট চালু করা হয়।