ঢাকা ০২:৫১ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪

সরকারের ১০০ দিন : ব্যাংক ও আর্থিক অনিয়মের সুযোগ বন্ধ, সংকট কাটেনি

গণমুক্তি ডিজিটাল ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০৯:২৪:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪ ৩৯ বার পড়া হয়েছে
দৈনিক গনমুক্তি অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

 

ব্যাংক দখল করে মানুষের জমানো টাকা হাতিয়ে নেওয়া, ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে আঁতাত করে কিংবা সরাসরি রাজনীতিতে যোগ দিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা বের করা, বাণিজ্যের ছদ্মবেশে অর্থ পাচার, ঋণখেলাপিদের নানা সুবিধা দেওয়া, টাকা ছাপিয়ে ব্যাংক টিকিয়ে রাখা, বৈদেশিক মুদ্রার মজুতে ধস ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আর্থিক খাতে ছিল এমনই চিত্র।

৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সবার আগে আর্থিক খাতের পচনরোধে উদ্যোগ গ্রহণের ফলে যথেচ্ছ অনিয়মের সুযোগ বন্ধ হয়। তাতে ইতিবাচক ফলও এসেছে; কিন্তু সংকট পুরোপুরি কাটেনি।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ১০০ দিনে দীর্ঘদিন ধরে চলা ডলার-সংকটের আপাত সমাধান হলেও ব্যাংকিং খাতে যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে, তা দূর করা যায়নি। বেসরকারি ৫-৬টি ব্যাংক থেকে গ্রাহকেরা এখনো চাহিদামতো টাকা তুলতে পারছেন না। এই ব্যাংকগুলো ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সবচেয়ে বেশি লুটপাটের শিকার হয়েছিল। এসব ব্যাংকে অনিয়ম বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, আগের পরিচালনা পর্ষদ বাতিল হয়েছে। কিন্তু তাদের তারল্যসংকট দূর হয়নি।

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের আগে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ছাপিয়ে বেশ কিছু ব্যাংককে ধার দিয়ে আসছিল। নতুন সরকার গঠনের পর তা বন্ধ করা হয়েছে। তাদের টাকার জোগান দিতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই ব্যবস্থায় ব্যাংকগুলো চাহিদামতো টাকা ধার পাচ্ছে না। এ কারণে প্রয়োজন মাফিক টাকা তুলতে না পারায় গ্রাহকরা। সার্বিকভাবে, ব্যাংক খাতের ওপর গ্রাহকের মধ্যে কিছু দুশ্চিন্তা তো থাকছেই।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সরকারের ১০০ দিন : ব্যাংক ও আর্থিক অনিয়মের সুযোগ বন্ধ, সংকট কাটেনি

আপডেট সময় : ০৯:২৪:২৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪

 

ব্যাংক দখল করে মানুষের জমানো টাকা হাতিয়ে নেওয়া, ক্ষমতাসীনদের সঙ্গে আঁতাত করে কিংবা সরাসরি রাজনীতিতে যোগ দিয়ে ব্যাংক থেকে টাকা বের করা, বাণিজ্যের ছদ্মবেশে অর্থ পাচার, ঋণখেলাপিদের নানা সুবিধা দেওয়া, টাকা ছাপিয়ে ব্যাংক টিকিয়ে রাখা, বৈদেশিক মুদ্রার মজুতে ধস ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আর্থিক খাতে ছিল এমনই চিত্র।

৮ আগস্ট অন্তর্বর্তী সরকার দায়িত্ব নেওয়ার পর সবার আগে আর্থিক খাতের পচনরোধে উদ্যোগ গ্রহণের ফলে যথেচ্ছ অনিয়মের সুযোগ বন্ধ হয়। তাতে ইতিবাচক ফলও এসেছে; কিন্তু সংকট পুরোপুরি কাটেনি।

অন্তর্বর্তী সরকারের প্রথম ১০০ দিনে দীর্ঘদিন ধরে চলা ডলার-সংকটের আপাত সমাধান হলেও ব্যাংকিং খাতে যে আস্থার সংকট তৈরি হয়েছে, তা দূর করা যায়নি। বেসরকারি ৫-৬টি ব্যাংক থেকে গ্রাহকেরা এখনো চাহিদামতো টাকা তুলতে পারছেন না। এই ব্যাংকগুলো ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে সবচেয়ে বেশি লুটপাটের শিকার হয়েছিল। এসব ব্যাংকে অনিয়ম বন্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, আগের পরিচালনা পর্ষদ বাতিল হয়েছে। কিন্তু তাদের তারল্যসংকট দূর হয়নি।

রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের আগে বাংলাদেশ ব্যাংক টাকা ছাপিয়ে বেশ কিছু ব্যাংককে ধার দিয়ে আসছিল। নতুন সরকার গঠনের পর তা বন্ধ করা হয়েছে। তাদের টাকার জোগান দিতে বিশেষ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই ব্যবস্থায় ব্যাংকগুলো চাহিদামতো টাকা ধার পাচ্ছে না। এ কারণে প্রয়োজন মাফিক টাকা তুলতে না পারায় গ্রাহকরা। সার্বিকভাবে, ব্যাংক খাতের ওপর গ্রাহকের মধ্যে কিছু দুশ্চিন্তা তো থাকছেই।